Midnapur Municipality : হাইকোর্টের নির্দেশে অবৈধ ক্লাব ভাঙতে গিয়ে পৌরকর্তারা দেখলেন চলছে পড়াশোনা, জেসিবি ডাম্পার পুলিশ নিয়ে ফিরলেন পৌরকর্তারা
মেদিনীপুর: মেদিনীপুর পৌরসভা
এলাকার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে মিয়া বাজার। সেখানে একটি ক্লাব অবৈধভাবে নির্মাণ করা
হয়েছে এমন অভিযোগ জমা করেছিল। জেলা স্তর ঘুরে হাইকোর্ট পর্যন্ত মামলা গড়ায়।
উচ্চ আদালতের নির্দেশ সেই ক্লাব ভেঙে ফেলার। সেইমতো মেদিনীপুর পৌরসভা -পুলিশ জেসিবি, ডাম্পার, আধিকারিকদের নিয়ে পৌঁছে দেখেন ক্লাবের
ভিতরে কচিকাঁচাদের নিয়ে চলছে পাঠশালা। ধাক্কা খেয়ে সমস্ত নিয়ে ফিরে এলেন
পৌরকর্তারা। পৌর প্রধান জানালেন-“বুঝিয়ে সরানোর চেষ্টা হবে পুনরায়।”
মিয়াবাজার এলাকাতে “গ্রিন
বয়েস ক্লাব” নামে একটি ক্লাব তৈরি হয়েছিলো। ক্লাবে স্থানীয় বসতি এলাকার ছোট ছেলেমেয়েদের বিভিন্ন পঠন পাঠন
চলে বলে স্থানীয়রা জানান। কিন্তু সেই ক্লাবটির নির্মাণ অবৈধ বলে দাবি করেছেন
স্থানীয় কয়েকজন। তা ভেঙে ফেলার দাবি করে অভিযোগ জমা পড়েছিল। জেলা স্তর থেকে সেই
অভিযোগ উচ্চআদালত পর্যন্ত হাজির হয়। উচ্চ আদালত মেদিনীপুর পৌরসভাকে নির্দেশ দেয়
সেই ক্লাব ভেঙে ফেলতে।
সেই নির্দেশ মতো শনিবার বেলা
এগারোটার পর ভাঙ্গার জন্য জেসিবি ডাম্পার পুলিশ নিয়ে হাজির হন পৌর আধিকারিকরা।
আধিকারিকরা গিয়ে দেখেন ছোট্ট ক্লাবটির ভেতরে কচিকাঁচাদের নিয়ে তখন চলছে পাঠশালা।
বিবেকের দংশনে খানিকটা আটকে যান তারা। বেশ কিছুক্ষণ পর বুঝিয়ে সেখান থেকে সরানোর
চেষ্টা করেন। তখনই বাদসাধে স্থানীয় লোকজন। তাদের দাবি বস্তি এলাকার ছোট বাচ্চা
ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করে এখানে। এটা ভাঙ্গা চলবে না। জেসিবি মেশিনের সামনে শুয়ে
পড়েন স্থানীয় একদল লোকজন। এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বাদানুবাদ পর্ব শেষে সেখান
থেকে সমস্ত কিছু নিয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হন ওর অধিকারীরা।
পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান
জানান-“আদালতের নির্দেশে ভাঙতে গিয়ে দেখা যায় সেখানে বস্তির ছেলে-মেয়েদের
পড়াশুনা চলছে । স্থানীয়রা বাধা দেন ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে। সেখান থেকে বাধা
পেয়ে ফিরে আসতে হয়েছে। পুনরায় বুঝিয়ে আদালতের নির্দেশ মত কাজ করার চেষ্টা হবে
আবার।”