Toto clah: অবৈধ টোটো আটকাতে অনুমোদিত টোটোতে রঙ, শুরু করতেই মেদিনীপুরে প্রতিবাদে নামলে কয়েক হাজার টোটো

 

মেদিনীপুর: মেদিনীপুর শহরে
কয়েকশো অটো ছাড়া প্রায় পাঁচ হাজার টোটো চলে প্রতিদিন। যার মধ্যে অনুমোদিত টোটো
রয়েছে এক হাজারের নিচে
, অনুমতিহীন কয়েক হাজার টোটোর মেদিনীপুর
শহরে প্রবেশের কারণে নাভিশ্বাস চলাফেরায়। প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে অবৈধ টোটো
আলাদা করতে অনুমোদিত টোটো তে বিশেষ রং করা শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে। প্রশাসন
জানিয়েছে রং করা অনুমোদিত টোটো ছাড়া ২ মে থেকে কোনো টোটো মেদিনীপুরে চলবে না।
তারপরেই শুক্রবার মেদিনীপুর শহরে কয়েকশ টোটো চালক নেমে পড়লেন রাস্তায়। বাম
সংগঠনের নেতৃত্বে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে লিখিতভাবে জানালেন সমস্ত টোটোকে অনুমতি
দিতে হবে মেদিনীপুর শহরে রাস্তায়।

 

সংকীর্ণ মেদিনীপুর শহরে টোটো এর
সংখ্যাধিক্যের কারণে গত চার বছরের বেশি সময় ধরে একাধিক সমস্যায় ভুগছে মেদিনীপুর
শহর। যাত্রীর দখল নিয়ে টোটো অটো সংঘর্ষের ঘটনা বহুবার হয়েছে। দফায় দফায়
প্রশাসনের আধিকারিকরা বিভিন্ন স্তরে বৈঠক করেও সমাধান করতে পারেনি। এরপর ১১ ই
এপ্রিল চরম সিদ্ধান্ত নিতে হয় জেলা প্রশাসন ও মেদিনীপুর পৌরসভা কে বৈঠকের
মাধ্যমে।

 

পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান
জানিয়েছেন-” মেদিনীপুর শহরে অনুমোদিত টোটো ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে বাইরে থেকে
বিনা অনুমতির টোটো খদ্দের তোলার লোভে মেদিনীপুর শহরে ভিড় করছে। যে কারণে যানজট
তৈরি হচ্ছে মেদিনীপুরে। খদ্দেরের দখল নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। তাই পরিবহন দপ্তর
ও মেদিনীপুর পৌরসভার অনুমোদিত টোটো গুলিকে চিহ্নিত করতে বিশেষ রং করার উদ্যোগ
নেওয়া হয়েছে। ২ মে এর পর ওই রঙিন অনুমোদিত টোটো ছাড়া কোন টোটো মেদিনীপুর শহরে
চালানো যাবে না।”

 

সেইমতো বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর
শহরে অনুমোদিত টোটো গুলি কাগজপত্র জমা করে রং করার কাজ শুরু করেছে। নীল আকাশি রঙে
রং করা হচ্ছে টোটো গুলিকে। টোটো ইউনিয়নের সম্পাদক তাজ মোহাম্মদ খান বলেন-”
অনুমোদিত টোটো গুলি প্রশাসনের নির্দেশে কাগজপত্র মেদনীপুর পৌরসভাতে জমা করে এই রং
করছে। এই টোটো গুলি ছাড়া অন্য কোন টোটো শহরের রাস্তায় থাকবে না।”

 

এরপরই অনুমতিহীন অবৈধ টোটোদের চাপ
তৈরি হয়। শাসকদলের হাত ছেড়ে এমন কয়েকশ টোটো শুক্রবার সমবেত হয় মেদিনীপুর কলেজ
মাঠে। বাম টোটো ইউনিয়ন তৈরি করে সংঘবদ্ধভাবে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ
হয়। মেদিনীপুর কলেজ মাঠে সবাই টোটো রেখে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে
জানান-“সমস্ত টোটো চালকদের অনুমতি দিতে হবে। টোটো চালকদের বিমার ব্যবস্থা
করতে হবে
,
টোটোর ব্যাটারি রিচার্জ করার জন্য স্বল্পমূল্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা
দিতে হবে প্রভৃতি।”

এই দাবিতে বামেদের তৈরি সারা
বাংলা ই রিক্সা টোটো চালক ইউনিয়ন মেদিনীপুর কলেজ মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে জেলা
শাসক ও পুলিশ সুপারের দপ্তরে হাজির হয়। লিখিতভাবে নিজেদের দাবি রেখেছেন তারা।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page