Ghatal master plan: ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে প্রথমেই ভাঙ্গা পড়ছে পৌর প্রধানের দোতলা বাড়ি !
ঘাটাল: পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে মাস্টার প্ল্যানের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রথমেই শুরু হচ্ছে ঘাটাল শহরের ভেতরে শিলাবতী নদী ঘেঁষে সার্কিট বাঁধ। সেখানেই বহু বাড়ি ও দোকান ঘর ভাঙা পড়তে চলেছে। প্রথমেই ঘাটাল পৌরসভার চেয়ারম্যানের ঝাঁ চকচকে দোতলা বাড়ি। দশ বছর ধরে তৈরি হয়েছে একটু একটু করে ,সম্পন্ন হয়েছে সম্প্রতি। তারপরেই পড়ছে প্রাক্তন উপ পৌর প্রধানের বাড়ি। সকলেই জানালেন-” বৃহত্তর স্বার্থে উৎসর্গ করব। এগিয়ে আসুন আরো সবাই।” তবে বেঁকে বসছেন ঘাটালের ব্যবসায়ীরা।
ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে ভাঙ্গা পড়বে পুর প্রধান তুহিন কান্তি বেরার বাড়ি! দশ বছর ধরে তিল তিল করে গড়ে তোলা হয়েছে বাড়িটি । তারপরেই মাষ্টার প্ল্যানের রূপরেখা তৈরি হতেই বুঝতে পারেন বাড়িটি ভাঙ্গা পড়তে চলেছে। শখের নবনির্মিত বাড়িটি,তাও ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য দিতে চান ঘাটাল পৌরসভার চেয়ারম্যান। এমন কি হাত জোড় করে ঘাটালের মানুষকে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানালেন চেয়ারম্যান। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে জমি অধিগ্রহণের তোড়জোড় চলছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে বোঝানোর কাজ শুরু হয়েছে।
জানাযায়, ঘাটাল শহরের মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়েছে ঘাটালের শিলাবতি নদী। শিলাবতী নদীর পশ্চিম পাড়ে ঘাটাল বাজারে দুই দিকে ৬০ ফুট করে জমি নেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে। ইতিমধ্যে মাপজোক করে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। নদীর পাড়ে যেমন সরকারি জমির রয়েছে, তেমন রয়েছে রায়ত জমিও। উভয় জমি থেকেই জমি নেওয়ার প্রয়োজন হয়েছে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণের জন্য।
কারণ ঘাটালকে বন্যা থেকে বাঁচাতে ১২ টি ওয়ার্ডকে নিয়ে সার্কিট বাঁধ তৈরীর প্রস্তাব রয়েছে। এর জন্য ঘাটাল শহরের পশ্চিম পাড়ে নদী ঘেঁষে রায়ত জমি কিনবে সরকার। ইতিমধ্যে মাপ যোগ করে দাগও দেওয়া হয়েছে। সেখানেই ভাঙ্গা পড়বে পুর প্রধান তুহিন কান্তি বেরার বাড়ি, সেই তালিকায় আছে ঘাটাল পৌরসভার প্রাক্তন উপ প্রধানের বাড়িও। সঙ্গে ঘাটাল শহরের শতাধিক দোকানও। তবে দোকানদাররা নাছোড়বান্দা। তারা জানালেন -” বন্যা আমাদের অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। ওতে সমস্যা হবে না। কিন্তু শত বছরের পুরনো দোকান চলে গেলে আমরা না খেতে পেয়ে মরবো। তাই দোকান দিতে পারবো না।”