R G KAR MEDICAL কাণ্ডের জের ! মেদিনীপুর হাসপাতালে সমস্ত পরিষেবা থেকে হাত গুটিয়ে নিল জুনিয়র ডাক্তাররা, ভোগান্তি রোগীদের।

 

মেদিনীপুর:
আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তার খুনের ঘটনার প্রতিবাদে Medinipur Medical College Hospital-এর জুনিয়র ডাক্তাররা আর ও সুর চড়ালো আন্দোলনের মেদিনীপুরে(Midnapore)। আন্দোলনের শুরু
থেকেই শুধুমাত্র এমার্জেন্সি পরিষেবাতে সহযোগিতা করছিলেন। এবার ইমার্জেন্সি
পরিষেবাও বন্ধ করে দিলেন তারা। রোগীদের ভোগান্তি শুরু হতেই প্রিন্সিপাল
জানালেন-সমস্ত সিনিয়র ডাক্তারদের তৎপর হতে বলেছি।(R G KAR MEDICAL)
  


আরজি কর
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তার খুনের ঘটনায় সঠিক তদন্ত ও দোষির চরম শাস্তির দাবি
করে আন্দোলন আরো খানিকটা চড়িয়ে দিল মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জুনিয়র
ডাক্তাররা। কয়েকদিন ধরেই তারা আন্দোলন শুরু করেছিলেন মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে সামনে। মোমবাতি মিছিল করেছেন। তখন শুধুমাত্র এমার্জেন্সি পরিষেবাতে
সহযোগিতা করছিলেন তারা। অন্যান্য পরিষেবা থেকে সরে গিয়েছিলেন। সোমবার বিকেল সাড়ে
তিনটা নাগাদ সাংবাদিক সম্মেলন করে জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়ে দেয়-” অন্যান্য
পরিষেবার সাথে সাথে Emargency পরিষেবা থেকেও আমরা সরে দাঁড়াচ্ছি। তবে
এমার্জেন্সি খোলা থাকবে। প্রশাসন চাইলে সিনিয়র ডাক্তার দিয়ে পরিষেবা দেবে।
যতক্ষণ না এই ঘটনায় সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত এই আন্দোলন আমাদের
জারি থাকবে।”

এই ঘটনার
জেরে চরম সংকট পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে(MMCH)। কারণ
এই হাসপাতালের বেশিরভাগ পরিষেবাই দিয়ে থাকে জুনিয়র ডাক্তাররা। ফলে তারা বসে
যেতেই ইমারজেন্সির রুম চিকিৎসক শূন্য হয়ে যায়(DOCTOR)। বিভিন্ন জায়গা থেকে রোগীরা
ইমারজেন্সিতে এসে সমস্যায় পড়ে যান। হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের ক্ষেত্রেও
জটিলতা বাড়তে থাকে।জটিল পরিস্থিতি মনে হওয়াতে দ্রুত মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ ও
প্রশাসনিক আধিকারিকরা জুনিয়র ডাক্তারদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। আলোচনার পরিস্থিতির মধ্য
দিয়েই মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রিন্সিপাল অধ্যাপক মৌসুমি নন্দী
বলেন-“সমস্ত সিনিয়র চিকিৎসকদের রোস্টার করে দেওয়া হয়েছে। তারা সমস্ত দিক
স্বাভাবিক রাখার জন্য কাজ করবেন। সমস্যা হতে দেওয়া হবে না।”

তবে তাহলেও সমস্যা হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই ৷ কারন Senior Doctor বা Specialist Doctor সব স্থানে স্বাভাবিক ভাবে থাকবে কিনা সন্দেহ রয়েছে ৷ বেশিরভাগ লোকজনই মনে করছেন Junior Doctor -ই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বেশিরভাগ পরিস্থিতি সামাল দিয়ে থাকেন ৷ 


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page