panchayet clash: শেষ রবিবারের প্রচারে আইএসএফ তৃণমূল সংঘর্ষ চন্দ্রকোনায়, রক্তাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন চার জন
চন্দ্রকোনা: গত তিন দিন আগেই
পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা টাউন থানার অন্তর্গত কৃষ্ণপুর এলাকায় দীর্ঘ পুরনো
বন্ধ থাকা জোনাল কার্যালয় খুলেছিল সিপিআইএম ও আইএসএফ। শুরু করেছিল প্রচার কাজ।
তারপরেই রবিবার প্রচারে বেরিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা। একে অপরের বিরুদ্ধে
অভিযোগ রয়েছে। তবে সংঘর্ষে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন
চারজন। ঘটনায় হাজির হয়েছে পুলিশ বাহিনী।
পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা
টাউন থানার অন্তর্গত কৃষ্ণপুর এলাকায় তৃণমূলের একচ্ছত্র অধিপত্য ছিল। যে কারণে
ক্ষমতার পরিবর্তনের পর সিপিএম কোন রাজনৈতিক কার্যকলাপ করতে পেরেছিল না। সম্প্রতি
গত তিনদিন আগে আইএসএফ ও সিপিআইএম যৌথভাবে মিছিল করে গিয়ে প্রায় ১২ বছর ধরে বন্ধ
থাকা সিপিআইএমের জোনাল কার্যালয় খুলেছিল। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করতেই শাসকদলের
সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা। স্থানীয়দের মোবাইলে পাওয়া ছবিতে দেখা গিয়েছে-পতাকা লাগানো
ডান্ডা নিয়ে একে অপরের ওপর আক্রমণ চলছে।
স্থানীয় তৃণমূলের কর্মী রেজল
ভূঁইয়া বলেন-” স্বাভাবিকভাবেই আমরা কাজকর্ম করছিলাম। দেখলাম ৩০ থেকে ৪০ জন
সিপিআইএম ও আইএসএফ কর্মী পতাকা লাগানো ডান্ডা নিয়ে এলাকায় হাজির হয়। বিভিন্ন
অজুহাতে উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করলে আমরা এড়ানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ওরা
পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করে তৃণমূলের কর্মীদের ওপর। আমাদের অনেকেই জখম
হয়েছেন।”
একই রকম বক্তব্য মন্তাজ সরকার
নামে আরও এক আক্রান্ত তৃণমূলের কর্মীর। এরা সকলেই চিকিৎসাধীন চন্দ্রকোনা গ্রামীণ
হাসপাতালে। অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো অভিযোগ করেছে সিপিআইএম কর্মী সুস্মীত পাল।
সুস্মিত পাল বলেন-” আমরা
প্রার্থীকে নিয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলাম। বিষয়টা ওরা মেনে নিতে পারেনি। পতাকা
লাগানো ডান্ডা নিয়ে আমাদের উপরে অতর্কিত আক্রমণ করে। যেখানে আমাদের আইএসের কর্মী
ও প্রার্থী সকলে আক্রান্ত হয়েছেন।”
এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা তৈরি
হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে মোতায়েন হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী।