দাসপুর: বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে
পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের কলমীজোড় ও সংলগ্ন এলাকাতে প্রচারে বেরিয়েছিলেন
বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ। প্রচারে বেরিয়ে দেখেন চলছে সিপিআইএমের কর্মীদের দেওয়া
লিখন। তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে তাদের কাছ থেকেই রং তুলি নিয়ে সিপিআইএমের
প্রতীকের পাশেই আঁকলেন পদ্ম। সেই সঙ্গে আহ্বান জানালেন “অনেক অন্য দল হয়েছে
একবার বিজেপিকে সমর্থন করে দেখুন।”ঘটনায় রাজনৈতিক জল্পনা। তৃণমূলের
দাবি-“এতদিন যেটা আমরা বলছিলাম, সেই গোপন আঁতাত
প্রকাশ্যে এলো।”
দাসপুরের কলমীজোড় এলাকায় গ্রামে
ঢুকে বাড়িতে বাড়িতে প্রচার করেছেন এদিন ভারতী ঘোষ। গত লোকসভা নির্বাচনের আগে
থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল লোকসভার দাসপুর এলাকাতে অবস্থান করছেন তিনি।
লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী দেব এর কাছে হেরেছিলেন। কিন্তু মাটি ছেড়ে
যাননি। তারপর থেকে বিধানসভা কিংবা পঞ্চায়েত কোন ক্ষেত্রেই নিজের না দাঁড়ালেও
প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করেন ঠিকই।
বুধবার সকাল থেকেই দাসপুরের
কলমীজোড় ও বিভিন্ন এলাকায় প্রচারে বেরিয়েছিলেন তিনি। প্রচার করতে করতে
কর্মীজোড় এলাকায় দেখেন সিপিআইএমের কর্মীরা প্রতীক আঁকছে দেওয়ালে। সাথে সাথে
তাদের সাথে কুশল বিনিময় করেন খানিকটা। অনুরোধ করেন “ভাই আমাকে একটু দেওয়ার
লিখতে দেবে।” এতে হতচকিত হয়ে সিপিআইএমের ওই কর্মীরা রাজি হয়ে যান। তাদের
হাত থেকে রং তুলি নিয়ে তাদের সিপিআইএমের প্রতীকের পাশেই নিজের দলের পদ্ম ফুলের
ছবি আঁকেন তিনি। তারপরে অনুরোধ করেন “অনেকদিন অন্য দলকে জয়ী করেছেন এবার
বিজেপিকে একবার জয়ী করে দেখুন”। এরপর প্রচারে বেরিয়ে যান অন্যত্র।
সিপিআইএমের যে কর্মী ওই কাজটি
করছিলেন সেই লিয়াকত আলী বলেন-“উনাকে আমরা চিনি পুলিশ সুপার ছিলেন। মতাদর্শগত
পার্থক্য থাকতেই পারে। নিজে প্রতীক আঁকবেন বলে যখন রং চাইলেন তখন আমরা দিলাম।
আমাদের এখানে রাজনৈতিক দলাদলি এতখানি নেই। সবাই সকলের সহযোগিতায় প্রচার করতেই
পারে।”
তৃণমূল অবশ্য এই সুযোগে কটাক্ষ
করতে ছাড়েনি। তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটের অজিত মাইতি বলেন-” আমরা এতদিন ধরে
মানুষকে এটাই বলে আসছিলাম যে রাম আর বাম এক। আজকের সিপিআইএমের প্রতীকের পাশে
তাদেরই রং নিয়ে বিজেপি নেত্রী যে প্রতীক আঁকলেন তাতে পরিষ্কার সবার সামনে যে তলে
তলে সিপিআইএম ও বিজেপি আঁতাত করেই চলে। তাতে ওদের উদ্দেশ্য অবশ্য সফল হবে
না।”
ভারতী ঘোষ বলেন-” এখন সময়
হয়েছে সকলেরই শাসকদলের সন্ত্রাস ও অনুন্নয়ন দুর্নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়ানো। সকলেরই
এগিয়ে আসা উচিত। সেই আহবানটাই জানালাম।