Panchayet election: “গড়বেতায় বিজেপি কর্মীর মুখে প্রস্রাব করার ঘটনা ভিত্তিহীন, অভিযোগকারী মদ্যপ ছিলেন”, দাবি পুলিশের

 

মেদিনীপুর: বিজেপি কর্মীর মুখে প্রস্রাব করার ঘটনা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, সোমবার এমনটাই জানিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। সেই সঙ্গে পুলিশের আরও দাবী “অভিযোগকারী মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন ।মেডিকেল রিপোর্টে প্রমাণ হয়েছে।”

 উল্লেখ্য, গড়বেতার মায়তা এলাকায় বিজেপির পোলিং এজেন্ট বরুন রুইদাসকে বাজার থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। জল চাইলে তাঁর মুখে প্রস্রাব করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি শমিত দাসের বক্তব্য, “তৃণমূলের লোকজন আমাদের কর্মীর থেকে টাকা চেয়েছিল পিকনিক করবে বলে। ওই বিজেপি কর্মী অত্যন্ত গরিব। টাকা দিতে না পারলে তাঁকে মারধর করে তৃণমূল কর্মীরা। ওই সব তৃণমূল কর্মী মত্ত অবস্থায় ছিল। আমাদের কর্মীকে মারধর করা হয়।মার খাওয়ার পর আমাদের ওই কর্মী জল চাইলে তাঁর মুখে প্রস্রাব করে দেওয়া হয়।” 

যদিও বিজেপির তোলা ওই অভিযোগকে ‘আষাঢ়ে গল্প’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতা। এবার বিজেপির সেই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার। তিনি জানিয়েছেন, “ঘটনার তদন্তে নেমে দেখা গিয়েছে প্রস্রাব করার ঘটনা ঘটেনি। মারধরের অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি টুইটে বরুনের স্ত্রীর থানায় জানানো লিখিত অভিযোগপত্র ও বরুনের মেডিক্যাল কাগজ পোস্ট করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে বরুনের স্ত্রী রূপা রুইদাসও অভিযোগ পত্রে মারধরের বিষয়টি উল্লেখ করলেও প্রস্রাবের কথা উল্লেখ করেন নি। মেডিক্যাল রিপোর্ট বলছে তাঁকে শারীরিক মারধর করা হয়েছে এবং তিনি মদ্যপ।

 তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, “ঘরছাড়া নিয়ে নাটক করছে বিজেপি। জেলায় কতজন ঘরছাড়া রয়েছে তাঁর নামের তালিকা পুলিশকে দিক এবং আমাকে দিক। দায়িত্ব নিয়ে বলছি সবাইকে বাড়ি ফিরিয়ে দিয়ে আসব। একটা আঁচড় লাগতে দিব না। সম্পূর্ণ নিরাপদে বসবাস করবে।”


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page