TET-SSC scam: সিপিএম আমলে ইন্টারভিউ ছাড়াই বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০০, মেদিনীপুর কলেজে ৮২ জনের চাকরি,দাবি উঠলো তদন্তের
মেদিনীপুর: নিয়োগ
দুর্নীতি নিয়ে বর্তমানে শাসকদল বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরাচ্ছেন
বিরোধীরা। তৃণমূলের বহু নেতাও গ্রেফতার। চাকরিও হারিয়েছেন কয়েক হাজার। সেই মুহূর্তে মেদিনীপুর থেকে সিপিএম–বিজেপির বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলল তৃণমূল। সুশান্ত ঘোষ সহ
একাধিক সিপিএম নেতা ও বিজেপির দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধেও নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব
হলেন তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি।বৃহস্পতিবার
মেদিনীপুর শহরে কালেক্টরেট মোড়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে ধর্না শুরু করেছিলেন
তাঁরা । সেখানেই সাংবাদিক সম্মেলনে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন বাম আমলের নিয়োগ নিয়ে ।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি
বলেন,
“অনেক সিপিএম নেতারা নেচেছেন তৃণমূল নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত
বলে। নিয়োগ দুর্নীতিকে আমরাও সমর্থন করি না। আইন তার আইনের পথে চলবে। কিন্তু সুজন
চক্রবর্তীর স্ত্রী ইন্টারভিউ ছাড়া চাকরি পেয়েছেন কেন? তিনি
কাস্টডিতে যাবেন না? সুশান্ত ঘোষের পরিবার ২২ টা চাকরি পেয়েছে ইন্টারভিউ ছাড়া। তাঁর বাড়ির কুকুর বিড়াল গুলো পর্যন্ত
পেয়েছে। ঘাটালের সিপিএম নেতা ইসরায়েল ছয় খানা চাকরি, মেদিনীপুরের
এক সিপিএম নেতা ছয় খানা চাকরি দিয়েছে। আর ইন্টারভিউ ছাড়া ৩০০ ছেলের চাকরি
দিয়েছেন। শুধুমাত্র বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০০ জনকে চাকরি দিয়েছে সিপিএম
ইন্টারভিউ ছাড়া। মেদিনীপুর কলেজে এক সময়ে ৮২ জনকে চাকরি দিয়েছে ইন্টারভিউ
ছাড়া। ফলে তাদের গলায় নিয়োগ দুর্নীতি মানায় না।”
তিনি আরও বলেন, “মহামান্য
এমপি রেলওয়ে ক্যাজুয়ালে, ওয়ার্কশপে, ডিআরএম অফিসে বহু মানুষকে ঢুকিয়েছেন গঙ্গাজলে
ধুয়ে। হিরনের সঙ্গে তার ঝগড়া এই জায়গায়। ঠিকাদারদের ব্যাপার নিয়ে, আর চাকরির ব্যাপার নিয়ে। তারা কি সব তদন্তের ঊর্ধ্বে? তারা কেন এই তদন্ত কমিটির বাইরে থাকবে। যারা বেশি গলাবাজি করছে নিয়োগ
নিয়ে একটু গভীরে দেখলে বোঝা যাবে সমস্ত নিয়োগ তাদের হাত ধরে হয়েছে
অধিকাংশ।” এদিন নিয়োগ দুর্নীতিতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির দ্বিমুখী আচরণের অভিযোগ
তুলেছেন অজিত মাইতি। উল্লেখ্য, এদিন বেলা ১২ টার পরে মেদিনীপুর শহরের কালেক্টরেট
মোড়ে ধর্নামঞ্চ করে ধর্না অবস্থান শুরু করেছিলেন তাঁরা ৷ সেখানে হাজির ছিলেন জেলার
বিভিন্ন প্রান্তের শাসকদলের নেতা ও জন প্রতিনিধিরা ৷