Sujoy Hazra : মেদিনীপুরে নতুন ইউনিভার্সিটি, বিধায়ক হয়েই সুজয় হাজরার আরো দুই নতুন উপহার
মেদিনীপুর: মেদিনীপুর শহরে আরও এক নতুন বিশ্ববিদ্যালয়। থাকছে আরও দুই বড় উদ্যোগ মেদিনীপুরের জন্য। মেদিনীপুরের বিধায়ক হয়েই তিন বড় উদ্যোগের কথা ঘোষনা করলেন নতুন বিধায়ক সুজয় হাজরা। যার কাজ তিনভাগ করে এগিয়ে গিয়েছে বলে জানালেন সুজয় হাজরা। তিনি জানালেন-ব “বহু পুরনো দাবি ছিল, মেদিনীপুর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে উন্নীত করা, এবার মেদিনীপুর কলেজ হচ্ছে “ডিমড ইউনিভার্সিটি”। তারপরেও থাকছে উদ্যোগ। মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন এলাকার চারটি অঞ্চল কংসাবতী নদীর গর্ভে ধ্বসে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাদের রক্ষা করতে বিধানসভা থেকে আসছে বিশেষ কমিটি। উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে মেদিনীপুরের টোটো ও যানজট সমস্যা মেটাতে”।
মেদিনীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে বিধায়ক হওয়ার আগেই বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নির্বাচন পর্বে তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা। যার অন্যতম ছিল-মেদিনীপুর কলেজের উন্নতি করণ। দ্বিতীয়ত, জঙ্গলমহলে প্রচারে যাওয়ার সময় সুজয় হাজরাকে মনিদহ কঙ্কাবতী এলাকার চারটি অঞ্চল কংসাবতী নদী গর্ভে ধ্বসে নষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন স্থানীয়রা। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আমি উদ্যোগ নেব। সেই মতো সুযোগ পেতেই উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। বিধায়ক হয়েই বিধানসভার ইরিগেশন কমিটির সদস্য হয়েছেন সুজয় হাজরা। সেই সূত্রে নিজের জঙ্গলমহলে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণের সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি।দুদিন আগেই আলোচনা করেছেন বিধানসভাতে। তারপরেই বিধানসভার সেই কমিটি ওই চারটি অঞ্চল পরিদর্শনে হাজির হচ্ছেন বলে জানালেন তিনি।

এরপরে রয়েছে মেদিনীপুর শহরের যানজট সমস্যা। কয়েক হাজার টোটো মেদিনীপুর শহরকে ক্রমশই কুক্ষিগত করে দিয়েছে। ইতিপূর্বেই শহরের রাস্তা সংকুচিত হয়ে গিয়েছিল। তার ওপর অতিরিক্ত টোটো শহরের গতিবিধিকে ধীর করে দিয়েছে। এই সমস্যা মেটানোর জন্য গত চার বছর ধরে উদ্যোগ নিয়েও কোনো রকম সুরাহা বের হয়নি। কারণ এই সমস্যার ভেতরে রাজনীতি ঢুকে গিয়েছে। সেই সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
সুজয় হাজরা মেদিনীপুরে শুক্রবার রাতে জানান-” মেদিনীপুর কলেজকে ডিমড ইউনিভার্সিটি বানানোর প্রক্রিয়া ছিল। তাতে আমি বিধায়ক হওয়ার পর পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করি। শিক্ষামন্ত্রী আমাকে জানিয়ে দিয়েছেন বিধানসভাতে এই নিয়ে পদক্ষেপ হয়ে গিয়েছে। খুব শীঘ্রই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের তকমা পেয়ে যাবে। যার তিনভাগের বেশি কাজ হয়ে গিয়েছে।” সেই সঙ্গে সুজয় হাজরা আরও বলেন-” মেদিনীপুর সদর ব্লকে চারটি অঞ্চল রয়েছে যেগুলি ক্রমশই কংসাবতী নদীর গর্ভে ধসে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ভোটের প্রচারে যাওয়ার সময় গ্রামবাসীরা আমাদেরকে জানিয়ে ছিলেন। আমি সম্প্রতি বিধানসভার সেচ দপ্তরের বিশেষ কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছি। বিষয়টা সেখানে তুলে ধরেছিলাম। আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে সেই কমিটি সরজমিনে খতিয়ে দেখতে আসবে ওই এলাকা। দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে ওই এলাকার রক্ষা করতে।”
মেদিনীপুরের পুরনো যানজট সমস্যা নিয়ে তিনি বলেন-” এটি একটি জটিল ও পুরনো সমস্যা। এই সমস্যা মেদিনীপুর শহরকে একেবারে ধীরগতিতে এনে দিয়েছে। আমার বাড়ির সামনে হলেও আমি বাড়ি থেকে দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছাতে অনেকটা সময় লেগে যায় এই যানজটের কারণে। এই নিয়ে খুব শীঘ্রই আমরা প্রশাসনের কর্তারা ও ব্যবসায়ী ও অন্যান্য সংগঠনকে নিয়ে যুগ্ম বৈঠকে বসছি। সমস্যার সমাধান করতে কোনরকম আবেগ কাজে লাগানো হবে না। মানুষের স্বার্থে কোন কিছু যদি বিসর্জন দিতে হয় তাও দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করা হবে।”