Ghatal master plan: টাকা নয়, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে নতুন জটিলতা, দেব ডাক দিলেন-“ইউনাইট ফর ঘাটাল”

মেদিনীপুর: ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ শুরু হচ্ছে ফেব্রুয়ারী থেকেই, শেষ হবে ২০২৮ সালের মার্চ মাসের মধ্যেই ৷ কাজ শুরুর আগে চূড়ান্ত বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলন করে ঘাটালে জানিয়ে দিলেন সেচ দপ্তরের মন্ত্রী ও সাংসদ দেব। ঘাটালে মহকুমা শাসকের অফিসে জেলাশাসক ,পুলিশ সুপার, সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার সহ বিভিন্ন আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলন করে পরিষ্কার বার্তা দিলেন সকলে। তবে দেব জানিয়ে দিলেন-” ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান এর জন্য এতদিন জানতাম টাকাটাই প্রয়োজন, এখন বুঝলাম সমস্যা অন্য রয়েছে। সেজন্য সমস্ত রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা প্রয়োজন। “ইউনাইট ফর ঘাটাল”এর ডাক দিচ্ছি আমরা।” অন্যদিকে দাসপুরের ওপর দিয়ে নিকাশি খাল কাটতে দেবে না এমন অভিযোগ করে প্রতিবাদী মিছিল বের করলেন স্থানীয়রা।কাজ শুরুর আগেই অশনি সংকেত ও জটিলতার আভাষ পাচ্ছেন দেব৷



মঙ্গলবার দুপুরে ঘাটালে মহকুমা শাসকের অফিসে একটি বড় বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান শুরু করার লক্ষ্যে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন সেচ দপ্তরের মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া, ছিলেন সাংসদ দেব, জেলাশাসক খুরশেদ আলী কাদেরী, পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার সেচ দপ্তরের বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকগণ। মাস্টার প্ল্যান এর কাজ শুরু করার আগে পুরো ছক কষে নেওয়ার পর চূড়ান্ত পর্বের বৈঠক ছিল এদিন। সেই বৈঠকে শেষ করে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিস্তারিত জানালেন মন্ত্রী ও সাংসদ।



এদের মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুইয়া বলেন-” পরিকল্পনা খসড়া আমাদের তৈরি হয়ে গিয়েছে। ২০২৮ আমাদের শেষ সময়সীমা। ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই কাজ শুরু করছি। মুখ্যমন্ত্রী অন্য জেলায় রয়েছেন এই মুহূর্তে। তার সঙ্গে আলোচনা করেই তার হাত দিয়েই এই মাস্টারপ্ল্যান এর কাজ আমরা শুরু করতে উদ্বোধন করতে চলেছি। এজন্য বিভাগীয় দপ্তরের সমস্ত প্রস্তুতি শেষ হয়ে গিয়েছে।”

এদিন সাংসদ দেব বলেন-” আমরা এই ঘাটালের মাস্টার প্ল্যান করার জন্য এতদিন জানতাম টাকাটা না পাওয়াই সমস্ত সমস্যা। কিন্তু এখন দেখলাম টাকা নয় সমস্যা অন্য রকম রয়েছে। সমস্ত মানুষকে এক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। সব রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে আমাদের সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে। তাই “ইউনাইট ফর ঘাটাল” ডাক দিলাম। এখানে সব রাজনৈতিক দল এক হয়ে বেশ কিছু মানুষ ভুল বুঝে আছেন তাদের বোঝাতে হবে। সব রাজনৈতিক দলের কাছে অনুরোধ ঘাটালের স্বার্থে একমত হয়ে যে সমস্ত মানুষ ভুল বুঝে আছেন তাদের ভুল না বুঝিয়ে ইতিবাচক বোঝান। আমরা কাল থেকেই সেই সমস্ত মানুষ যারা তাদের এলাকার উপর দিয়ে খাল কাটতে দেবেন না বলে জানিয়েছেন তাদের বোঝানোর কাজ শুরু করব। তাদের জন্য আটকে আছে কাজ। “




উল্লেখ করা যায় দাসপুরের ওপর দিয়ে ঘাটালের প্লাবনের জল বের করে দিতে, চন্দ্রেশ্বর খাল কেটে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু সেই পথে রয়েছে বহু মানুষের ঘরবাড়ি ও তিন ফসলি জমি। ওই এলাকার দাসপুরের লোকজন সেই জমি খাল কাটার জন্য দিতে নারাজ। মোট সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার এলাকা সেই খাল কাটার প্রয়োজনে তিন কিলোমিটার এলাকা ক্লিয়ারেন্স পেয়েছে শেষ দপ্তর। আড়াই কিলোমিটার এখনো দেননি স্থানীয়রা। ওই আড়াই কিলোমিটার এলাকার লোকেরা মঙ্গলবার বিকেলেও প্রতিবাদী মিছিল বের করেন রাস্তায়। তারা পরিষ্কার জানিয়ে দেন তাদের এলাকার ওপর দিয়ে খাল গেলে বন্যায় ভুগতে হবে তাদের। তাই জমি তারা দেবেন না।

YouTube player

তবে এদিন দেব জানিয়েছেন-“ওই এলাকা দিয়ে নদী গেলেও কোনভাবেই বন্যার প্রকোপ থাকবেনা। খালের ১৪৮ কিলোমিটার এলাকা কংক্রিট ওয়াল তৈরি করা হবে। পাঁচ মিটার গভীর পর্যন্ত সেই ওয়াল থাকবে। যাতে নদী কোনরকম ভাবে ক্ষয় পর্যন্ত না হয়।”

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সব থেকে বড় সমস্যা ঘাটালে বন্যা। সেই বন্যা কবলিত ঘাটাল এলাকার বন্যার সমস্যা প্রায় ৭ দশক ধরে। যার সমাধান আজও অব্দি হয়নি। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান একটি পরিকল্পনা যার দ্বারা৷

#Medinipur Live, #Ghatal, #DEV, #Ghatal Master Plan,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page