Ghatal: ভাইফোঁটার দিনেও ভাইয়ের কাছে পৌঁছোতে পারে না এঁরা, উপহার নিয়ে ভাইফোঁটা নিতে গেলেন মহাকুমা শাসক

Ghatal: ভাইফোঁটার দিনেও ভাইয়ের কাছে পৌঁছোতে পারে না এঁরা, উপহার নিয়ে ভাইফোঁটা নিতে গেলেন মহাকুমা শাসক

ঘাটাল: ভাইফোঁটার দিনেও নিজেদের ভাইয়ের কাছে পৌঁছতে পারেন না এরা। পরিবারের কাছেই ঘেঁষতে পারেন না, সামাজিক বয়কটের শিকার ওরা। ঘাটালের দুর্বারপল্লীতে থাকা সেই মহিলাদের কাছে ভাইফোঁটা নিতে ছুটে গেলেন ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস। সঙ্গে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী। রবিবারের সকালটা তাদের কাছে পরিবারের অনুভূতি এনে দিলেন মহকুমা শাসক, ও প্রেক্ষিত তৈরি করে দেওয়া রেডক্রস সোসাইটি।

ঘাটালের দুর্বারপল্লীতে অনেক দুর্বার সদস্যা থাকেন। অনেকে তাদের পতিতা বলেন, বিভিন্ন লোকে বিভিন্ন নাম দিয়ে ডেকে থাকেন তাদের । ঘাটালের রেডলাইট জোন বলে তাদের এলাকাটিকে অনেকে৷  বিভিন্ন উৎসবের মত ভাইফোঁটার মতো দিনটাতে এই পল্লীতে একটা অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ থাকে এই সমস্ত সদস্যাদের মনে। কারণ এনারাও এই বিশেষ দিনগুলোতে পরিবারের সদস্যদের বা সদস্যাদের কথা মনে করেন। কিন্তু তাদের সংস্পর্শে যেতে পারেন না। সমাজের চোখে এরা নাকি খারাপ। ফলে এই দিনগুলি খুবই দুঃখের থাকে এই সমস্ত লোকজনের কাছে।



এই ধরনের লোকজনের কাছেই খানিকটা খুশির পরিবেশ তৈরী করতে ছুটে যান এক ধরনের স্বেচ্ছাসেবীরা। ভারতীয় রেডক্রস সোসাইটির ঘাটাল মহকুমা শাখার পক্ষ থেকে গত কয়েক বছর ধরেই একটা অনুষ্ঠান হয়ে থাকে ঘাটালের এই বিবেকানন্দমোড় তথা দুর্বার পল্লী এলাকাতে। যেখানে এই সমস্ত দুর্বার সদস্যাদের জন্য বিভিন্ন রকমের পোশাক ,উপহার নিয়ে হাজির হন তারা। গত চার বছর ধরে এই আয়োজনের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকছেন ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস। এবারও ছিলেন। এই সমস্ত মহিলাদের ভাই হিসেবে প্রথমেই ফোঁটা নেওয়ার জন্য উপস্থিত হন তিনি। সমস্ত নিয়ম নীতির ওয়াজ মেনে ভাই হিসেবে তাকে বরণ করেন ওই দুর্বার পল্লীর মহিলারা। সম্মান দিয়ে সমস্ত নিয়ম মেনে ভাইয়ের মত সম্মান করলেন এবারও।


রবিবার সকালে রেড ক্রস সোসাইটির আধিকারিকদের সাথে মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস হাজির হয়েছিলেন। ছোট্ট অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মহকুমা শাসক সহ উপস্থিত সকলকে ভাই হিসেবে ভাইফোঁটা দিলেন মহিলারা। মহকুমা শাসকও বিভিন্ন রকম উপহার নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের জন্য। তুলে দিলেন তাদের হাতে। মহকুমা শাসক বলেন-” এ বিশেষ দিনগুলোতে এরা পরিবারকে খুব মিস করেন। চাইলেও পরিবারের সদস্যদের কাছাকাছি যেতে পারেন না। একপ্রকার সামাজিক বয়কটের শিকার এনারা। তাই ভাই ফোটার দিনগুলোতে অন্তত তাদের ভাই হিসেবে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করেছি গত চার বছর ধরে। চেষ্টা করি এদের জন্য ভালো কিছু করার।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page