ঘাটাল:- আরামবাগ হয়ে ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি দেখতে হাজির হয়েছিলেন নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ৷ মঙ্গলবার বিকেল ৫ টা নাগাদ ঘাটাল শহরে প্লাবিত রাস্তার ওপরে দাঁড়িয়ে জেলা শাসক পুলিশ সুপার সেচমন্ত্রী, সাংসদ দেব এরসাথে কথা বলেন ৷ সেখানে দাঁড়িয়েই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের ভবিষ্যত নিয়ে কথা বলেছেন তিনি ৷ সেই সাথে কেন্দ্রের অসহযোগীতা ও নানা বঞ্চনার বার্তা তুলে ধরেছেন তিনি ৷
ঘাটাল বন্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন- “এতদিন কেন্দ্রের জন্য মাস্টার প্ল্যান হয়নি। কিন্তু আমরা দেড় হাজার কোটি টাকা একটা বরাদ্দ করেছি। তার মধ্যে এ বছরের বাজেটে ৫০০ কোটি টাকা রাখা হয়েছে। সব কাজগুলো হচ্ছে। এবার অতি বর্ষণ অনেক বেশি। একদিকে ডিভিসির প্রচুর পরিমাণে ছাড়া জল। তারপরও রয়েছে মাইথন পঞ্চায়েত জলাধার থেকে ছাড়া জল। ওদের বারণ করলেও শোনে না।“
একই সঙ্গে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান ইসুতে তিনি বলেন-“ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান কার্যকরী করার তদারকি করতে সেচমন্ত্রী, সংসদ জেলাশাসক পুলিশ সুপার বিধায়ক দের জেলা স্তরের একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। ব্লক স্তরেও কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঘাটালের বিভিন্ন জায়গায় পাম্প বসানো ও দাসপুরের জন্য বহু কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। পুরানো কাঁসাই, সহ বেশ কিছু নদী মিলিয়ে পঁচিশ কিলোমিটার নদী ড্রেজিং এর জন্য অর্ডার হয়েছে। কাঁঠাল শহরেও সাড়ে তিন কিলোমিটার শিলাবতী নদীর গার্ড ওয়াল তৈরির কাজ শুরু হচ্ছে। তবে মাস্টার প্ল্যান করতে গিয়ে কাউকে যাতে উচ্ছেদ না করতে হয় সেই পথ অবলম্বন করছি আমরা।”
চাষের ক্ষতি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন-“বহু চাষের জমি জলের তলায় ডুবে গিয়েছে। অনেক ফসলের ক্ষতি হবে। এগুলিকে ক্রপ ইন্সুরেন্স এর মাধ্যমে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে। মাথায় রাখবেন দুর্যোগ যাই হোক সরকার আপনাদের সঙ্গে আছে। কেন্দ্রীয় সরকার একের পর এক প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। তা সত্ত্বেও আমরা দিচ্ছি। অন্যদিকে প্রচুর জল ছাড়া হচ্ছে। এবার ডিভিসি যে জল ছেড়েছে তা সব রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে। তাই ঠিক করেছি আগামী ২০২৬ এর নির্বাচনের পরে এই ডিভিসির জল এভাবে ছাড়লে তা কিভাবে আটকানো যায় তার প্ল্যানিং আমরা করব। আমাদেরও একটা ড্যাম করতে হবে। জানি এর জন্য টাকা লাগবে। আমরা ড্যাম করে এই জ্বর অন্যদিকে পাস করিয়ে দেবো। অনেক বলেছি আর নয়, এবার আমরা আমাদের প্ল্যান করব।”
ভোটার তালিকা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপ প্রসঙ্গে বলেন-” ওরা এস আর এর নামে এনআরসি করার পদক্ষেপ নিচ্ছে। যার যা ভোটার তালিকায় নাম আছে আছে। আবার নতুন করে হবে। এমন কেউ বাকি না থাকে যিনি ভোটার লিস্টে নাম তোলেননি। যেখানে অসুবিধা হবে বলবেন আমরা সঙ্গ দেব। মানুষের নাম্বারটি তাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া, আর ভারতীয় নাম বাদ দিয়ে তাদের বাংলাদেশী বলে দেওয়া -এটা চলবে না। এটা পুরো একটা প্ল্যান করা গেম। কেউই নিজের নাম তুলতে বাকি রাখবেন না ভোটার তালিকাতে ৷ “