Md Selim: ওয়াকফ সম্পত্তি ইস্যু পরিকল্পিত, মানুষের আসল সমস্যা চাপা দেওয়ার চেষ্টা এটা”: মেদিনীপুরে বললেন মহম্মদ সেলিম

মেদিনীপুর : সিপিআইএমের জেলা কমিটির বৈঠক ছিল বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর শহরে। সেই বৈঠক সেরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মোঃ সেলিম। প্রতিমাসেই সিপিআইএমের জেলা কমিটির বৈঠক হয়ে থাকে ৷ ভোটে ব্যাপক হারে হেরে যাওয়ার পরে বৃহস্পতিবার পর্যালোচনা বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক ৷ সেখানেই সাংবাদিক কাছে বিভিন্ন প্রশ্নে কেন্দ্র ও রাজ্যকে এক ভাবে আক্রমন করে গিয়েছেন ৷

সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ছটি বিধানসভা উপনির্বাচনে বামেদের ভরাডুবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন-” প্রতিটি জেলাকে তাদের পুঙ্খানুপুঙ্খ রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পর ডিসেম্বর মাসের শেষে আমাদের রাজ্য কমিটির বৈঠক রয়েছে সেখানে এটি নিয়ে আমরা পর্যালোচনা করব। “

ওয়াকফ বিল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রত্যাহারের দাবীতে সরব হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন-এই বিল আইনে পরিণত হলে ওয়াকফ সম্পত্তি ধ্বংস হয়ে যাবে। এই প্রসঙ্গে মোহাম্মদ সেলিম বলেন -” এই মুহূর্তে হঠাৎ ওনার মনে পরল ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে। এই রাজ্যে তৃণমূল ও ওয়াকফ বোর্ডে যে সমস্ত তৃণমূলের সদস্যরা রয়েছে, যারা সিন্ডিকেট চালায়, প্রশাসন পঞ্চায়েত পৌরসভা, সাংসদ বিধায়করা তারাই ধ্বংস করছে ও লুট করছে। এইসব রক্ষা করতে রাজ্য সরকার ইতিপূর্বে পূর্বে কি করেছে ? কেন্দ্রীয় সরকারও হঠাৎ করে ওয়াকফ আইন পাল্টাবার নাম করে পার্লামেন্টে ড্রাফট এনে একটি জয়েন কমিটি গঠন করে ফেলেছে। এটাই ভাওতা। এখন কি মূল সমস্যা এটাই? কৃষকেরা ফসলের দাম পাচ্ছে না, শিক্ষাক্ষেত্র ধ্বংস হয়ে গেছে, কর্মক্ষেত্র নেই, এসব থেকে নজর ঘোরাতেই এটা। ওয়াকফ জিনিসটা কি আর আইনটা কি এটা নিয়েই কজন জানে? সংখ্যালঘু দপ্তরের দায়িত্বে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, তিনি নিজেও জানেন না।”

বাংলাদেশে যা পরিস্থিতি তা নিয়ে এদের মোহাম্মদ সেলিম বলেন-” বাংলাদেশে যা ঘটছে এই মুহূর্তে তাতে আমরা কেউই খুশি নয়। আমরা অনেক আগেই বলেছিলাম ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি মেশানো উচিত নয়। সেটা বাংলাদেশ হোক আর ভারত হোক। মিশিয়ে দেওয়ার ফলে কি হচ্ছে বাংলাদেশ আফগানিস্তান বুঝতে পারছে। যে যেখানে বেশি সংখ্যায় আছে তাদের আধিপত্য তৈরি করতেই এই ধরনের রাজনীতির সঙ্গে ধর্মকে মেশানো হয়।”

মিড ডে মিলে সম্প্রতি খুবই সামান্য বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে, এই প্রসঙ্গে মোহাম্মদ সেলিম বলেন-” নরেন্দ্র মোদী কিংবা অমিত শাহ যখন ভোটের সময় এসে গরিবের বাড়িতে খেতে যান, তখন যে মেনুগুলো থাকে, আর গরিবরা মিড ডে মিলে যে মেনু পায় মিলিয়ে দেখবে অনেক পার্থক্য। গরিবের ছেলেমেয়েরা যাতে পড়তে গেলে কিছুটা খেতে পায় তার জন্য আমরা আন্দোলন করে এই মিড ডে মিল চালু করেছিলাম। কিন্তু এরা সকলে সেটা শেষ করে দিচ্ছে। মিড ডে মিল শিক্ষা ব্যবস্থার দুটোকেই তুলে দেওয়ার প্রচেষ্টা বিভিন্ন দিক থেকে হচ্ছে।।”

প্রতি সদস্য সংগ্রহ অভিযানে গিয়ে বিজেপি কর্মীদের জড়তা প্রসঙ্গে দলের শীর্ষ নেতা সুনীল বনসল বকাবকি করেছেন কর্মীদের। সেই প্রসঙ্গে মোঃ সেলিম বলেন -” আগে কে চিনত এই লোকটাকে। এর আগে কৈলাস বিজয় বর্গীয় ছিল। এখন উনি। আগে বাংলা যা বলতো ভারত বর্ষ তাই বলত। এখন সেখান থেকে লোক এসে এখানে বলছে। আর আমাদের নিজস্ব চেতনা বুদ্ধি অন্যের কাছে বন্ধক দিয়ে দিয়েছি। এটা বাঙালি বা বাংলার সংস্কৃতি নয়।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page