School : লাইব্রেরি থেকে ২৬ বস্তা বই চুরি, আটক বিদ্যালয় অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র !

বেলদা: উচ্চ বিদ্যালয়ের সংলগ্ন একটি সাধারণ পাঠাগার থেকে পূজোর ছুটির সুযোগে সাড়ে তিন হাজার বই চুরির ঘটনা ঘটেছিল। ছুটির পর পাঠাগার খুলতেই দায়িত্বে থাকা কর্মীরা বুঝতে পেরেছিলেন প্রচুর বই চুরি গিয়েছে। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ টানা তদন্ত করার পর যা উদ্ধার করল তা খানিকটা অস্বস্তিকর। জানা গেল পাঠাগার সংলগ্ন উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্র সেই সাড়ে তিন হাজার বই, যা প্রায় ২৬ টি বস্তায় করে বিক্রি করেছে একা। নাবালক ছাত্র আপাতত আটক হয়ে জুভেনাইল রয়েছে। তবে এই ঘটনাতে আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এই পুরো ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা এলাকাতে। পুজোর ছুটিতে বেলদা থানার অন্তর্গত জাহালদা উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে একটি সাধারণত পাঠাগার থেকে এই চুরির ঘটনা ঘটেছিল। পুজোর ছুটির সুযোগে প্রায় সাড়ে তিন হাজার বই চুরি হয়েছে সেখান থেকে। ছুটির পর কত শনিবার সেই লাইব্রেরী খোলার পর দায়িত্বে থাকা কর্মীরা বুঝতে পারে। এরপরই বেলদা থানার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত করার পর এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। যিনি পুরনো বই ও পুরনো জিনিসপত্র কেনাবেচা করেন।
পুলিশ তার গোডাউন থেকে প্রচুর পরিমাণে চুরি যাওয়া বই সামগ্রী উদ্ধার করেছে। লাইব্রেরীর সঙ্গে মিলিয়ে হিসেব মেলার পর ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে জেরা করা হয়। ব্যবসায়ীর কাছে পাওয়া তথ্যের পর সেই ব্যবসায়ীর দোকানের সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে এক নাবালককে চিহ্নিত করে পুলিশ। এরপরই ওই নাবালকের বাড়িতে গিয়ে নাবালককে আটক করে পুলিশ। জানা যায় নাবালক ওই জাহালদা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। পুজোর আগেই বিভিন্ন বস্তায় করে ২৬ বস্তা বই দফায় দফায় বিক্রি করেছে সে ওই ব্যবসায়ীর গোডাউনে। সেখানে বিক্রি করে প্রায় সাড়ে তিন হাজার টাকা হাতিয়েছিল। পুজোর সময় সেই টাকায় দেদার ফুর্তি করেছে।
ঘটনায় তাজ্জব বনে যাওয়ার মত তথ্য বুঝতে পারে স্থানীয়রা। এক নাবালক যে কিনা পড়ুয়া, সে লাইব্রেরীর বই বিক্রি করে ফুর্তি করার জন্য টাকা সংগ্রহ করেছে। দু সপ্তাহ ধরে দফাই দফায় সেই বই বস্তায় ভরে বিক্রি করেছিল। জেরার পরে নাবালককে আটক করার সাথে সাথে সেই বই এর ক্রেতা ব্যবসায়ীকেও পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। আটক হওয়া নাবালক ছাত্রকে ডেবরার একটি জুভেনাইলে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এই প্রসঙ্গে চুরি যাওয়া লাইব্রেরীর ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক বিপ্লব মণ্ডল জানিয়েছেন-” এক নাবালক এই কাণ্ড ঘটাবে কখনো ভাবতে পারিনি। এদের কাছে বই বিক্রয় করার সামগ্রীতে পরিণত হয়েছে। তবে যাই হোক পুলিশের তৎপরতায় চুরি যাওয়া বইগুলি উদ্ধার হয়েছে। পুরো বিষয় পুলিশ দেখছে।”
একই রকমভাবে পুজোর ছুটিতে বন্ধ থাকা চন্দ্রকোনার একটি বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটেছে ৷ সেখানে মঙ্গলবার বিদ্যালয় খুলতে গিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ দেখেন সেখানে আলমারি ভেঙে কোনো মুল্যবান সামগ্রী না নিয়ে বিভিন্ন নথি ঘেটেছে চোর ৷ সেখান থেকে চুরি গিয়েছে বিদ্যালয়ের মূল্যবান ফাইল ৷