Ghatal Master plan: ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান-এ নামতেই বাধা গ্রামবাসীদের,দাবি-“ঘাটাল বাঁচাতে দাসপুরকে ডুবতে দেবোনা”
Ghatal: দীর্ঘপ্রতীক্ষার পরে সার্ভে শেষ করে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান (Ghatal Master plan) এর কাজ শুরু হওয়ার পথে ৷ সেই কাজের জন্য খাল খনন শুরু হতে যাচ্ছে বুঝতে পেরেই নতুন পরিকল্পিত খালের পথে থাকা জমির মালিক ও গ্রামের লোকেরা বাধ সাধলেন (Villager agitation)৷ একত্রিত হয়ে রাস্তায় নেমে পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন তাদের জামি ও গ্রামের সামনে দিয়ে নতুন খাল তারা করতে দেবেন না ৷ তাতে মাস্টারপ্ল্যান হোক বা নাই হোক ৷ ঘাটালের বন্যা (Ghatal flood) কমাতে নিজেদের এলাকাকে ডুবতে দেওয়া হবেনা ৷ ঐক্যবদ্ধ গ্রাবাসীরা নতুন কমিটি তৈরী করে গ্রামের মহিলাদের সামনে রেখে প্রতিবাদী মিছিল (protest rally) বের করলেন রাস্তায় ৷ ফলে কয়েক দশকের জটিলতা কাটিয়ে ঘাটালের বন্যা আটকাতে মাস্টার প্ল্যান শুরু করতে গিয়েও বড়ো বাধার মুখে প্রশাসন ৷ সেই আঁচে রাজনীতি শুরু বিজেপির৷(BJP)
ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান রূপায়ণে জমি দিতে নারাজ দাসপুরের কৃষকেরা(Daspur farmer), শুরু আন্দোলন। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য জমির মাপজোক শুরু হতেই গড়ে উঠেছে তীব্র আন্দোলন। “নতুন করে খাল খননে জমি দেব না” এমনই দাবি তুলে আন্দোলনে সামিল একাধিক গ্রামের মানুষজন।
ইতিমধ্যে একাধিক প্রশাসনিক দপ্তরে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন তারা, শুধু তাই নয় লিফলেট ছড়িয়ে মিছিল সংগঠিত করা হল। আন্দোলনকারীদের দাবি -দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের (Daspur block) বৈকন্ঠপুরের চন্দনেশ্বর খাল থেকে সুরতপুর শিলাবতী নদী(Shilaboti river) পর্যন্ত নতুন করে খাল খনন করতে দেওয়া হবে না। কারণ এই খাল খননের জন্য তিন ফসলি জমি থেকে শুরু করে প্রচুর বাড়িঘর নষ্ট হবে৷ এই খাল খননের প্রতিবাদ করে একটি কমিটিও গড়ে তুলেছে গ্রামবাসীরা (চন্দনেশ্বর খাল খনন প্রতিবাদী কমিটি)।(Chandaneswar khal khanan pratibadi commitee)
পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার ঘাটাল মহকুমার ঘাটাল(Ghatal sub division), দাসপুর সহ বিভিন্ন এলাকা বন্যার সময় শিলাবতী নদীর জল বেড়ে যায়, তাই দাসপুর এলাকায় সেই জলের চাপ কমাতেই দাসপুরের সুরতপুর থেকে বৈকন্ঠপুর পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার একটি নতুন খাল কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেচ দপ্তর৷ এই খাল কাটতেই কয়েকশ হেক্টর জমি অধিগ্রহন করতে চায় রাজ্য সরকার৷ তার পদ্ধতিগত কাজ শুরু করেছে প্রশাসন৷ ছক শুরু হয়েছে জানতে পেরেই তারই প্রতিবাদে নামলেন গ্রামের মানুষজন। কারন ইতিমধ্যেই জমি জরিপের কাজ শুরু হয়েছে দাসপুরের বেশ কিছু এলাকাতে। আর এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছে দাসপুর, বৈকন্ঠপুর, চাঁদপুর,ঝুমঝুমি,হরিরামপুর,সুরতপুর সহ বেশ কিছু গ্রামের মানুষজন।
আন্দোলনকারীদের দাবি- “২০১১ সালে মাস্টার প্ল্যানের ডিপিয়ারে এই নতুন খাল খননের কথাটি কথাও উল্লেখ নেই।এলাকার বেশিরভাগ জমিই তিন ফসলি ও উর্বর৷তাকে কেটে নষ্ট করতে দেওয়া হবেনা৷ তাছাড়া নতুন করে খাল তৈরী হলে বন্যার জলের চাপ তৈরী হবে৷ঘাটালকে বাঁচাতে দাসপুরের এই এলাকায় বন্যা তৈরী হবে প্রতিবছর ৷তাই জমি দেওয়া হবেনা ৷”
যদিও এই বিষয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সেচ ও কৃষি কর্মাধ্যক্ষ (তথা ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি) আশীষ হুদাইত(Ashish Hudayit) বলেন, -“আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলে বিষয়টি বোঝানো হবে।জাতীয় ও বড়ো স্বার্থে এই কাজ করতে কিছু লোককে সহযোগীতা তো করতেই হবে৷ এটা আন্দোলনের পথে না গিয়ে আলোচনার পথে সমাধানের চেষ্টা করা হবে ৷” তবে যাই হোক এই আন্দোলন নিয়ে পড়ে গিয়েছে তীব্র শোরগোল। এই ঘটনায় শাসক দলকে খোঁচা দিয়েছেন ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট (BJP MLA Sital Kopat)।