Sristishree Mela: মেদিনীপুরে সৃষ্টিশ্রী মেলা, দোকান দিল কাশ্মীর ও কেরালার মহিলারাও
Medinipur : সোমবার থেকে মেদিনীপুর শহরে শুরু হল সৃষ্টিশ্রী মেলা। কাশ্মীর কেরালা সহ এই রাজ্যের কুড়িটা জেলার স্ব-সহায়ক দলের মহিলাদের তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্রের সম্ভার নিয়ে এই মেলা শুরু হল মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর হল মাঠে। চলবে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মেলার সমস্ত দোকানই মহিলা স্বসহায়ক দলের উৎপাদিত পণ্যের সামগ্রী দিয়েই সাজানো। জমাটি মেলার প্রথম দিনে অনুষ্ঠানের সামিল হয়েছিলেন প্রায় দশ হাজার মহিলা। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া, মন্ত্রী শিউলি সাহা, সভাধিপতি সহ বিভিন্ন বিধায়ক ও আধিকারিক, জনপ্রতিনিধিরা।
জেলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক গোবিন্দ হালদার বলেন-” এবার এই মেলাতে ২০০ টি স্টল রয়েছে বিভিন্ন রকমের। যার বেশিরভাগটাই স্ব সহায়ক দলের মহিলাদের হাতের তৈরি উৎপাদিত পণ্যের সামগ্রী। এই স্টলে এবার কাশ্মীর ও কেরালা থেকে আগত স্ব সহায়ক দলের সদস্যরাও সামিল হয়েছেন দোকান নিয়ে।” জানা গিয়েছে-২০২৪ সালে মেদিনীপুরে আয়োজিত এই মেলাতে ২০০ কিছু কম স্টল দেওয়া হয়েছিল। সেবার মেলা চলেছিল ৭ দিন পর্যন্ত। তাতে আয় হয়েছিল আড়াই কোটি টাকা। এবার এই মেলা ৯ দিন করা হচ্ছে। অনুকুল আবহাওয়াতে মেলাতে স্টলের সংখ্যাও বাড়িয়ে পুরোপুরি ২০০ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে দোকানের যে সমস্ত সামগ্রী তার ভ্যারাইটি অনেক বেশি এবার এই মেলাতে। স্বাভাবিকভাবে আয়োজকদের আশা-অন্যান্য বারের তুলনায় এবার আয় অনেক বেশি হবে। অন্তত প্রথম দিন যে ভিড় দেখা গিয়েছে মেলায় তা দেখেই আশা করছেন তারা।
প্রথম দিন এই মেলাতে কয়েক হাজার আদিবাসী মহিলাদের নৃত্য প্রদর্শিত হয়েছে। একাধিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ঘনঘটা ছিল। উদ্বোধন পর্বে মঞ্চে বক্তব্যে বর্তমান রাজ্য সরকারের আমলে মহিলাদের কিভাবে স্বনির্ভর করা হচ্ছে তার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন রাজ্যের মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া। সেই সাথে এই মহিলা স্বনির্ভরকরণে ব্যাংক গুলির কার্পণ্যতা প্রকল্পকে অনেকটা পিছিয়ে দিচ্ছে বলেও দাবি করেছেন। প্রচন্ডভাবে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এই সমস্ত ব্যাংক কর্তাদের ওপরে। সেই সাথে সরকারি আধিকারিক ও দলের জনপ্রতিনিধি দের প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতে থাকা ব্যাংকগুলি তে গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধানের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

এদিন মানস ভূঁইয়া বলেন -” মুখ্যমন্ত্রী দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় আমাদের রাজ্যের মহিলাদের স্বনির্ভর করনে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছেন। দেশে এক নম্বরে আমরা। এক কোটির বেশি স্ব সহায়ক দলের সদস্য আমাদের রাজ্যে। কিন্তু তাদের স্বনির্ভর করণে আমরা উদ্যোগ নিলেও ব্যাংক গুলি মারাত্মক ভাবে কৃপণ তাদের জন্য। কোনভাবেই ঋণ দিতে চাইছে না। যে কারণে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় আমাদের রাজ্যে ক্রেডিট ডিপোজিট রেশিও কম। আধিকারিক থেকে জনপ্রতিনিধি প্রত্যেককে বলব ব্যাংক গুলির সাথে অবিলম্বে গিয়ে কথা বলুন। “
এদিন মঞ্চে উপস্থিত প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা অনুরূপভাবে রাজ্যজুড়ে মহিলাদের এই স্ব সহায়ক দলের উন্নয়ন নিয়ে কি কি করা হয়েছে তারও বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছেন।