Medinipur : “গত তিনবার জেতার মতো পরিস্থিতি ছিলনা, চতুর্থবারে নিশ্চিত জিতছি”-পঞ্জিকা মেনে মনোনয়ন দিয়ে দাবি বিজেপি প্রার্থীর

মেদিনীপুর: মেদিনীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রথম প্রার্থী ঘোষণার মতো প্রথম মনোনয়নও জমা দিলেন বিজেপি প্রার্থী শুভজিৎ রায়। বুধবার দুপুরে বিশাল সুসজ্জিত শোভাযাত্রা করে মেদিনীপুর শহর পরিক্রমা করার পর মেদিনীপুর সদর মহকুমা শাসকের অফিসে মনোনয়ন জমা করলেন তিনি। পাঁজির সময় অনুসারে দিনক্ষণ মেপে ৩ টা ৪৬ এ মনোনয়ন জমা করছেন তিনি মহকুমা শাসকের অফিসে। তার সঙ্গ দিলেন পুরো শোভাযাত্রায় বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, সাংসদ সৌমেন্দু অধিকারী, সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো।
মেদিনীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপির এই প্রার্থী গত তিনবার নির্বাচনী লড়াই করেছিলেন। ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করে হেরেছিলেন। ২০১৯ সালে ও ২০২৩ সালে পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নিয়েও হেরেছিলেন। কোন বারেই জয় করতে না পারা এই শুভজিৎ রায় কেই বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রার্থী করেছে দল। তিনদিন ধরে প্রচারের পর বুধবার বেলা বারোটা নাগাদ মেদিনীপুর শহরের কালীমন্দিরে পুজো দিয়ে বিশাল শোভাযাত্রা বের করেন মেদিনীপুর শহরের রাস্তায়। সঙ্গে ছিলেন দিলীপ ঘোষ সহ দুই বিজেপি সাংসদ। হুডখোলা গাড়িতে শোভাযাত্রা করে হাজির হয়ে যান মেদিনীপুর শহরের মহকুমা শাসকের অফিসে।
শুভজিৎ রায় বলেন-” পাঁজির নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট সময়ে এই মনোনয়ন জমা করছি। ইতিপূর্বে ২০১১ তে আমাদের বিজেপির কোন অস্তিত্ব তেমন ছিল না এই জেলাতে। তারপরেও যে দুটি নির্বাচন রয়েছে সেখানে ও পুলিশের পক্ষপাতিত্ব ছিল। তাই আমাকে তিনটি নির্বাচনে হারতে হয়েছিল। এবার পরিস্থিতি একেবারেই অনুকূল। এবার আর জয়ের ক্ষেত্রে আমাদের কোন বাধা নেই।”
এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন-” মানুষ এবারে এই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। দল শুভজিৎ রায়ের মতো একজন আইনজীবী ও সজ্জন ব্যক্তিকে প্রার্থী করেছে। তার জয় এবারে নিশ্চিত। আমরা সকলেই তার পাশে আছি।”
এদিন রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ইডি-র অভিযান প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন -” এই অভিযান চলতেই থাকবে। বহু জায়গাতেই দুর্নীতি বিভিন্ন ক্ষেত্রে করেছে এ রাজ্য সরকারের নেতা-মন্ত্রীরা। অভিযান চলবে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
একইসঙ্গে ঘূর্ণিঝড় ডানা প্রসঙ্গে বলেন -” রাজ্য সরকারের কাছে খুন ধর্ষণ মোকাবেলার জন্য যেমন কোন ব্যবস্থা নেই, ঠিক একইভাবে এই ধরনের কোন দুর্যোগ হলে তার মোকাবেলার কোন পরিকাঠামো নাই। সেই দিল্লি থেকে না হলে উড়িষ্যা থেকে উদ্ধারকারী এনডিআরএফ কে ছুটে আসতে হয়। এর রাজ্য একেবারে পরিকাঠামোহীন।”