চন্দ্রকোনা: রবিবার সকাল থেকেই
পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা টাউন থানার অন্তর্গত কৃষ্ণপুর এলাকা উত্তপ্ত হয়ে
গিয়েছিল। তৃণমূল বনাম আইএসএফ-বাম এর জোটের সংঘর্ষে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি
হয়েছিল। এই ঘটনায় চার জন রক্তাক্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। সন্ধ্যের
পরেই পাল্টে গেল সেই এলাকার পরিস্থিতি। সকালে যে আইএসএফ-সিপিআইএম তৃণমূলের
বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ করেছিল, তারাই প্রার্থী সহ দল
বেঁধে যোগ দিলেন তৃণমূলে। বললেন “উন্নয়নের শামিল হতে এসেছি”।
চন্দ্রকোনা টাউন থানার অন্তর্গত
কৃষ্ণপুর এলাকাতে তৃণমূলের একচ্ছত্র অধিপত্য ছিল ক্ষমতার পরিবর্তনের পর। কারণ ১২
বছর ধরে পুরনো ক্ষমতায় থাকা বামেরা নিষ্ক্রিয় ছিল। গত ৫ দিন আগে আইএসএফ ও
সিপিআইএম জোট বেঁধে এলাকায় ১২ বছর ধরে বন্ধ থাকা সিপিআইএমের জোনাল কার্যালয়
খুলেছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার ধীরে ধীরে শুরু করেছিল। তার মাঝেই রবিবার
সকাল থেকে তৃণমূলের সঙ্গে আইএসএফ ও বাম জোটের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একে অপরের
বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল। অনেক চেষ্টা করে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে পুলিশ। এরপর
সন্ধ্যে নামতেই পরিস্থিতি পাল্টে যায়।
তিন আইএসএফ ও সিপিআইএম প্রার্থী
সহ শতাধিক জোটের কর্মী যোগ দিলেন তৃণমূলে। কৃষ্ণপুরে তৃণমূলের কার্যালয়ে তাদের
হাতে পতাকা তুলে দিলেন চন্দ্রকোনার বিধায়ক অরূপ ধাড়া। আইএসএফ এর পঞ্চায়েত
সমিতির প্রার্থী নাজিরা বিবি বলেন-” আমরা আগে তৃণমূলের সঙ্গেই ছিলাম। বিভিন্ন
কারণে আই এস এফ এ যোগ দিয়েছিলাম। পুনরায় উন্নয়নের শামিল হতেই আবার তৃণমূলে ফিরে
এসেছি।”
একই রকম বক্তব্য স্থানীয় গ্রাম
পঞ্চায়েতের সিপিআইএম প্রার্থীর শাকিলা খাতুনের। তিনি বলেন-” সিপিআইএম ভুল
বুঝিয়েছিল আমাদের। তাই একসময় তৃণমূলে থাকলেও আমরা আইএসএফে গিয়ে সিপিআইএমের
সঙ্গে জোটে ছিলাম। আমরা ভুল বুঝতে পেরে পুনরায় ফিরে এসেছি। তৃণমূলের হয়ে কাজ
করব।”
একই রকম মন্তব্য অন্যান্যদেরও। এ
বিষয়ে বিধায়ক অরূপ ধাড়া বলেন-“আমরা কেউই ওদের জোর করিনি। সকালে একটা
বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছিল। এলাকাটা শান্তির এলাকা। তাই শান্তির সাথে সকলে এক এক করে
এখানে এসে শামিল হয়েছেন। তিন প্রার্থী সহ শতাধিক জোটের কর্মী তারা হাজির হয়েছেন।
বাকি আরো আসবে।”