thunder storm: কয়েক মাস পর বজ্র সহযোগে ঝড়-বৃষ্টি পশ্চিম মেদিনীপুরে,আধঘন্টাতেই মৃত্যু হল তিনজনের,বজ্রাহত দুই মহিলা সহ ৪

 

মেদিনীপুর: বৃহস্পতিবার বিকেল
সাড়ে চারটা নাগাদ প্রবল বজ্রবিদ্যুৎ সহযোগে ঝড়-বৃষ্টি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা
জুড়ে। আধ ঘন্টার এই ঝড় বৃষ্টিতেই বজ্রপাতে মৃত্যু হল
তিন জনের।আহত হয়ে চিকিত্সাধীন আরও ৪ ৷ বজ্রপাত বৃষ্টি
ছাড়াও মেদিনীপুর শহরে প্রবল শিলাবৃষ্টিও হয়েছে এদিন।
ফলে পাকা ধানের ক্ষতির
আশঙ্কা তৈরী হয়েছে ৷

কয়েক মাস ধরেই বৃষ্টিহীন ছিল
পশ্চিম মেদিনীপুর। তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। এক সপ্তাহ আগে সর্বাধিক
তাপমাত্রা ছিল
43.79 ডিগ্রি। প্রবল তাপমাত্রার কারণে অসুস্থ হয়ে
হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছিলেন
কয়েকজন। এর মাঝেই কালবৈশাখীর ঝড়
বজ্রবিদ্যুৎ বৃহস্পতিবার বিকেলে।

বিকেল সাড়ে চারটার পর জেলা জুড়ে
প্রবল বজ্রবিদ্যুৎ ঝড় শুরু হয়। চন্দ্রকোনা এলাকায় যাদবনগর গ্রামে তাপস পাতর(২৮)
নামে এক যুবকের মৃত্যু হয় বজ্রপাতে। মাঠে কাজ সেরে ফিরছিলেন তিনি। তখনই তার উপর
বজ্রপাত হয়। অন্যদিকে শালবনি এলাকার বাগমারিতেও বজ্রপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় স্বপন
ভূঁইয়া (৪৪) নামে এক ব্যক্তির। কাজে গিয়ে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছিলেন। তার
পর
বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলাই মৃত্যু হয় তার।
মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন শিরোমনি এলাকাতে
মাঠে হার্ভেস্টারে ধান কাটার কাজ দেখতে হাজির হয়েছিলেন গ্রামবাসীরা ৷ বজ্রপাত হচ্ছে
দেখে তাড়াতাড়ি মাঠ থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন ৷ সেখানেই বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলে
বৈদ্যনাথ সরেন (৫৫) নামে এক ব্যাক্তি মারা যান৷ আহত হন আরও দু-জন ৷ তাদের মেদিনীপুর
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷


অন্যদিকে চন্দ্রকোনা থানার
নীলগঞ্জ গ্রামে
বজ্রাহত হয়েছেন আরও এক মহিলা ৷ আহত মহিলার
নাম সম্বরি হেমব্রম(৪২)
,বাড়ি চন্দ্রকোনার নীলগঞ্জ
গ্রামে।স্থানীয় সূত্রে জানাযায়
,এদিন বিকেল নাগাদ বাড়ির
সামনে থাকা ছাগলের দড়ি খুলে গোয়ালঘরে আনার সময় হঠাৎই বজ্রপাত হয়
,তাতে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যান ওই মহিলা।তাকে উদ্ধার করে চন্দ্রকোনা
গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়
৷ তিনি সেখানে চিকিত্সাধীন৷ কেশপুরের আঙ্গুয়া
এলাকাতে মাঠ থেকে ফেরার সময় বজ্রাঘাতে আহত হয়েছেন মামনি ঘোষ নামে আরও এক মহিলা ৷ তিনিও
ভর্তি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৷


এদিনের ঝড় বজ্র বিদ্যুৎ ছড়াও
মেদিনীপুর শহর ও বিভিন্ন এলাকায় প্রচন্ড পরিমাণে শিলাবৃষ্টিও হয়েছে । ফলে এর
দ্বারা মাঠের পাকা ধানে প্রচণ্ড ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে কৃষি
দপ্তর ও প্রশাসন।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page