RGkar : অন্য ইস্যুতে এবার মেদিনীপুর মেডিক্যালে উত্তেজনা,রাতেও বোর্ড রুমে আটকে ডিন ও সুপার
Medinipur :
মোস্তাফিজুর রহমান (Mostafijur Rahaman) ইস্যুকে সামনে রেখে পুনরায় উত্তপ্ত হলো মেদিনীপুর মেডিকেল
কলেজ (Medinipur Medical college)। শনিবার দুপুর সাড়ে তিনটের পর মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের ডিন ও হাসপাতাল
সুপারকে (Midnapore hospital) বোর্ড রুমে ঘিরে বিক্ষোভ জুনিয়র ডাক্তারদের একটা অংশের।যা চললো গবীর রাত পর্যন্ত ৷ জুনিয়র ডাক্তাররা বিক্ষোভ দেখালেন
মোস্তাফিজুর রহমান ইসুতে।দাবি- “কোন কারনে মোস্তাফিজুরের বিরুদ্ধে নোটিস বারবার
পরিবর্তন করছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তারা , তা জানাতে হবে ৷”
উল্লেখ করা
যায়- মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ এর টিএমসিপি (TMCP) ইউনিটের একজন ডাক্তার মোস্তাফিজুর
রহমান। গত বৃহস্পতিবার তার বিরুদ্ধে কলেজে অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীরা রেগিং করার অভিযোগ তুলেছিল । দাবি করেছিল– অবিলম্বে মোস্তাফিজুর রহমানকে কলেজ থেকে বের করতে হবে।কারন মোস্তাফিজুর
সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) ঘনিষ্ঠ, কলেজে তাঁর নির্দেশে রেগিংও হয় ৷ মোস্তাফিজুর নাকি মেডিক্যাল কলেজের
মেয়াদউত্তীর্ন ছাত্র ৷ অনৈতিক ভাবে সে কলেজে থেকে নানা অনৈতিক কাজ করে ৷ সেই অভিযোগের তদন্ত করার আশ্বাস
দিয়ে আপাতত মোস্তাফিজুর রহমানকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের (Medinipur Hospital) ঢোকানো হবে না এমন
নোটিফিকেশনও করেছিল মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার
রাতে। কিন্তু ২৪ ঘন্টার মধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের একটা অংশ যারা টিএমসিপি-র সমর্থক
তারা পুনরায় কলেজের প্রিন্সিপাল ও অন্যান্য আধিকারিকদের কাছে বিক্ষোভ দেখান। এর
জেরে শুক্রবার পুনরায় পুরনো নোটিশ বাতিল করে মোস্তাফিজুর এর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা
তুলে নেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ নতুন নোটিশ দিয়ে। মোস্তাফিজুর মেডিক্যালে এখনও বৈধতার
মেয়াদ রয়েছে ৷ (RGkar Medical)
তারপরেই ফের বিক্ষোভ শুরু করে শনিবার দুপুরের পর
আর একদল জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের দাবি – মোস্তাফিজুর এর জন্য
এতো দ্রুত নোটিস এর পরিবর্তন কি জন্য ৷ কলেজ কর্তারা কি মোস্তাফিজুরের প্রভাবকে ভয়
করে ?
তাদের দাবি বারবার এই নোটিশ পরিবর্তন করছে মেদিনীপুর
মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ কেন তার জবাব দিতে হবে। যতক্ষণ না মুস্তাফিজুর ইস্যুতে
নোটিশ পুনরায় পরিবর্তন করছেন, তাকে ঢোকার
ক্ষেত্রে আটকানো হচ্ছে এই বিক্ষোভ আন্দোলন জারি থাকবে। সেই মতো শনিবার রাত ১০ টার পরেও বিক্ষোভ অবস্থান ছিল মেদিনীপুর মেডিক্যালের বোর্ড
রুমে ৷ যেখানে আটকে ছিলেন মেডিক্যাল কলেজের ডিন, হাসপাতাল সুপার সহ আরও কয়েকজন আধিকারিক৷