Medinipur Hospital : রেখা সাউ সুস্থ, তবে বিষাক্ত স্যালাইনের কারনে হারালেন সদ্যজাত সন্তানকে, উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করলো পরিবার

মেদিনীপুর: মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্যালাইন ও চিকিৎসা বিভ্রাটে কিছুটা নিজের সুস্থ হলেও সদ্যোজাত সন্তানকে হারালো মা। প্রসুতি রেখা সাউ এর পুত্র সন্তান জন্ম হয়েছিল সিজার করে ওই একই সময়ে বুধবার রাতে। সেদিন কোনোভাবে অসুস্থ হয়ে রক্ষা পেলেও তার সদ্যোজাত সন্তান চরম জটিল অবস্থায় ছিল। সেই থেকেই ভেনটিলের সঙ্গে থাকার পর বৃহস্পতিবার সকাল ৯:১০ নাগাদ তার মৃত্যু হয়। ওই শিশুর বাবা অভিযোগ করেন-” ভুল চিকিৎসা ও স্যালাইনের কারণেই আমার স্ত্রী হয়তো কোনোভাবে রক্ষা পেয়েছে, কিন্তু সেই স্যালাইন পৌঁছেছিল আমার বাচ্চার কাছ পর্যন্ত। তাই তাকে হারাতে হলো আমাকে। এই ঘটনায় সিআইডি নয়, আরো উচ্চপর্যায়ের তদন্ত হোক।”

বৃহস্পতিবার সকাল দশটা নাগাদ পরিবারের লোকজনকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, যে তাদের সন্তান যে জন্মের পর থেকে ভেন্টিলেশনে ছিল তার মৃত্যু হয়েছে। আগেই আশঙ্কা করেছিল পরিবার। ঘটনার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। ওই শিশুর বাবা সন্তোষ সাউ বলেন-” অপারেশনের আগে আমার স্ত্রীকে একি স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতে আমার স্ত্রীর প্রেসার নেমে যাওয়াতে স্যালাইন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তাই প্রেসার ঠিক করতে বাইরে থেকে অন্য স্যালাইন দিতে হয়েছিল। তা না হলে সেই স্যালাইন পুরোপুরি চললে আমার স্ত্রী আজ মারা পড়তো। কিন্তু যতটুকু স্যালাইন চালানো হয়েছিল সেই স্যালাইন পৌঁছেছিল পেটে থাকা আমার বাচ্চার কাছ পর্যন্ত। তাই ওই রাতে স্ত্রীর প্রেসার স্বাভাবিক হওয়ার পর যখন সিজার হয় তখন বাচ্চা আর ঠিক ছিল না। সেই থেকেই ভেন্টিলেশনে থাকা আমার বাচ্চা আজ মারা পরলো। পুত্র সন্তান ছিল সেটি। এই ঘটনার চরম গাফিলতি এবং নির্মম। সিআইডি এই ঘটনা তে খুব একটা জোর দিচ্ছে দেখলাম না। তাই আরো ভালো উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করছি আমি।”

প্রসঙ্গে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল মৌসুমী নন্দী বলেন-“জন্মের পর থেকেই ওই শিশু শারীরিক জটিলতা নিয়ে জন্মেছিল। তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। আজকে সকাল নটা দশ নাগাদ তার মৃত্যু হয়েছে। তবে বাকিরা সুস্থ রয়েছে। “

ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছে বিজেপি ৷ বিজেপির জেলা সহ সভাপতি অরুপ দাস বলেন-“ চরম গাফলতির ফলে এই কান্ড ঘটেছে ৷ রাজ্য সরকারের উদাসীনতর কারনে এই কান্ড ৷ কড়া ব্যাবস্থা নেওয়া দরকার সবটার বিরুদ্ধে ৷ ”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page