potato suicide: “আলুতে কেউ গেম খেলবেন না” নোট লিখে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাবসায়ীর আত্মহত্যা
গড়বেতা: আলুতে লোকসান,ঋণের
চাপে আত্মঘাতী বলে সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতী হলেন এক ব্যবসায়ী। মনোজ দত্ত(৪৮)
নামে ওই ব্যক্তির বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড় থানা এলাকার ভাটমৌদি
গ্রামে। মৃত্যুর পর তার কাছ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। খতিয়ে দেখছে
পুলিশ।নোটে লেখা রয়েছে- “কয়েকবছর ধরে ক্রমে আলু ব্যাবসাতে
লোকসানের কারনে বাধ্য হয়ে এই পথ বেছে নিচ্ছি ৷ এর দায় সম্পুর্ন আমার ৷ আলুতে
কেউ গেম খেলবেন না ৷”
গোয়ালতোড়ের ওই ব্যক্তি দীর্ঘ
পুরনো আলু ব্যবসায়ী(potato marchent)। কয়েক বছর ধরেই তার আলু
ব্যাবসাতে লোকসান হচ্ছিল বলে জানাগিয়েছে। উদ্ধার হওয়া
সুইসাইড নোটে তিনি উল্লেখ করে গিয়েছেন -আলুতে লোকসানের কারণে কত কয়েক বছরে বহু টাকা
ঋণ হয়ে গিয়েছে। সমিতি সহ বিভিন্ন জায়গায় ঋণ নেওয়া হয়েছিল। সেই ঋণের ভার তার
একার ,এর জন্য পরিবারকে কোন ভাবে না দায়ী করা হয় ৷ সম্প্রতি
আলু দেওয়া নিয়ে কয়েকজন ব্যাবসায়ীর সাথে চুক্তি করেছিলাম ৷ তাতেই লোকসান হয়েছে বেশি
৷ যা কারনে কোনো পথ না দেখে এই পথ বেছে নিলাম ৷ এজন্য আমার ছেলেকে কেউ দায়ী করবেন না
৷ ও তাহলে ভুল পথ বেছে নেবে ৷ সবাই ভালো থাকবেন ৷ আলুতে কেউ গেম ঘেলবেন না ৷” এমন উল্লেখ করে আত্মঘাতী হয়েছে বলে পরিবারের দাবি।
ছেলে স্বরূপ দত্ত জানান- আলুতে
অনেক টাকা লোকশান হয়েছিল। বাবা ওখানকার আলু ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যও ছিলেন। আমরা যখন বাড়িতে ছিলাম না তখন বাড়িতে কখন গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী
হয়েছেন।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে
গোয়ালতোড় থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে
মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক চাপান উতোর শুরু হয়েছে
৷ বিজেপির জেলা সহ সভাপতি শঙ্কর গুছাইতের দাবি-“ এই কারনের পেছনে শাসকদলের অদুরদর্শিতা
ও দুর্নীতি রয়েছে ৷ দামনিয়ন্ত্রন না রাখার মতো একাধিক কারনে জেলাতে আলু নিয়ে তিনজন
আত্মহত্যা করলেন ৷” এই মন্তব্যকে খন্ডন করে
তৃণমূলের জেলা কো অর্ডিনেটর অজিত মাইতি-র দাবি – “ বিজেপি শাসিত
রাজ্যগুলিতে প্রতিদিন কতো লোক মারা যাচ্ছে তার দিকে ওরা দেখছে না ৷ এখানে কেউ পারিবারিক
কারনে মারা পড়লেও তা নিয়ে রাজনীতি শুরু করে
দিচ্ছে ৷ এই দ্বিমুখী নীতির কারনেই বিজেপির উত্থান স্তব্ধ ৷ আলু ব্যাবসায়ী কি কারনে
মারা গিয়েছে তা পুলিশ দেখছে ৷ ”