Ghatal master plan: দেব এর ডাকে সাড়া, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান এর জন্য জমি দিতে কাগজপত্র নিয়ে হাজির হলেন জমির মালিকেরা
ঘাটাল: ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণের লক্ষ্যে প্রশাসনিক একাধিক পদক্ষেপ এগিয়ে গিয়েছে। কোন পথ ধরে খাল খনন করা হবে, কতখানি জমি অধিগ্রহণ করতে হবে, প্রাথমিক ছক কষে মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণ কমিটির হাতে সে কাগজপত্র তুলে দিয়েছে প্রশাসন। কমিটির সদস্য হিসেবে থাকা প্রশাসনিক আধিকারিক, জনপ্রতিনিধি সকলেই এবার জমির মালিকদের সঙ্গে সংযোগ শুরু করেছেন। প্রথম ধাপেই ইতিবাচক সাড়া মিলতে শুরু করল। নিজেদের জমির কাগজপত্র নিয়ে প্রশাসনের কাছে হাজির হলেন জমির মালিকেরা। “বন্যা কবলিত ঘাটাল” এই অভিশাপ মোছাতে তারা জানালেন -আমরা জমি দেব। বহু স্থানের দোকান ও বাড়িঘর পড়ে খননের ছকে গিয়েছে। তারাও এক এক করে সম্মতি দিতে শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।
প্রথম ধাপে ঘাটাল পৌরসভার ৯ নাম্বার ওয়ার্ড শ্রীরামপুরে প্রশাসনিক আধিকারিকদের একটি শিবির হল। যেখানে ওই এলাকার কোন কোন জমি অধিগ্রহণ হবে, সেই সমস্ত জমির মালিকদের ডেকে বোঝানো হয় এবং প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস, জেলা পরিষদের কৃষি ও সেচ কর্মাধ্যক্ষ আশিষ হুদাইত, মহাকুমা পুলিশ আধিকারিক অনিমেষ সিংহ রায়, ঘাটাল পৌরসভার চেয়ারম্যান সহ ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণের সাব কমিটির সদস্যরা।
বৈঠকে উপস্থিত জমির মালিকদের বেশির ভাগই জমি দেওয়ার সম্মতি দিয়ে স্বাক্ষর করেছেন প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে কাগজে। জমির উপযুক্ত মূল্য দিয়েই জমি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। বেশ কিছু জায়গায় মানুষের বসত বাড়ি, দোকান ঘর পড়ে গিয়েছে। সেই সমস্ত স্থানের জন্য ও আলাদা ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। দোকানদাররা দাবি করেছেন তাদেরকে বিকল্প দোকান করার স্থান দেওয়ার ব্যবস্থা করুক প্রশাসন।
অন্যদিকে ঘাটালের দাসপুর এলাকাতে চন্দ্রেশ্বর খাল খনন প্রতিবাদী কমিটির আন্দোলন যখন বাড়ছিল জমি না দেওয়ার জন্য, ঠিক সেই সময় একদল জমিদাতা নিজেদের কাগজপত্র নিয়ে পঞ্চায়েত অফিসে হাজির হলো জমি দেওয়ার জন্য। দাসপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকুমার পাত্রের কাছে হাজির হয়েছে তারা। তাদের দাবি, বন্যা কবলিত ঘাটাল এই অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে চাই। তাই নিজেরাই স্বেচ্ছায় এই প্রকল্প রূপায়ণ করতে জমি দিতে ইচ্ছুক আমরা।