শালবনী : তেল কারখানার বর্জ্য তথা ছাইয়ের স্তুপ যেন ছোট একটা পাহাড়ে পরিণত হয়েছে। আর সেই বর্জ্য কারখানার সীমানা পেরিয়ে পড়ছে বনদপ্তরের জমিতে! এবার কারখানা কর্তৃপক্ষকে আইনি নোটিশ ধরালো বনদপ্তর। নিজেদের সীমানা চিহ্নিত করে বনদপ্তরের জমিতে ছাই পড়ে থাকলে অবিলম্বে তুলে নিতে হবে। না হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনা মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন শালবনীর ভাদুতলাতে৷
শালবনীর কর্ণগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাদুতলায় রয়েছে একটি তেল কারখানা। সেই কারখানার বর্জ্য তথা ছাই থেকে ছড়াচ্ছে দূষণ! তার জেরেই এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা চরম বিপদে। অভিযোগ, ওই কারখানা কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানিও কোন ফল মেলেনি। দূষণের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরেও অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে দাবি গ্রামবাসীদের। কারখানার ছাই উড়ে ঢুকছে বাড়ির ভেতরে। গাছপালার ওপরও জমছে আস্তরণ। পথযাত্রীদের কাপড়ে মুখ ঢেকে যাতায়াত করতে হয়।
দূষণের জেরে বিভিন্ন রোগে ভুগছেন এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা জীবনকৃষ্ণ মাহাত বলেন, “কারখানার ছাই পুরো এলাকায় দূষণ ছড়াচ্ছে। বাড়ির ভেতরেও ঢুকে যাচ্ছে। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষজন। পথ চলতেও সমস্যা হচ্ছে। খোলা ট্রাক্টরে করে ওই ছাই নিয়ে যাওয়ার সময় উড়ে ঢুকছে চোখে-মুখে। একাধিক দপ্তরে জানিয়েও কোন সুরাহা হয়নি। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পরিষদেও অভিযোগ জানানো হয়েছে।” স্থানীয় বাসিন্দাদের আরো অভিযোগ, কারখানার দূষিত বর্জ্য বনদপ্তরের জমির একাংশে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। বনদপ্তরকেও জানানো হয়েছে বিষয়টি।
এরপরই নড়েচড়ে বসে বনদপ্তর। কারখানা কর্তৃপক্ষকে একটি নোটিশ ধরানো হয়েছে। ভাদুতলা রেঞ্জের আধিকারিক শুভাশিস চৌধুরী বলেন, “ওই কারখানা কর্তৃপক্ষকে একটি নোটিশ ধরানো হয়েছে। তাদের জানানো হয়েছে কারখানার সীমানা চিহ্নিত করতে। বনদপ্তরের জমিতে ছাই পড়ে থাকলে তা দ্রুত তুলে নিতে হবে। না হলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”