Dilip Ghosh : খড়্গপুরের রেলওয়ে বাংলো থেকে দিলীপ ঘোষকে উত্খাতের চিঠি রেলের

খড়্গপুর: এবার আরও প্রেস্টিজ ফাইটে পড়লেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ ৷ খড়্গপুর শহরের রেলওয়ে যে বাংলোতে দিলীপ ঘোষ থাকতেন , এবার সেখান থেকে তাঁকে উত্খাতের চিঠি দিল রেলওয়ে ৷ সেই সাথে যার নামে ওই বাংলো বরাদ্দ ছিল তাঁকে শোকজ করে ১৭ এপ্রিল বেলা ১ টার মধ্যে সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছে খড়্গপুর ডিভিশনের রেলওয়ে কর্তারা ৷ তৃণমূলের দাবি- এই কাজ রেলওয়ের আগেই করা দরকার ছিল ৷ আমরা বলার পরে রেলের ঘুম ভেঙেছে ৷ ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি ও দিলীপ ঘোষ ৷ তবে এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ সংবাদ মাধ্যমের সামনে জানিয়েছেন ( অন্য জেলাতে) –খড়্গপুরে রেলওয়ের বহুস্থান দখল করে রয়েছে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় থেকে দোকান ৷ সেগুলি উচ্ছেদ করা হোক আগে ৷ তারপরে ভাববো ৷

খড়্গপুর শহরে সাউথ সাইড এলাকার বেশিরভাগ অংশই রেলওয়ের স্থান ৷ সেখানেই রেলওয়ের একটি পুরনো একটি বাংলো রয়েছে রেলওয়ে অফিসারদের জন্য ৷ ৬৭৭ নম্বর বাংলোটি রেলওয়ের পক্ষ থেকে প্যাসেঞ্জার সার্ভিস কমিটির সদস্য কোনো এক ব্যাক্তি তুষার কান্তি ঘোষের নামে বরাদ্দ করা হয়েছিল অনেক বছর আগে ৷ কিন্তু তাঁকে দেওয়া বরাতের সেই বাংলোতে প্রবেশ করেছিলেন বিজেপির নেতা দিলীপ ঘোষ ৷ ২০১৭ সাল থেকে দিলীপ ঘোষ সেখানে আশ্রয় নেয় ৷ স্থানীয় সুত্রে দাবি- তুষার কান্তি ঘোষই দিলীপ বাবুকে নিজের নামের সেই বাংলো দিলীপ কে দিয়েছিলেন থাকতে ৷ কিন্তু তুষার বাবুর নিজের নামে বরাত পওয়া সেই বাংলোর বরাত শেষ হয়ে যায় ২০২০ সালের ৩১ মার্চ ৷ কিন্তু তা কেউই জানতেন না ৷ সেখানেই দিলীপ ঘোষ সাংসদ কার্যালয় চালিয়েছেন ৫ বছর ধরে ৷ সাংসদ পদ যাওয়ার পরে সেখানেই দলের নেতা কর্মীদের নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের মতো ব্যাবহার করে আসছিলেন ৷

বিষয়টি তৃণমূলের নজরে আসে ৷ সম্প্রতি খড়্গপুর রেলের ডিআরএমের কাছে খড়্গপুর শহর তৃণমূলের সহ সভাপতি দেবাশীষ চৌধুরী আরটিআই করে জানতে চান ওই বাংলো কার নামে বরাদ্দ ও কি উদ্দেশ্যে৷ তাতেই ধরা পড়ে সবটা ৷ তারপরেই রেলওয়ে কে পরিষ্কার জানিয়ে দেন তৃণমূলের ওই নেতা যে- অবিলম্বে রেলওয়ের সেই বাংলো থেকে সরানো হোক দিলীপ ঘোষকে ৷কারন সেখানে বহিরাগতদের আনাগোনা লেগে রয়েছে ৷ খড়্গপুর শহরের নিরাপত্তার স্বার্থে করতে হবে ৷ তাতেই রেল নড়ে বসে ৷ বৃহস্পতিবার সেই বাংলোর সামনে রেলওয়ে একটি নোটিস লাগিয়ে দিয়েছে ৷ যেখানে বলা হয়েছে- অবিলম্বে সেই বাংলো খালি করতে হবে৷ সেই সাথে যার নামে সেই বাংলো বরাদ্দ হয়েছিল সেই তুষার কান্তি ঘোষকে শোকজ করে, সশরীরে সমস্ত কাগজ নিয়ে আগামী ১৭ এপ্রিলের মধ্যে ডিআরএম অফিসে হাজির হতে বলা হয়েছে ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page