Keshpur :
বন্যায় প্লাবিত লোকজনদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হাজির হলো অভয়া ক্লিনিক। আর জি
কর মেডিকেল কলেজের জুনিয়র ডাক্তার ও মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা
যৌথভাবে ঔষধ ও ত্রাণের সামগ্রী নিয়ে হাজির হয়েছিলেন প্লাবিত এলাকা কেশপুরে।
সারাদিন মেডিকেল ক্যাম্প করে আগত লোকজনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ওষুধ দিলেন তারা।
তুলে দেওয়া হল ত্রাণের সামগ্রীও। দুপুরের পরে জুনিয়ার
ডাক্তাররা গেলেন প্লাবিত থাকা গ্রামেও৷ খোঁজ নিলেন গ্রামবাসীর স্বাস্থ্যের৷ অন্যদিকে প্লাবিত ঘাটালে কুড়িটি মেডিকেল ক্যাম্প চালু করল জেলা প্রশাসন।
ক্যাম্প গুলিতে পর্যাপ্ত ঔষধ রয়েছে কিনা ঘুরে দেখলেন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার।
পূর্ব নির্ধারিত
কর্মসূচি অনুসারে-বন্যায় প্লাবিত এলাকার গ্রামবাসীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় শনিবার
হাজির হয়ে গেল জুনিয়র ডাক্তারদের দল। আর জি কর কাণ্ডের কথা স্মরণ করিয়ে
স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরের নাম দেওয়া হয়েছে অভয়া ক্লিনিক ও অভয়া ত্রাণ শিবির।
কেশপুরের টাবাগেড়িয়া এলাকাতে এই ত্রাণ
শিবিরে কয়েক হাজার মানুষ শনিবার বেলা এগারোটার পর ভিড় করেছিলেন। গ্রামবাসীদের
বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা খতিয়ে দেখে তাদের ঔষধ লিখে দিলেন। অনেককে ঔষধও দিলেন
জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই সঙ্গে শিবিরে আগত বন্যা ক্লিষ্ট গ্রামবাসীদের চাল ও
বিভিন্ন শুকনো খাবার ত্রাণ হিসেবে তুলে দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। দুপুরের পরে
জুনিয়ার ডাক্তারদের টিম জলে ডুবে থাকা কানাখালি গ্রামে হাজির হয় ৷ সেখানেও প্লাবিত
থাকা গ্রামবাসীর স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়ে চিকিত্সা পরামর্শ দিয়েছেন ৷
জুনিয়র
ডাক্তারদের পক্ষ থেকে দত্তশা গুপ্ত বলেন-” আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও মেদিনীপুর
মেডিকেল কলেজের যৌথ উদ্যোগে এই শিবির করা হয়েছে। প্লাবিত এলাকার লোকজনদের
স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা হচ্ছে। তাদের জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ঔষধ দেওয়া হচ্ছে
যথা সম্ভব। সেই সঙ্গে প্রাণের যথাসম্ভব সামগ্রী আমরা এনেছিলাম সেই সামগ্রী
গ্রামবাসীদের হাতে তুলে দিয়েছি।”প্লাবিত এলাকা থেকে যারা স্বাস্থ্য পরীক্ষার
জন্য হাজির হয়েছিলেন তাদের মধ্য থেকে রাজেন্দ্রনাথ মাইতি বলেন-” এমনিতেই
বন্যার পরবর্তীকালে অনেকেরই আমাদের স্বাস্থ্য সমস্যা হয়েছিল। পেটের সমস্যা থেকে
ঠান্ডা লেগে যাওয়া সব দেখা দিয়েছিল। তাই ঔষধ আনতে এসেছিলাম। চিকিৎসাও পেয়েছি
ত্রাণের সামগ্রী ও পেলাম।” স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মীরা দোলুই বলেন-”
অঞ্চল প্রধানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল এখানে উপস্থিত হওয়ার জন্য। আমরা এসেছি।
স্বাস্থ্য পরীক্ষাটা করিয়ে নিয়েছি। বহু মানুষ উপস্থিত হয়েছেন এখানে।”
অন্যদিকে
ঘাটালের প্লাবিত এলাকাতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সাথে সাথে প্লাবিত এলাকার
লোকজনদের নানান শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাই কুড়িটি মেডিকেল ক্যাম্প করে
গ্রামবাসীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল থেকেই সেই শিবির
গুলি শুরু হয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার সৌম্য শংকর সারেঙ্গী
জানিয়েছেন-” শিবির গুলিতে যথা সম্ভব ঔষধ রেখে চিকিৎসা পরিষেবা শুরু করা হয়েছে।
এখন চলবে এই শিবির গুলি প্লাবিত এলাকায়। মানুষের যাতে কোথাও কোনো রকম সমস্যা না
হয় সেদিকে দেখা হচ্ছে। আপাতত সাত দিন এই শিবির কন্টিনিউ চলবে প্লাবিত এলাকার
লোকজনদের স্বার্থে।”
এদিনের এই
শিবির গুলি পরিদর্শন করেন জেলাশাসক খুরশেদ আলী কাদেরী ও পুলিশ সুপার ধৃতিমান
সরকার। গ্রামবাসীরা সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছে কিনা,ত্রান সামগ্রীও সরবরাহ রয়েছে কিনা সবটাই খতিয়ে দেখেছেন
তারা।