- Christmas Day: এযাবৎকালের রেকর্ড ভাঙলো গোপগড় ইকোপার্ক। সর্বাধিক টিকিট বিক্রি হলো এবার এই পার্কে। ২৫ শে ডিসেম্বর বড়দিনেতেই পার্কের ভেতরে আট হাজারের বেশি মানুষ প্রবেশ করেছিলেন। যাদের একটা বড় সংখ্যায় ছিল জেলার বাইরে থেকে আসা পর্যটক। ১৭০ টির বেশি পিকনিক শেড দিতে হয়েছিল উৎসবে আগত লোকজনদের জন্য। বিশাল মানুষের উপস্থিতিতে নিরাপত্তাতেও জোর দিতে হয়েছিল। পুলিশ ও বন কর্মী মিলিয়ে একশোর বেশি নিরাপত্তা রক্ষা ছিলেন ঐদিন পার্কে।
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালে অন্যান্য পার্কের তুলনায় গোপগড় ইকো পার্কে সবথেকে বেশি আয় হয়েছিল বনদপ্তরের। অনুকূল পরিস্থিতি থাকায় পিকনিক আমাদের বড়দিন পালনের হিড়িক ছিল বেশি। এবার সেদিন এই পার্কে টিকিট বিক্রি হয়েছিল এক লক্ষ ৪ হাজার টাকার এক দিনেতেই। প্রায় সাড়ে ছ হাজার মানুষ প্রবেশ করেছিলেন পার্কের মধ্যে। ব্যাপক পরিমাণ ভিড় তৈরি হয়েছিল। বনদপ্তরকে তঠস্থ থাকতে হয়েছিল বিশাল পরিমাণ এই লোকজনের পানীয় জল সরবরাহ থেকে নিরাপত্তার জন্য।
এবার সেই রেকর্ডটাকে ভেঙে ফেলল ২০২৪ এর বড়দিনের উৎসব। বনকর্তারা জানিয়েছেন, এবার এক লক্ষ ৬ হাজার টাকার বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে পার্কের টিকিট কাউন্টারে তেই। পার্কের মধ্যে থাকা স্থায়ী পিকনিক শেড গুলি ছাপিয়ে অতিরিক্ত নতুন পিকনিক স্পট তৈরি করতে হয়েছিল। পার্কের ভেতরে ১১০ টির মত স্থায়ী পিকনিক স্পট রয়েছে। কিন্তু পিকনিক আমুদেদের এত বেশি চাপ হয়েছিল যে কারণে অতিরিক্ত পিকনিক স্পট তৈরি করতে হয়েছিল। ১৭০ টি পিকনিক স্পট তৈরি করতে হয়েছে। গত বছরের ভিড়কে ছাপিয়ে গিয়েছিল এই বছরের বড়দিনের ভিড়। বিশৃঙ্খলা হীন পরিস্থিতি রাখতে পুলিশ ও বনদপ্তরের কর্মী মিলিয়ে নিরাপত্তায় ছিলেন ১০০ জনের বেশি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বড়দিনে প্রায় আট হাজার মানুষ ভেতরে প্রবেশ করেছিলেন পার্কের। রেকর্ড পরিমাণ পর্যটকের ভিড় ছিল।
এরপরেও আবার নতুন করে বড় আয় দেখতে পাচ্ছে বনদপ্তর। ১ জানুয়ারিতে এই পার্কে অনুরূপ ভিড় হবে বলে মনে করছে বনদপ্তর। বড়কর্তারা শুক্রবার সন্ধ্যায় জানিয়েছেন-” যতগুলি পিকনিক স্পট ছিল সবটাই বুকিং হয়ে গিয়েছে অনেক আগেই ওইদিনের জন্য। নতুন করে অতিরিক্ত পিকনিক স্পট তৈরির পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। ফলে ২৫ ডিসেম্বরের মতো ১ জানুয়ারিতেও ব্যাপক ভিড় হবে এবার গোপগড় ইকো পার্কে।”