Medinipur Live: মিশ্র প্রভাব ধর্মঘটে, অফিস আদালত খোলা থাকলেও ব্যাহত স্বাভাবিক কাজকর্মে, মেদিনীপুর হাসপাতালে মিছিল নার্সদের

 

মেদিনীপুর: মহার্ঘ ভাতা
প্রদানের দাবিতে রাজ্যজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। সেই
ধর্মঘটের মিশ্র প্রভাব পড়ল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও। তবে শাসক দলের পক্ষ থেকে
অফিস আদালত খোলা রাখার চেষ্টা হলেও ব্যাহত হয়েছে স্বাভাবিক কাজকর্মে। অনুপস্থিত
সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। শুক্রবার সকাল থেকেই মেদিনীপুর শহরে ধর্মঘটকে কেন্দ্র
করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ধর্মঘটের সমর্থনে একাধিক মিছিল বের হয়। তবে মেদিনীপুর
কলেজ ও বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় ছাত্র সংগঠন ডিএসও এবং
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মধ্যে সংঘর্ষে। সকালে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসের গেট
বন্ধ ছিল। পরে তৃণমূল নেতা সৌমেন খান সহ একদল যুবক সেই গেট খুলে দেয়। সৌমেন খান
জানিয়েছেন
, “সাধারণ মানুষ যাতে কাজে এসে অসুবিধায় না
পড়েন তার জন্য অফিস খোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে।” স্কুল-কলেজ
, আদালত, অফিস সবকিছুই শাসকদলের পক্ষ থেকে খুলে রাখা
হলেও কর্মচারীর উপস্থিতি কম। ব্যাহত হয়েছে স্বাভাবিক পরিষেবা। মেদিনীপুর আদালত
চত্বরেও ধর্মঘটে সামিল হন একাংশ। রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের নেতৃত্ব সুব্রত
সরকার বলেন
, “ধর্মঘট ব্যর্থ হয়েছে। সমস্ত অফিস আদালত
খোলা ছিল। পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল।” 
যদিও সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের দাবি
, ধর্মঘট সফল হয়েছে।
এই ধর্মঘটের প্রভাব ভবিষ্যতে বৃহত্তর আন্দোলনের রূপরেখা তৈরিতে দিশা দেখাবে।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষে উত্তম প্রধান বলেন
, “ধর্মঘটে
ভালো সাফল্য মিলেছে। অফিসে কর্মচারী ও স্কুলে শিক্ষকের উপস্থিতি অনেক কম। প্রাথমিক
বিদ্যালয়গুলি প্রায় বন্ধ বললেই চলে।”

 

অন্যদিকে ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়ে
মেদিনীপুর হাসপাতালে সভা করলো হাসপাতালের নার্স ও অন্যান্য কর্মচারীরা। সমস্ত
বকেয়া মহার্ঘ ভাতা প্রদান
, হাসপাতালে বিপুল সংখ্যক ডাক্তার, নার্স নিয়োগ, পরিকাঠামোর উন্নতি সহ একাধিক দাবিতে
হাসপাতাল চত্বরে মিছিল করে। সংগঠনের পক্ষে কাকলি রাউৎ বলেন
, “মহার্ঘ ভাতা আমাদের অধিকার। খেলা মেলা করার সময় রাজ্য সরকারের টাকার অভাব
হয় না
, আমাদের মহার্ঘ ভাতা দিতেই যত অভাব হয়ে পড়ে।”
তিনি বলেন
, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায়
আসার আগে বলেছিলেন মহার্ঘ ভাতা হচ্ছে ন্যায্য অধিকার। যে সরকার মহার্ঘ ভাতা দিতে
পারবে না তার গদিতে থাকার অধিকার নেই। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর কেন্দ্রের সঙ্গে
রাজ্যের ফারাক অনেক বেড়ে গিয়েছে।” এদিন হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবা
স্বাভাবিক রেখেই তারা আন্দোলনে সামিল হন।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page