Holi: রং মেখে স্নান করতে নেমে নদীতে নিখোঁজ! মেদিনীপুরের চাঞ্চল্য

মেদিনীপুর: হোলি উপলক্ষে রঙিন উৎসবে মেতেছিল অন্যান্যদের সঙ্গে তারাও। রং মেখে আনন্দ করতে করতে ১২ বছরের এক নাবালক তার আরো দুই সঙ্গীকে নিয়ে নদীতে স্নান করতে গিয়েছিল। পরিবারের লোকের অজান্তেই তারা মেদিনীপুর শহরের প্রান্তে আমতলা ঘাটে কংসাবতী নদীতে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গেল এক নাবালক। প্রায় দেড় ঘন্টা পর তার নিথর দেহ উদ্ধার হল ডুবুরি দিয়ে। ঘটনায় চাঞ্চল্যকর ও শোকের পরিবেশ মেদিনীপুর শহরের আমতলা ঘাট এলাকায়। দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দুপুর দুটো নাগাদ মেদিনীপুর শহরের আমতলা ঘাট এলাকায়।

মেদিনীপুর শহরে ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কবিরাজ পাড়ার বাসিন্দা সোহান দাস(১২)। মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ এর সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। হোলির দিনে পাড়ার অন্য নাবালকদের সঙ্গে বেরিয়ে পড়েছিল রং খেলতে। বাড়ির লোকেরা সেভাবে বিষয়টা বুঝতে পারেনি। পাড়ার ছেলেদের সঙ্গে রং খেলতে খেলতে নদীতে স্নান করার যুক্তি করে তারা। এরপরেই তিন বন্ধু মিলে শটান হাজির হয়ে যায় সেখান থেকে কিছুটা দূরে কংসাবতী নদীর ধারে আমতলা ঘাট এলাকায়। ওই এলাকার লোকজন তাদের নদীর পাড়ে দেখতে পেয়েই মতলব বুঝতে পেরেছিল। তাদের সেখান থেকে ফিরতে বললেও, ওই নাবালকেরা জানায় তারা পরিবারের লোকজনের সঙ্গে এসেছে। ফলে আর বেশি গুরুত্ব দেয়নি স্থানীয়রা।

অন্যদিকে তিনজনেই নদীতে স্নান করতে নামতেই, সোহন হঠাৎ করে গভীর জলে চলে যায়। তাকে দেখতে পেলেও বাকি দুজন উদ্ধার করার সাহস পায়নি। তাড়াতাড়ি সবাইকে ডাকাডাকি করলেও ততক্ষণে সোহন এর আর হদিস মেলেনি।

খবর যাই পৌরসভা ও পুলিশের কাছে। ছুটে আসেন কোতোয়ালি থানার পুলিশ ও মেদিনীপুর পৌরসভার পৌর প্রধান সৌমেন খান সহ ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ও সকলেই। প্রাথমিকভাবে স্থানীয়রা কিছুটা খুঁজেও কোন সন্ধান পায়নি। অবশেষে , মেদিনীপুর সদরের রামনগর এলাকার বাসিন্দা এক ব্যক্তি যিনি ডুবুরির কাজ করে থাকেন তাকে ডাকা হয়। তিনি দীর্ঘক্ষণ খোঁজার পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর নিথর দেহ উদ্ধার হয়েছে নাবালকের। দ্রুত তার দেহ উদ্ধার করে কোতোয়ালি থানার পুলিশ নিয়ে যায় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। মৃত ঘোষণা করা হয়।

এই ঘটনার পর, কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল বলেন-” কবিরাজ পাড়ার বাসিন্দা ওই নাবালক এভাবে নদীর পাড়ে চলে আসবে কেউই বুঝতে পারেনি। ঘটনাটি মর্মান্তিক।” মেদিনীপুর পৌরসভার পৌর প্রধান সৌমেন খান জানিয়েছেন -” মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে। তবে এই ঘটনায় একটা স্থায়ী ডুবুরির অভাব খুব বোঝা যাচ্ছে। মহকুমা শাসক কে আমি আবেদন করেছি অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ একজন ডুবুরি যাতে সব সময় পাওয়া যায় তার ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে এই ধরনের ঘটনা হলে অন্তত উদ্ধার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্ভব হবে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page