pollution : মেটালিকস কারখানা দূষণ ছড়াচ্ছে, দূষণে আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে আন্দোলনের উদ্যোগ খড়গপুরে
খড়গপুর: খড়গপুর শহর ও সংলগ্ন এলাকার পরিবেশ রেশমি মেটালিকস কারখানার ছড়ানোর দূষণে প্রচন্ডভাবে দূষিত হচ্ছে বলে অভিযোগ। যার কারণে প্রচুর মানুষ হাঁপানি, চর্মরোগ ও ক্যান্সার দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছেন বলে দাবি। এই সমস্ত আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যেতে চলেছে খড়্গপুর শিল্প দূষণ প্রতিরোধ কমিটি। যার প্রাথমিক প্রস্তুতি হয়ে গেল রবিবার বিকেলে খড়্গপুরের মালঞ্চ এলাকায় সংগঠনের পক্ষ থেকে। বড়সড় আন্দোলনের ঘোষনা করলেন তাঁরা ৷
সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্যামল কুমার ঘোষ জানিয়েছেন-“রেশমি গ্রুপের একাধিক কারখানা থেকে নির্গত সিলিকনের মিশ্রিত গুঁড়াতে পুরো পরিবেশে দূষণ ঘটছে। খড়গপুর শহর সংলগ্ন এলাকায় গত কয়েক বছরে এর জেরে প্রচুর মানুষ হাঁপানি চর্মরোগ ক্যান্সারের মতো রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। প্রতিবছর এই সংখ্যাটা বেড়ে চলেছে। তার কারণ খড়্গপুরে অবস্থিত রেশমি গ্রুপের একাধিক কারখানা থেকে নির্গত সিলিকন মিশ্রিত কালো গুড়ো খড়গপুর শহর ও সংলগ্ন বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে। গাছপালা তো বটেই, বিভিন্ন বাড়িঘর গুলো পর্যন্ত কালো কালো হয়ে যাচ্ছে। স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হয়ে গিয়েছে মানুষজনের। শীতকাল এলেই প্রতিবছর এই দূষণ বাড়ে। তাই এরই বিরুদ্ধে এবার কড়া পদক্ষেপ নিতে আমরা একাধিক কর্মসূচি গৃহীত করেছি প্রস্তুতি বৈঠকের দ্বারা রবিবার।”
বৈঠকে এ সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি প্রস্তুত করা হয়েছে- ১) খড়গপুর মহকুমা শাসকের সঙ্গে দেখা করে দ্রুত ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের আবেদন করা হবে। যেখানে উপস্থিত থাকবেন রেশমি গ্রুপ ও দূষণ প্রতিরোধ কমিটি এবং মহাকুমা শাসক নিজেও। ২) রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে খড়্গপুরে দূষণ কবলিত এলাকায় দূষণ পরিমাপক যন্ত্র বসানোর দাবি ও দূষণ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করা হবে। ৩) রাজ্য দূষণ পর্ষদ দপ্তরে গণচিঠি ও গণ মেইল পাঠানোর জন্য খড়গপুর শহরবাসীর কাছে আবেদন জানানো হবে। ৪) খড়্গপুরের দূষণে আক্রান্ত হাঁপানি ক্যান্সার ও চর্ম রোগে আক্রান্তদের নিয়ে আন্দোলন সংঘটিত করা হবে।
রবিবার বিকেলে খড়্গপুরের এই প্রস্তুতি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অভিষেক আগারওয়াল, ছিলেন অনিল দাস অধ্যাপক তপন কুমার পাল দেবাশীষ দে সহ আরো অন্যান্যরা। এই শিল্পদূষণ প্রতিরোধ কমিটির সদস্যরা জানান-এমনিতে স্বাভাবিক দূষণ এর মাত্রা বাতাসে ১০০ থেকে ১২০। কিন্তু এই মুহূর্তে প্রতিদিন দিনের বেলায় খড়গপুর ও মেদিনীপুর সংলগ্ন এলাকায় এই রেশমি মেটালিকস কারখানার কারণে দূষণের পরিমাণ ২০০ হয়ে যায়। শীতের মাঝামাঝি সময় সেটা ৪০০ পৌঁছে যায় কখনো কখনো। ফলে অবিলম্বে এই দূষণ ছড়ানো বন্ধ না হলে আন্দোলন অনেক জোরদার করা হবে।