Bus accident : যাত্রীবাহী বাসের কাঁচ ভেঙে ঢুকে গেল বিদ্যুৎ দপ্তরের গাড়িতে থাকা বাঁশের সিঁড়ি

মেদিনীপুর: ট্রাফিক সিগন্যালে হঠাৎ ব্রেক কষলে বিদ্যুৎ দপ্তরের গাড়িতে থাকা বাঁশের সিঁড়ি ঢুকে গেল যাত্রীবাহী বাসের কাঁচ ভেঙে ভিতরে। ঘটনাটি মেদিনীপুর শহরের কেরানিতলা এলাকায়। বাসের চালকের অভিযোগ, ট্রাফিকের সিগন্যাল বিভ্রান্তির কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। একই অভিযোগ বিদ্যুৎ দপ্তরের গাড়ির চালকেরও।



শুক্রবার বেলা বারোটা নাগাদ এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে তর্কবিতর্ক শুরু হয়ে যায় দুই চালকের। বাস চালকের অভিযোগ, সামনে বিদ্যুৎ দপ্তরের গাড়ি ছিল, তাতে অনেকটা বেরিয়ে ছিল একটি বাঁশের সিঁড়ি। গাড়িটি চলতে চলতে হঠাৎ ব্রেক কষলে পেছনে থাকা বাসের কাঁচ ভেঙে ভেতরে ঢুকে যায়। তবে রক্ষে পেয়েছেন বাসের চালক সহ যাত্রীরা‌। ঘটনার পরে যানজট সৃষ্টি হয় কেরানীতলা এলাকায়।



বাসের চালক তপন সামন্ত বলেন, “প্রথমে ট্রাফিক সিগন্যাল দেখিয়ে গাড়ি দাঁড় করায়। পরে আগে থাকা বিদ্যুৎ দপ্তরের গাড়িটি চলতে শুরু করে। সেই সময় বাসও চলতে শুরু করলে হঠাৎ বিদ্যুৎ দপ্তরের গাড়িটি দাঁড়িয়ে পড়ে। তখনই এই ঘটনাটি ঘটেছে।” বিদ্যুৎ দপ্তরের গাড়ির চালক সেখ শামসুদ্দিন বলেন, “প্রথমে ট্রাফিক সিগন্যাল দেখালো দাঁড়ানোর। সেই সময় দাঁড়িয়ে গেছি। তারপর সিগন্যাল তুলে নিতে গাড়ি চলতে শুরু করে। তখন হঠাৎ আবার সিগন্যাল দেখায়। আমি দাঁড়াতেই পেছনে থাকা বাস এসে ধাক্কা মারে। বাঁশের সিঁড়িটা লেগে কাঁচ ভেঙে যায়। সামনে কোনো গাড়িই ছিল না। রাস্তা ফাঁকা ছিল। দু’বার ধরে এই ট্রাফিক বিভ্রান্তির জেরে দুর্ঘটনা ঘটেছে।”




ঘটনার পরে অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা এসে যানজট নিয়ন্ত্রণ করে। তবে মেদিনীপুর শহরে ক্রমবর্ধমান টোটো নিয়ে যানজট বেড়েই চলেছে ৷ তাতে পরিস্থিতি জটিল থেকে জটিলতর হয়ে গিয়েছে ট্রফিকের দায়ীত্বে থাকা পুলিশ কর্মীদের ৷ যে কারনে সকাল থেকে বিকেল পুলিশ ট্রাফিকের দায়ীত্বে থাকা কর্মীদের অনেক বেশি চাপ তৈরী হয় ৷ প্রশাসনিক কর্তাদের নজর কেড়েছেন তারাও এই সমস্যার সমাধানে ৷ শুক্রবার দুপুরের ঘটনাও এই টোটো যানজটের পরোক্ষ ফল ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page