Dilip Ghosh : সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি চন্দ্রচুড়ের কাজে কেউই সন্তুষ্ট নয়, ওনাকে তো আরজিকর কেস কেউই দেয়নি, নিজে নিয়েছিলেন: মেদিনীপুরে বললেন দিলীপ ঘোষ

Dilip Ghosh : সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি চন্দ্রচুড়ের কাজে কেউই সন্তুষ্ট  নয়, ওনাকে তো আরজিকর কেস কেউই দেয়নি, নিজে নিয়েছিলেন: মেদিনীপুরে বললেন দিলীপ ঘোষ

মেদিনীপুর: সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির কার্যকারিতা নিয়ে কটাক্ষ করলেন মেদিনীপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর সদর ব্লক এলাকার জঙ্গলমহল সংলগ্ন বিভিন্ন গ্রামের বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার করতে এসে একাধিক মন্তব্য করেছেন প্রাক্তন বিচারপতিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে।



শনিবার দুপুরে মেদিনীপুর সদর ব্লকের দেউলডাঙ্গা, কাশিজোড়া, সংলগ্ন গ্রামগুলিকে বিজেপি প্রার্থীকে হুটখোলা গাড়িতে নিয়ে প্রচার করেন দিলীপ ঘোষ। জঙ্গলমহলের বিভিন্ন গ্রামে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে জনসংযোগ করে পরিচিতি করান বিজেপি প্রার্থীর। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দুর্নীতি সহ আরজিকর ইসুর কথা মনে করে বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান দিলীপ ঘোষ।


দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মথুরাপুরে সোশ্যাল মিডিয়ার কনভেনার খুন হওয়া প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন-“খুন আর ধর্ষণ পশ্চিমবাংলায় কোন ঘটনা নয়। প্রতিদিনই বিরোধীদেরকে মারা এটা ঘটছে। যারা এগুলো করে তারা কখনো সাজা পায় না। তাই এগুলো হয়ে চলেছে। তাই দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে আমাদের এই কার্যকর্তা এভাবেই খুন হয়েছেন। সরকারের দায়িত্ব রয়েছে তদন্ত করে দোষীকে সাজা দিক।”



দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের সামনে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুড় সম্পর্কে বলেন-” ওনার কার্যকারিতা নিয়ে সাধারণ মানুষ কেউই সন্তুষ্ট নয়। উনাকে তো কেউই বলেছিলনা নিজে থেকে এগিয়ে এসে এই মামলা নেওয়ার জন্য। কেউ সুপ্রিম কোর্টে যাইওনি, মানুষ আন্দোলন করছিল। হাইকোর্টে মামলাটা চলছিল। এখানকার মানুষ তাতেই সন্তুষ্ট ছিল। কিন্তু তাতে উনি নিজে হস্তক্ষেপ করেছিলেন। তাতে ওনার দায়িত্ব বর্তায় বিচার প্রক্রিয়ায় দোষীদের সাজা দেওয়া। কিন্তু উনি অবসর গ্রহণ করলেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট থাকবে বিচার ব্যবস্থা থাকবে। মানুষের এখনো আস্থা আছে মানুষ বিচার পাবেন বলে। আমরা এখনো তাকিয়ে রয়েছি, তবে এটা তাড়াতাড়ি হওয়া উচিত।”

অন্যদিকে আগের দিন রাতে মেদিনীপুরে বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে এসে বিজেপি নেতার শ্রমিক ভট্টাচার্য তৃণমূল ও সিপিআইএমকে একটি জোট বলে এক হারিয়ে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেন-“আমরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বিরোধী অবস্থানে দাঁড়িয়ে ভোট করছি। এখানে প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর লড়াই নয়। বিরোধী প্রার্থীর সঙ্গে পুলিশের লড়াই। তাই মুখ্যমন্ত্রীর পরেই যার স্থান সেই বিরোধী দলনেতার সভার স্থান পর্যন্ত বাতিল হয়ে যায়। তবু এখানে আমরাই জিতবো। মানুষ তৃণমূলকে বিসর্জন দেবে। “

আব্দুল সাত্তারকে সরকারের পদে বসানো নিয়ে কটাক্ষ করে শমিক ভট্টাচার্য বলেন-” এটা তৃণমূল ও সিপিআইএমের পুরোপুরি সেটিং। প্রকাশ কারত তো প্রকাশ্যে বলেই দিয়েছে “পশ্চিমবঙ্গে আমাদের এক নম্বর শত্রু হচ্ছে বিজেপি। তৃণমূল তো সিপিআইএমের শত্রু নয়।”এরা নাটক করে যাচ্ছে। আর কিছু মানুষ জীবন যৌবন ধ্বংস করে সিপিআইএম করছে। এদেরকে তো দেখা যায় একসঙ্গে পার্লামেন্টে ওয়াক আউট করছে, একসঙ্গে ধর্না দিচ্ছে। আর পশ্চিমবঙ্গে সিপিআইএমের কিছু ছেলে শুধু শুধু মার খাচ্ছে। বিশ্বাসঘাতকতা করতে সিপিআইএম। “

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page