ডেবরা: সাত সকালে অনেকেই জাতীয় সড়কের পাশে ডেবরা বাজারে নিত্যদিনের মতো চায়ের দোকানে হাজির হয়েছিলেন, কেউ কেউ বাস থেকে নেমেছেন সবে৷ এক পা দু পা করে চায়ের দোকানের দিকে যাচ্ছিলেন ৷ সেখানে চা দোকানের সামনে প্রথমে যা দেখলেন তাতে প্রথমে অনেকে চোখ কচলে দেখলেন ঠিক দেখছেন কিনা ৷ মুহুর্তে চোখ কপালে ওঠার পরিস্থিতি ৷ দেখলেন ফুটপাতে চা এর দোকানে চা পান করছেন রষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ! তাও আবার কোনো নিরাপত্তা রক্ষী বা সঙ্গী কেউই নেই ? কৌতুহলিদের ভীড় ঘিরে ধরল ৷ জানা গেল আসল রহস্য ৷ আসলে তিনি একজন স্থানীয় বাসিন্দা , যিনি হুবহু রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর মতো দেখতে ৷ যাচ্ছিলেন বাপের বাড়ি ৷ এক ঝলক দেখলেই মনে হবে আমাদের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মু বসে আছেন ৷ ডেবরার গীতা শাসমল-কে দেখেই হতবাক সবাই৷ চা থেকে দই, খাতিরে কোনো কমতি রাখলো না ডেবরাবাসী ৷
সকালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের ডেবরা ওভার ব্রীজের নীচে এক মহিলা একটি কাঠের বেঞ্চে এসে বসলেন।চোখে চশমা,পরনে গোলাপী পাড়ের শাড়ী।হঠাৎ করেই এক ঝলক দেখে অনেকেই চমকে গেলেন। সকলেই ভেবেছিলেন ডেবরা বাজারে কী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মুকে দেখছি।কারন তিনি হুবহু আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর মতো দেখতে ৷ তারপরেই ধীরে ধীরে অনেকেই এসে পরিচয় জানতে চাইল। পরিচয় জানতে গিয়ে যানা গেলো ভদ্রমহিলার বাড়ী ডেবরার শ্যামসুন্দরপুর এলাকায়।তিনি তার বাপের বাড়ী যাবেন বলে এসেছেন।প্রায়ই রাষ্ট্রপতির মতো দেখতে তাকে। তাই কিছু উত্সুক ব্যাক্তি মহিলাকে চা,জল,দই খাওয়ালো। এলাকার কয়েকজন জানান -এক পলকে ওনাকে দেখলে পুরো রাষ্ট্রপতি মনে হবে। তাই আমরা তাকে জল,চা,দই খাওয়ালাম।
আসলে ওই মহিলার নাম গীতা শাসমল(৬৫)।বাড়ী পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার শ্যামসুন্দরপুর এলাকায়।বাড়ীতে ছেলে আর বৌমা আছে। ছেলে বেসরকারি বাসে কাজ করেন।গীতা দেবী জানান- “আমি তো জানিনা আমাকে কেমন দেখতে।আপনারা যা ভাববেন তাই ভাবুন। আমি একজন সাধারণ মহিলা”। তবে অনেকেই ভাবতে শুরু করেছিলেন- হয়তো রাষ্ট্রপতি ব্যাক্তিগত সফরে বেরিয়েছিলেন ৷ ডেবরাতে চায়ের দোকানে দাঁড়িয়েছেন কোনো কারনে ৷ পরে অবশ্য ভূল ভাঙে সকলের ৷