RGkar Update : আরজিকর কান্ডের পর জঙ্গলমহলের মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিরাপত্তা পরিকাঠামো কতটা এগুলো ? রাজ্যের হসপিটাল সিকিউরিটি ও অডিট কমিটির বৈঠক দুদিন ধরে মেদিনীপুরে
মেদিনীপুর: রাজ্যের জঙ্গলমহলের বিভিন্ন হাসপাতাল গুলির সাথে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ , ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিরাপত্তা পরিকাঠামো কতটা তৈরি হলো -তা খতিয়ে দেখতে দুদিন ধরে বৈঠক হলো মেদিনীপুর শহরে জেলা শাসকের দপ্তরে। যেখানে হাসপাতালের দায়িত্ব থাকা আধিকারিকরা ছাড়াও রাজ্যের হসপিটাল সিকিউরিটি অডিট কমিটির আধিকারাও ছিলেন। জেলাশাসক পুলিশ সুপার সহ সকলকে নিয়ে দু’দিন টানা দীর্ঘ বৈঠক হলো মেদিনীপুর শহরে। শেষে মঙ্গলবার সন্ধায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পুরো চত্বর ঘুরে দেখলেন আধিকারিকরা ৷ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন সকলেই ৷ বেশ কিছু নতুন পরিকল্পনাও জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে জানিয়েছেন আধিকারিকরা ৷
সোমবার থেকে দুই দফার এই বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্যের হসপিটাল সিকিউরিটি অডিট কমিটির চেয়ারম্যান সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ, স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরুপ নিগম, রাজ্যস্তরীয় এই কমিটির আরও বিভিন্ন আধিকারিকরা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাশাসক খুরশেদ আলী কাদেরী, পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার, ছিলেন বাঁকুড়া জেলার স্বাস্থ্যকর্তা ও আধিকারিকরাও। প্রথমদিনে ছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা ৷ মঙ্গলবার সারাদিনের এই বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন, মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের একটি টিমও। কমিটির বৈঠকে উপস্থিত হয়ে নিজেদের একাধিক দাবি তারা রেখেছেন।
সোমবার ঝাড়গ্রামের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে বৈঠক হয়েছে। মঙ্গলবার বাঁকুড়া , পশ্চিম মেদিনীপুর নিয়ে বৈঠক হয়েছে। হাসপাতাল গুলিতে “রাতের সাথী” প্রকল্প কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে সেটা দেখা হয়েছে। মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কতগুলি সিসিটিভি লাগানো হয়েছে,কতো নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন হয়েছে, বিশ্রাম কক্ষ কতগুলি হয়েছে, -সেগুলি আলোচনাতে উঠে এসেছে। স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম বলেন-” হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা পরিকাঠামো ও রাতের সাথী প্রকল্পের কাজ কতখানি হয়েছে সেগুলি খতিয়ে দেখা হয়েছে। এখানে যতটুকু বাকি আছে দ্রুত শেষ করতে বলা হয়েছে। দুদিন ধরে এগুলি পর্যালোচনা বৈঠক ছিল।”
বৈঠকে অংশ নেওয়া মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের মধ্য থেকে অনিক দাস বলেন-“রাতের সাথী প্রকল্পে যে সমস্ত নির্মাণ নতুন করে হয়েছে, মাঝে পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে তা এখনো হ্যান্ডওভার করা হয়নি আমাদের। আমরা এই সম্পর্কিত আরো বেশ কিছু দাবি করেছি। বায়োমেট্রিক উপস্থিতি সহ বিভিন্ন দায়িত্বে যাদের যা করার কথা ছিল তারা সেটা শুরু করলে ভালো হয়। আমরা সেটা দাবি করেছি, আধিকারিকরা আশ্বাস দিয়েছেন সেটা। আমরা ছাত্রছাত্রী ,রোগী হাসপাতালের উন্নত পরিষেবার জন্য সমস্ত দাবি রেখেছি। আধিকারিকরা তাতে ইতিবাচক আশ্বাস দিয়েছেন।”

বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত মেদিনীপুরে জেলা শাসকের দফতরে বৈঠক করার পরে বিকেলে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে পরিদর্শনে হাজির হয়েছিলেন রাজ্যের হসপিটাল সিকিউরিটি ও অডিট কমিটির ৭ সদস্য সহ জেলার স্বাস্থ্যকর্তা সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা ৷ উপস্থিত স্বাস্থ্য সচীব নারায়নস্বরুপ নিগম নিজেই এই জেলার জেলা শাসক ছিলেন এক সময়ে ৷ ফলে তিনি অনেক কিছু জানতে আগে থেকে ৷ তিনি পুরো টিমকে সঙ্গে নিয়ে পুরো হাসপাতাল ঘুরেছেন৷ প্রতিটি বিভাগ পরিদর্শন করে সিসিটিভি কন্ট্রোল সেকশন, সহ পুলিশী আয়োজন, নির্মীয়মান বিল্ডিং, মেডিক্যাল কলেজের পরিকাঠামো দেখে নিয়েছেন ৷ পরে সাংবাদিকদের সামনে নারায়নস্বরুপ নিগম বলেন- “এই হাসপাতালের পরিকাঠামো ঠিকঠাকই রয়েছে ৷ আরও কিছু কাজ যা চলছে তা দ্রুত শেষ করতে বলা হয়েছে ৷ এই হাসপাতালে একবছর আগে ক্যাথল্যাব চালু করা হয়েছিল ৷ সেখানে এর মধ্যেই ১৯০০ এর মতো মানুষের অপারেশন হয়েছে ৷ যা উল্লেখ যোগ্য সাফল্য বলা যায় ৷ ”