Kharagpur Rail: রেলওয়ে রাস্তা বন্ধ করেছিল, বাংলো বন্ধ করে দিল বস্তিবাসীরা,তুমুল ধ্বস্তাধ্বস্তি

Kharagpur Rail: রেলওয়ে রাস্তা বন্ধ করেছিল, বাংলো বন্ধ করে দিল বস্তিবাসীরা,তুমুল ধ্বস্তাধ্বস্তি

Kharagpur : পরপর বস্তি উচ্ছেদ শুরু করেছিলেন রেলওয়ে ডিআরএম(Kharagpur DRM), তার বাংলোকে বস্তির লোকজন দিয়ে ঘেরাও করে দিলেন তৃণমূলের(TMC leader) নেতারা। হুশিয়ারি দিলেন -” বস্তির লোকজন যদি থাকতে না পারে আপনাকেও স্বাভাবিক থাকতে দেওয়া হবে না। বস্তিবাসীরা গৃহ হারালে, আপনারও জল রাস্তা সব বন্ধ করে দেওয়া হবে।”সকাল থেকে তীব্র উত্তেজনা পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর(Medinipur Kharagpur) শহরে। নিরাপত্তায় গার্ডেনরিচ থেকে অতিরিক্ত আরপিএফ(RPF) নিয়ে যেতে হল রেলওয়েকে।পরিস্থিতি শুধরাতে তীব্র ধ্বস্তাধ্বস্তি ৷ অসুস্থ্য হলে টিএমসি নেতা অসিত দাস৷

গত কয়েক মাস ধরে খড়গপুর রেল শহরের বিভিন্ন বস্তিতে রেলের জায়গা উদ্ধার শুরু করেছিলেন নতুন ডিআরএম কে আর চৌধুরী(DRM K R Chowdhury)। সেই সাথে খড়গপুর শহরের(Kharagpur town) একাধিক রেলের এলাকায় প্রধান রাস্তা গুলিতে প্রাচীর দেওয়া শুরু করে রেলওয়ে। অস্বাভাবিক পরিস্থিতি শুরু হয় খড়গপুর রেল(KGP Rail) শহরে। তারপরেই বস্তিবাসিদের সাথে প্রতিবাদে শামিল হন রেলকর্মীপরিবারের লোকেরাও৷ রেলওয়ের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বাধা দিতে শুরু করে তৃণমূল।

বস্তি বাঁচাও সংগ্রাম কমিটির ব্যানারে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। রেলের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তৃণমূলের নেতাদের ও কাউন্সিলরদের নামে মামলা শুরু হয়। পাল্টা তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ও জনপ্রতিনিধিরা মামলা করেছেন রেলওয়ে ডি আর এম ও এডিআরএম সহ রেলওয়ে আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। বাগবিতণ্ডা অব্যাহত।

এই পরিস্থিতিতে বুধবার সকাল আটটা থেকে খড়্গপুরের ডি আর এম এর বাংলো ঘেরাও করার কর্মসূচি নেয় বস্তি বাঁচাও সংগ্রাম কমিটি। খবর পেয়ে খড়্গপুরের আরপিএফ ছাড়াও রেলের হেডকোয়ার্টার গার্ডেনরিচ(Gardenrich) থেকে অতিরিক্ত বাহিনী এনে ডিআরএম বাংলো সংলগ্ন এলাকায় দুই প্রান্তের রাস্তা টিন ও ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেয় রেল পুলিশ। বুধবার সকাল থেকে চলে তীব্র উত্তেজনা। ব্যারিকেডের সামনেই ধর্না শুরু করেন তৃণমূলের নেতৃত্বে বস্তি বাঁচাও সংগ্রাম কমিটি ৷

বুধবার সকাল ৮ টা থেকে চলা বিক্ষোভ প্রায় তিনঘন্টা চলার পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেয় রেল পুলিশ ৷ জোর করে অবস্থান আন্দোলন সরাতে গেলে তীব্র ধ্বস্তাধ্বস্তি শুরু হয়ে যায় ৷ হালকা লাঠি চার্জ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ কমিটির ৷ এসে স্থানীয় নেতৃত্বে থাকা অসিত দাস অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷ তাঁকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে ৷  

নেতৃত্বে থাকা তৃণমূলের নেতা প্রদীপ সরকার(Pradip Sarkar) বলেন-” রেল তার জমি সব জায়গায় দখল করবে বলছে। সব জমি নাকি তাদের। এই জমি রাজ্য সরকারের। সেখানে মানুষ যদি স্বাভাবিক বিচরণ করতে না পারে তাহলে আমরাও রেলের এই অফিসারদের স্বাভাবিক থাকতে দেবো না। রেলওয়ে আধিকারিক রেল কর্মী সকলের জন্য জল আসে কংসাবতী নদী থেকে। রাজ্য সরকারের রাস্তার উপর দিয়ে সেই জলের লাইন এসেছে। আমরাও সেগুলি বন্ধ করে দেব। রেলের নিকাশি নালার জল রাজ্যের কথা পৌরসভার এলাকার উপর দিয়ে যায়। আমরাও তাহলে তা বন্ধ করে দেবো। অবিলম্বে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করুন। না হলে আমরা আপনাকে আপনার বাংলোর মধ্যেই একটি কথা করে দেব।”

পাল্টা ডি আর এম‌-কে আর চৌধুরী জানিয়েছেন-” এটা এমন একটা রাজ্য যেখানে দখলদারদের প্রশাসন সহযোগিতা করে। আমরা নিয়ম অনুযায়ী উচ্ছেদ করতে গিয়েছি আমাদের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। আমার নিজের নামেও মামলা করা হয়েছে। আলোচনায় ডেকেছি কেউ আসছেন না। কিন্তু আমরা আমাদের কাজ করব। অফিসের সিদ্ধান্ত অফিসে বলা ঠিক ছিল। বাংলো ঘেরাও করার সিদ্ধান্ত ভুল”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page