Medinipur: ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের চাকরিতে যোগ দিতে এসে ধরা পড়লেন এক মহিলা। এর আগেও এই ধরনের একাধিক ভুয়ো নিয়োগপত্রের হদিস পেয়েছিল জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিয়েছিল। মাঝে কিছুদিন ঠিক থাকলেও আবার ভুয়ো নিয়োগপত্রের রমরমা।
জানা গিয়েছে, নিয়োগপত্র নিয়ে ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যান এক মহিলা। হাসপাতাল সুপারের নজরে বিষয়টি আসার পরেই ওই মহিলাকে পাঠানো হয় মেদিনীপুরে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তরে। সরকারি হাসপাতালে রিসেপশনিস্ট পোস্টের নিয়োগপত্র দেখে চক্ষু চড়ক গাছ।
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ওই নিয়োগপত্র দেখার পরই তাকে বসিয়ে রাখেন। খবর দেন কোতোয়ালী থানায়। ওই মহিলার নাম মৃদুলা আদক মান্না। বাড়ি ঘাটাল এলাকায়। তিনি যে প্রতারিত হয়েছেন তা বুঝতে পেরে ঘাটাল থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন বলে জানান।
ওই প্রতারিত মহিলা বলেন, “অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ করেছিলাম। শাখা অফিস ডায়মন্ড হারবার। সিএলআর নামে একটি সংস্থা ওই নিয়োগপত্র ইস্যু করে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে আসা ওই নিয়োগপত্র নিয়ে কাজে যোগ দিতে গিয়েছিলাম। মাসে ১৫ হাজার টাকা করে বেতন দেওয়ার কথা। আড়াই হাজার টাকা নিয়েছিল ইউনিফর্মের জন্য।”
ঘাটাল হাসপাতালের তরফে জানা গিয়েছে, ওই নিয়োগপত্র সঠিক নয় বলে মেদিনীপুরে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্য শঙ্কর ষড়ঙ্গি বলেন, “কাজে যোগ দেওয়ার জন্য নিয়োগপত্র নিয়ে দেখা করতে এসেছিলেন এক মহিলা। নিয়োগপত্রটি ভুয়ো। সিএলআর নামে একটি সংস্থা ২০২৩ সালে নিয়োগপত্র ইস্যু করেছিল ঘাটাল হাসপাতালে রিসেপশনিস্ট হিসেবে। মাসিক ১৫ হাজার টাকা বেতনে। হাসপাতালে রিসেপশনিস্ট বলে কোন পদ নেই, সরকারের এপ্রুভাল হয় না। ওনাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, কোন সদুত্তর দিতে পারলেন না কোথা থেকে পেয়েছেন। বলেছেন অনলাইনে পেয়েছেন। বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি। এরকম চক্র আগেও ধরা পড়েছে। গরিব মানুষকে ভুল বুঝিয়ে এসব করাচ্ছে।”