Cutmoney: নিজের চেয়ারে বসে টাকা নিচ্ছেন পঞ্চায়েত প্রধান! দেখুন ভাইরাল ভিডিও

শালবনী:  তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে বার বার কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। এবার তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের টাকা নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল নেট দুনিয়ায়। সেই ভিডিও প্রকাশ্যে এনে শাসক দলকে করা নিশানা বিজেপি নেতৃত্বের।ঠিকাদার নাকি কাজ পেতেই এই টাকা দিচ্ছিলেন! এমনই ভাইরাল ভিডিও ঘিরে শোরগোল। এবার ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরে ৷ বিষয়টি দেখে কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা ৷ তাঁর দাবি- ঘটনা সত্য হলে কড়া ব্যাবস্থা নেওয়া হবে ৷ আমি আগেই সকলকে বলেছিলাম কেউ কোথাও দলের নামে টাকা চাইলে দেবেন না ৷ এসব বরদাস্ত করা হবেনা ৷



ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনী ব্লকের বাকিবাঁধ পঞ্চায়েতে ৷  ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, শালবনি ব্লকের চার নম্বর বাঁকিবাঁধ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ধনঞ্জয় মাহাতোর হাতে টাকা দিচ্ছেন এক ব্যক্তি। সেই টাকা কোনো কাজ হাসিল করতেই দেওয়া হচ্ছে তা কথোপকথনে খানিকটা পরিষ্কার হয়েছে ৷ এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। ভিডিওটি কবেকার তা পরিষ্কার হয়নি ৷


এই ঘটনায় যদিও চক্রান্তের তত্ত্ব খাড়া করেছে অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান ধনঞ্জয় মাহাতো। তিনি বলেন- “ এটা সম্পুর্ন চক্রান্ত করা হচ্ছে আমার বিরুদ্ধে ৷ ছবিতে আমি রয়েছি আমার অফিসে এটা সত্য ৷ আমি বিভিন্ন টেন্ডারগুলো যা অফলাইনে হতো সেগুলো অনলাইনে করতে ব্যাবস্থা করেছি ৷ তাই কোনো কারনে ঠিকাদারেরা পরিকল্পিত ভাবে ষড়যন্ত্র করেছে আমার বিরুদ্ধে ৷ তবে আমি কোনো টাকা নিইনি সম্পুর্ন চক্রান্ত ৷ভিডিওটাও চক্রান্ত ৷ তবে টাকাটা ধার হিসেবে নিয়েছিলাম ৷ ”



 মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির মুখপাত্র অরূপ দাস অভিযোগ করে বলেন, -“দীর্ঘদিন ধরেই এই পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ আসছিল, তবে এতদিন কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যেকোনো প্রকল্পের কাজই হোক কিংবা উন্নয়নমূলক কাজ সবকিছুতেই কাটমানি নেন অভিযুক্ত এই প্রধান। এবার এই ভিডিওতেই সত্যতা পাওয়া যাচ্ছে। এই নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো ৷”

YouTube player

ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে অস্বস্তিতে শাসকদল। মেদিনীপুর সংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা বিধায়ক সুজয় হাজরা জানিয়েছেন, “ভিডিওটা দেখলাম ৷ ওই প্রধানকে দলের তরফে পুরো বিষয় জানতে চাওয়া হবে। ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে দলীয় স্তর এবং প্রশাসনিক স্তরে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।আমি বেশ কয়েকবার সংবাদ মাধ্যম ও দলের বৈঠকে কর্মীদের বলেছিলাম কোথাও কেউই যেন দলের নামে কোনো টাকা না তোলে ৷ অনেকেই নির্বাচন এলে দলের নামে অর্থ সংগ্রহ শুরু করে দেন ৷ সেই সমস্ত দিক মাথায় রেখেই সকলকে সচেতন করা হয়েছিল ৷ তাতে কাজ হয়েছে অনেক স্থানে ৷ কিন্তু সব স্থানে হয় নি ৷ এখনও কেউ কেউ লোভ সামলাতে পারেন না ৷ তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে”৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page