RGKar protest: বাংলা কৃষ্টি সংস্কৃতি ঐতিহ্য -এই কথাটা যদি আন্দোলনকারীরা একটু মাথায় রাখতেন, তাহলে বিশ্বের দরবারে বাংলা আলোচনার বিষয়বস্তু হতো না। -আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে বললেন মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া,

মেদিনীপুর: রাজ্যের অন্যান্য জেলার গুলির সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরে ও দুর্গাপুজোর কার্নিভালের আয়োজন হয়েছিল মেদিনীপুর শহরে। ১৭ টি পূজো কমিটি নিয়ে জমজমাটির সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই কর্মসূচি সম্পন্ন হয়েছে সোমবার রাতে। প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত এই কার্নিভাল অনুষ্ঠানে মেদিনীপুরে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক খুরশেদ আলী কাদেরী, পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার, সাংসদ জুন মালিয়া, রাজ্যের সেচ ও জলসম্পদ দপ্তরের মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া। এদিনের এই অনুষ্ঠান পর্বে নিজের বক্তব্যে কার্নিভাল ইস্যুতে বিরোধীরা যে সমস্ত খোঁচা দিয়েছে তার জবাব দিলেন মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া।
রাজ্যের একটা অংশে আরজিকর ইস্যুতে আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। ধর্মতলাতে জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন আন্দোলন অব্যাহত গত ১০ দিন ধরে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যজুড়ে দুর্গাপূজার যে কার্নিভাল অনুষ্ঠান প্রশাসনের উদ্যোগে তা বন্ধ রাখা উচিত বলে অনেকেই মন্তব্য করেছিলেন। বিরোধীদের একটা অংশ এটা তীব্র সমালোচনা পর্যন্ত করেছে। চিকিৎসক সংগঠন আবার এর পাল্টা দ্রোহের কার্নিভালের ঘোষণা করেছিলেন। তারি পাল্টা এদিন জবাব দিলেন মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া।
তিনি বলেন- “যেদিন থেকে এই কার্নিভালের আয়োজন হয়েছে, বিপ্লবী মেদিনীপুর শহর তার অংশীদার হয়েছে। এর থেকে ভালো জিনিস আর কিছু হতে পারে না। সারা পৃথিবীর সংস্কৃতি জগৎ ইউনেস্কোর মাধ্যমে, এই কার্নিভালকে কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগকে স্বীকৃতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক স্তরে। অত্যন্ত দুঃখের ও বেদনার বিষয় -সেটা নিয়েও অনেকে সমালোচনা করেন। এই মুহূর্তে ন দশটি জেলা প্লাবিত পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন এই পরিস্থিতিতে থাকা মানুষের পাশেও থাকতে হবে, আবার দুর্গার আরাধনাও করতে হবে। এই কাজটা আমরা নেত্রী নির্দেশে পুরোটা না হলেও বেশিরভাগটা করতে সক্ষম হয়েছি। আজও বহু পুজো কমিটি এই কার্নিভালে অংশ নেবেন। এই কাজের মধ্যেও অনেকে মুখ্যমন্ত্রীকে বলছেন অনেকে, যা শুনে অবাক লাগলো , নাট্য ব্যক্তিত্ব বলছেন কার্নিভালটা বন্ধ রাখা যায় না ? ৪৪ বছর ধরে বিধায়ক হিসেবে রয়েছি, এমন অনেক ঘটনা মুখোমুখি মোকাবেলা করেছি আমরা। মায়ের বোধন মায়ের পুজন, মা আবার দেবাদিদেব মহেশ্বর এর কাছে ফিরে যাবে, এটা কি বন্ধ রাখা যায়? বাংলার মানুষের বিবেকের কাছে আমি এই উপস্থাপনা করছি।”
এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন-” আন্দোলন আন্দোলনের জায়গায় থাকবে। মা দুর্গার পূজন বিসর্জন বোধন এটাতো ফিরে আসবে না বারবার। বাংলা কৃষ্টি সংস্কৃতি ঐতিহ্য -এ কথাটা যদি আন্দোলনকারীরা একটু মাথায় রাখতেন, তাহলে বিশ্বের দরবারে বাংলা আলোচনার বিষয়বস্তু হতো না। মুখ্যমন্ত্রী এই পরিস্থিতিতে যেভাবে একটা পর্যালোচনা মধ্য দিয়ে বিষয়টা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন , আমি একজন ডাক্তার হিসেবে মনে করি ডাক্তারদের এক্ষেত্রে হাত বাড়িয়ে সহযোগিতা করা উচিত ছিল।”