Daspur : দোকান থেকে মোটা টাকার সোনা নিয়ে ফেরার কারিগর,সালিশিতে উদ্ধার না হওয়ায় বাবা ছেলেকে অপহরণ

দাসপুর: পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের বাসিন্দা সুভাষ মালিক। দিল্লিতে তার একটি সোনার গহনা তৈরীর দোকান রয়েছে। সেই দোকানেরই কারিগর ছিলেন দাসপুরের গোপমহল সুরতবাড় গ্রামের বাসিন্দা অজয় সামন্ত। বেশ কিছুদিন আগে অজয় দোকান থেকে বেশ কিছুটা সোনার জিনিস নিয়ে নাকি সেখান থেকে গোপনে পালিয়ে এসেছিল নিজের বাড়িতে। এরপরে দোকানের মালিক তাকে খোঁজ করে এসে সোনা আদায়ের চেষ্টা করেন। উদ্ধার করতে না পেরে বাবা ও ছেলেকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ পেয়ে শনিবার রাতে দাসপুর থানার পুলিশ উদ্ধার করলো বাবা ও ছেলেকে। আটক করা হয়েছে এই ঘটনায় অপহরণকারী দুজনকে।



স্থানীয় মনোহরপুর দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান জয়দেব দলুই জানান- গত প্রায় একমাস আগে ওই সোনা দোকানের কারিগর অজয় সামন্ত সুভাষ মালিকের দোকান থেকে ২৩৫ গ্রাম সোনা নিয়ে পালিয়ে এসেছিল বলে অভিযোগ। এরপরই তার খোঁজ শুরু করেছিল দোকানের মালিক। খোঁজ করে তারা দাসপুরের ওই কারিগরের বাড়িতে এসে জানতে পারে সে নাকি ব্যাঙ্গালোর চলে গিয়েছিল আবার। পুনরায় তাকে সেখান থেকে ফেরত আনার ব্যবস্থা করা হয়। তারপরেও অজয় নাকি দোকান মালিকের মুখোমুখি হতে চায়নি। এই পরিস্থিতিতে- গত ৬ ডিসেম্বর গ্রামে একটি সালিশি সভা বসে। যেখানে গ্রামবাসীদের মধ্যস্থতায় নিজের খোয়া যাওয়া সোনা উদ্ধার করার চেষ্টা করেন দোকান মালিক সুভাষ মালিক। কিন্তু সেই সালিশি সভাতে উপস্থিত হয়নি অজয় সামন্ত তথা প্রধান অভিযুক্ত।


ফলে সেদিন সমাধান হয়নি। জয়দেব বাবুর আরও দাবি- এরপরেই অজয়ের বাবাকে সঙ্গে নিয়ে যায় ওই দোকানের মালিকের ছেলে ও সঙ্গীরা। পরে জানতে পেরেছিলাম অভিযুক্ত অজয় ও তার বাবা মধুসূদন সামন্ত দুজনকেই নাকি তুলে নিয়ে গিয়েছে দোকান মালিকের ছেলে ও তার সঙ্গীরা।



এরপরেই মধুসূদন সামন্ত ও তার ছেলে অজয় সামন্তকে অপহরণ করা হয়েছে বলে দাসপুর থানার পুলিশকে অভিযোগ জানান মধুসূদন সামন্তের স্ত্রী কৃষ্ণা সামন্ত। সেই মতো দাসপুর থানার পুলিশ বিভিন্ন সূত্র থেকে খবর নিয়ে শনিবার রাত নটার পরে দাসপুরের একটি স্থান থেকে অপহৃত থাকা বাবা ও ছেলেকে উদ্ধার করে। অপহরণের অভিযোগে এই কাণ্ডে থাকা আরো দুজনকে আটক করে। ঘটনায় চাঞ্চল্যকর একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়।এই বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে-একটি অভিযোগ পেয়ে তদন্ত নেমে উদ্ধার করা হয়েছে দুজনকে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page