Ghatal: কাউকে স্যালুট, কাউকে হাতজোড় মন্ত্রী মানসের, লক্ষ্য –মাস্টার প্ল্যান

Ghatal: কাউকে স্যালুট, কাউকে হাতজোড় মন্ত্রী মানসের, লক্ষ্য –মাস্টার প্ল্যান

ঘাটাল: বর্ষা শুরু হওয়ার আগে সম্ভবত শেষ পরিদর্শন ও আধিকারিকদের চাপ দেওয়া সেচ মন্ত্রীর। যেকোনো পদ্ধতিতে অন্তত স্লুইস গেটগুলির কাজ শেষ করতেই হবে। তাই রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব মণীষ জৈনকে সঙ্গে নিয়ে ঘাটালের নির্মীয়মান স্লুইসগেট গুলি পরিদর্শন করলেন তিনি। মাস্টার প্ল্যান বিমুখ কিছু মানুষের কথা মাথায় রেখে কোথাও হাতজোড় করে ভিক্ষে করলেন সহযোগিতা, কোথাও আবার স্যালুট করলেন। সকলকেই আবেদন-“সঙ্গ দিন, ভবিষ্যৎ বদলে দেব।”

শনিবার বেলা এগারোটার আগেই ঘাটালের দাসপুর থানার অন্তর্গত কৈজুরী এলাকার নির্মীয়মান একটি স্লুইস গেটে হাজির হয়ে গিয়েছিলেন রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব মণীশ জৈন,জেলাশাসক খোরশেদ আলী কাদেরী সহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিরা। বেলা ১২ টা নাগাদ সেখানে হাজির হয়েছিলেন কনভয় নিয়ে মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া। স্লুইসগেট গুলি কিভাবে নির্মাণ হচ্ছে, কতখানি হয়েছে, কত দিনের মধ্যে শেষ হবে তা নিয়ে খতিয়ে দেখে সমস্ত এজেন্সির সঙ্গে কথা বলেন। ম্যাপ খুলে সেটার কতখানি যৌক্তিকতা, কতটা উপকৃত হবেন মানুষ সবটা খতিয়ে দেখেছেন মন্ত্রী।

প্রথমে কৈজুড়ী এলাকার গেটটি পরিদর্শন করেন, পরে নদী বাঁধ ধরেই কনভয় নিয়ে হাজির হয়ে যান কুমারচক এলাকায়। সেখানেও নির্মীয়মান একই রকম একটি গেট পরিদর্শন করেন। এজেন্সির লোকজনকে পরিষ্কার হুঁশিয়ারি দেন-” ৩০ জুনের মধ্যে কাজ শেষ না করতে পারলে হিসেব নেওয়া হবে। কোনভাবেই গ্রামে না জল ঢোকে।” একইভাবে রানীচক ,জোতকানু রামগড়, সহ ঘাটালেও অনুরুপ নির্মীয়মান স্লুইসগেট পরিদর্শন করেন।

পরে ঘাটাল টাউন হলে সমস্ত আধিকারিক জনপ্রতিনিধি এজেন্সির সকলকে নিয়ে বৈঠক করেছেন মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া। প্রত্যেক আধিকারিক ও নির্মাণকারী এজেন্সি জনপ্রতিনিধি সকলকে জানিয়ে দেওয়া হয়-” ৩০ শে জুন যেন পার না হয়। যদি নির্মাণ শেষ করতে এর বেশি সময় লাগে, এবং গ্রামের জল ঢোকে তার জন্য অন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারো অসুবিধা থাকলে যেন আগেই বলে দেন।”

এ দিন সংবাদ মাধ্যমের সামনে মন্ত্রী বলেন-” আমরা ৭০ বছরের জগদ্দল পাথর একটা সরাতে চলেছি। মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছি। এই গেট গুলি নির্মাণ সম্পন্ন হলে দু’রকম কাজ করবে। নদীতে ভরপুর জল হলে তা এই গেট দিয়ে বের করে দেওয়া হবে যাতে নদী বাঁধ না ভেঙে যায়। আবার গ্রামের ভেতরে যদি জল জমা থাকে তা এই গেট দিয়ে নদীর দিকে ছেড়ে দেওয়া হবে। এই গেট গুলি অনেকটাই বন্যা নিয়ন্ত্রণের সহযোগিতা করবে। তবে অনেক জায়গাতে মানুষের মধ্যে একটা ভুল ধারণা রয়েছে। আমরা মনে হয় সকলের জমি দখল করে নেব। এমন কিছু হচ্ছে না। এই কাজটুকু করার জন্য যতটুকু দরকার বিকল্প রাস্তা দিয়ে ঘুরে হলেও তা করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।। সেই সাথে কারো জমি নেওয়া হলে বর্তমান বাজার মূল্য অনুসারে মুখ্যমন্ত্রী যে দাম দেবেন তাতে অসন্তুষ্ট হওয়ার মত কিছুই থাকবে না। সকলের হাতজোড় করে সহযোগিতা প্রার্থনা করছি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page