Santa: দুই শিক্ষকের মজার কান্ড বড়দিনের রাতে! শান্তা সেজে কি করলেন মেদিনীপুরে !
মেদিনীপুর: বড়দিনের রাত শুরুর মুহূর্তেই মেদিনীপুর শহরের রাস্তায় গভীর রাতে শান্তা সেজে বেরিয়ে পড়েছিলেন দুই শিক্ষক। দুজনেই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিজ্ঞ শিক্ষক। দুজনেই বন্ধু। দুজনে প্রস্তুতি নিয়ে সহযোগী অপর একজন শিক্ষক ও ছাত্রকে নেন। বাইক নিয়ে মেদিনীপুর শহরে গভীর রাতে বেরিয়ে পড়েছিলেন শান্তা সেজে। প্রথমেই হাজির মেদিনীপুর স্টেশনে। যাত্রীদের ভিড়ে মিশে বিলি করলেন চকলেট, দিলেন রেল কর্মীদেরও, পরে রাস্তায় শুয়ে থাকা ভবঘুরেদের ও শীতের রাতে তুলে দিলেন কম্বল। রাতভর ঘুরে অন্যরকম অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করলেন তারা।
মেদিনীপুর সদর ও শালবনী এলাকার দুটি উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক হলেন মেদিনীপুরেরই বাসিন্দা। একজন মনিকাঞ্চন রায়, অপরজন নরসিংহ দাস। দুজনেই কম বেশি সমবয়সী। পুরনো বন্ধু। দুজনে যুক্তি করে শান্তার মতো বিভিন্ন উপহার সামগ্রি থলেতে ভর্তি করে বেরিয়ে পড়েছিলেন মেদিনীপুর শহরে রাস্তায়। মঙ্গলবার গভীর রাতে বেরিয়েছিলেন তারা। শান্তা সেজে বাইক চালানোর ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। তাই সঙ্গে নিয়েছিলেন বিদ্যালয়েরই এক সহকারী শিক্ষককে এবং এক ছাত্রকে। শুরু করেন তাদের যাত্রা মেদিনীপুর স্টেশন দিয়ে।
মেদিনীপুর স্টেশনে তখন শেষ রাতের ট্রেন সম্ভবত। তার আগে স্টেশনে বেরিয়ে যাওয়ার গেটের সামনে দাঁড়িয়ে যান তারা। ট্রেন থেকে নামা যাত্রীদের হাতে তুলে দিলেন চকোলেট। ছোট্ট শিশু দের নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ মজা করলেন। তাদের হাতে বিভিন্ন রকমের খাবার তুলে দিলেন দুজনেই। ছিল উপহারও। এরপর সেখান থেকে সামনে থাকা রেলওয়ে কর্মী এবং টিকিট কাউন্টারে থাকা রেলওয়ে কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে তাদেরও চকলেট। তাদের এই কীর্তিকলাপ দেখে রেলওয়ে যাত্রী থেকে আধিকারিক সকলেই বুঝে নিলেন আসন্ন বড় দিনের আগে শান্তা রাস্তায় বেরিয়েছে। অনেকেই আবার সেলফি তুললেন তাদের সঙ্গে।
বেশ কিছুটা সময় স্টেশনে কাটিয়ে সেখান থেকে সোজা বেরিয়ে যান রাস্তায়। দেখেন শীতের রাতে রাস্তায় অনেক ভবঘুরে খোলা আকাশের তলায় পড়ে রয়েছেন। তাদের জন্য একটা করে কম্বল দেন। সঙ্গে থাকা খাবারও তুলে দিয়েছেন। শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে এভাবে উপহার তুলে দিয়েছেন। চকলেট দেওয়া হয়েছে খুলে রাখা দোকানের বিভিন্ন দোকানদারদেরও।

এদিন মনিকাঞ্চনরায় জানিয়েছেন-” ছদ্মবেশে ঘুরে রাতটাকে অন্যভাবে উপভোগ করার চেষ্টা করি আমরা। গত চার বছর ধরে দুজনে এভাবেই আমরা ঘুরছি। সব সময়ই বিভিন্ন শীতবস্ত্র সহ খাবার বিলি করে থাকি। একটা আলাদা আনন্দ উপভোগ করার জন্যই ছদ্মবেশে মেদিনীপুর শহরের রাস্তায় আমরা ঘুরে থাকি এই দিনটায়। খুবই ভালো লাগে।”