মেদিনীপুর: রাজ্যে আলুর বাজার দর নিয়ন্ত্রণে আনতে একাধিক পদক্ষেপ শুরু হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। তারপর বাজারে আলুর দাম কতখানি নিয়ন্ত্রণে এসেছে তা দেখার জন্য বাজার ঘুরে জিনিসপত্রের দাম পরীক্ষা শুরু করল আধিকারিক ও পুলিশ। মেদিনীপুর শহরের মির্জাবাজার এলাকায় সোমবার এই বিশেষ টিমকে বাজার ঘুরে খতিয়ে দেখতে দেখা গিয়েছে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে প্রায় ৩ কোটি আলুর প্যাকেট হিমঘরে মজুদ করা হয়েছিল চলতি বছরে। যার মধ্যে এখনো পর্যন্ত ৩৩ লক্ষ প্যাকেট ৯২ টি হিমঘরে মজুদ রয়েছে। অন্যান্য বছরের মতো এবছরও এই আলু হিমঘরে থাকার কথা নয়। কিন্তু ব্যবসায়ীরা আলুর দাম বেশি পাওয়ার লক্ষ্যে হিমঘরগুলি থেকে আলু এখনও বের করেনি। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল নভেম্বরের মধ্যে সব আলু বের করে দিতে হবে। সেটা বাড়িয়ে ডিসেম্বর করা হয়েছে পরে। যার লক্ষ্য ছিল রাজ্যের বাজারে আলুর যোগান পর্যাপ্ত করে দেওয়া। আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা। কিন্তু ব্যবসায়ীরা সেই আলু বের করে ভিন রাজ্যের রপ্তানি করছিল। যার জেরে বাজারে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা করে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে।
এমন অবস্থায় ভিন রাজ্যে আলু রপ্তানি বন্ধ করতে নিষেধ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রতিটি সীমান্তে নাকা তৈরি করে ভিন রাজ্যের উদ্দেশ্যে বের হওয়া আলোর লরিগুলিকে আটকে ফেরত পাঠানো শুরু করেছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে তিনশোর বেশি লরিকে ফেরত পাঠিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেই। এরপরেও জেলার বিভিন্ন সবজি বাজার গুলিতে আলুর কেমন দাম থাকছে তা খতিয়ে দেখতে অভিযান শুরু করেছে কৃষি বিপণন দপ্তর। এক সপ্তাহ আগেই এই দফতরের মন্ত্রী বেচারাম মান্না পশ্চিম মেদিনীপুরে এসে এই বিষয়ে নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন। এবার সোমবার সকাল থেকেই বিভিন্ন সবজি বাজার গুলিতে দপ্তরের আধিকারিকদের অভিযান করতে দেখা গেল আলুর দাম পরীক্ষা করতে। সঙ্গে অবশ্য পুলিশকর্মীরাও ছিলেন।
তারা জানিয়েছেন, মির্জাবাজার সহ মেদিনীপুরের সবজি বাজার গুলিতে আলুর দাম এখন ঠিকই রয়েছে। যা দাম হওয়া উচিত সেই দামই রয়েছে। চেষ্টা চলছে আরও অন্যান্য পদক্ষেপ নেওয়ার।
#potato, #Paschim medinipur, #Midnapurtown, #DEB, #আলুর বাজার,