মেদিনীপুর:
মেদিনীপুর শহরে অটো ও টোটো চালকদের যাত্রীর দখল নিয়ে ফের উত্তেজনা মেদিনীপুর
শহরে। মেদিনীপুরের কুইকোটা এলাকাতে রাস্তা থেকে টোটো চালক যাত্রী তুলতেই অটোচালক
গিয়ে বাধা দেয়। তা থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়। নিজেদের দোকানের সামনে সেই সংঘর্ষে
বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল দোকানদাররা। তবে অভিযোগ- দোকানদাররাও চড়াও হয় অটো
চালকের ওপরে। তারপরেই অটোচালকেরা চড়াও হয় ওই দোকানদারদের ওপরে। বেধড়ক মারধর করা
হয় দোকানদারদের, তছনছ করে দেওয়া
হয় দোকান। রক্তাক্ত দোকানদাররা রাস্তা অবরোধ করে দেয়। সামাল দিতে বিশাল বাহিনী
মোতায়েন করতে হয় কোতোয়ালি থানার পুলিশকে।
মেদিনীপুর
শহরে যাত্রীর দখল নিয়ে অটো ও টোটো চালকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা এর আগেও বহুবার
ঘটেছে। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটলো মেদিনীপুর শহরের কুইকোটা এলাকাতে। স্থানীয়
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন-এক টোটো চালক রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীকে টোটো
তে তোলার পরেই দূর থেকে এসে এক অটোচালক তা বাধা দেয়। টোটো থেকে প্যাসেঞ্জার
নামিয়ে দিয়ে তর্কবচশা ও হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় টোটো চালকের সাথে। সেই সময়
পাশে থাকা কয়েকজন দোকানদার টোটো চালকের হয়ে অটো চালকের বিরুদ্ধে কথা বলে বলে
দাবি অটোচালকদের। একই সাথে অটোর কাঁচ ভাঙচুর করে অটোচালককে মারধর করা হয় বলে
অভিযোগ। সেই মুহূর্তে দূরে কর্তব্যরত পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামালও দিয়েছিল। পুলিশ
চলে যেতেই একদল অটোচালক পুনরায় সেখানে হাজির হয়। অতর্কিত ফের সংঘর্ষ শুরু হয়
সেখানে। বেধড়ক ভাঙচুর চালানো হয়
দোকানগুলিতে। মারধর চলে দোকানদারদের ওপরে বলে অভিযোগ। ঘটনার সংঘর্ষের মুহূর্তের
ভিডিও এখন ভাইরাল। ঘটনায় রক্তাক্ত হয়ে যান দোকানদাররা কয়েকজন। এরপরেই তারা
মেদিনীপুর শহরে প্রবেশের ওই রাস্তা অবরোধ করে দেয়। সামাল দিতে ছুটে আসতে হয়
কোতোয়ালি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনীকে। তীব্র উত্তেজনা পূর্ণ পরিস্থিতি কাটে
মঙ্গলবারের দুপুরটা কুইকোটা এলাকায়।
আক্রান্ত ও
রক্তাক্ত পান দোকান ব্যবসায়ী অপু চক্রবর্তী বলেন-” ওরা যাত্রী তোলা নিয়ে
দুই পক্ষ সংঘর্ষ শুরু করেছিল। বিষয়টা দোকানের সামনে অস্বস্তিকর মনে হচ্ছিল। তাই
আমরা দুই পক্ষকেই ছাড়ানোর চেষ্টা করেছিলাম মাত্র। কিন্তু তাতেই প্রথমে গালাগাল
পরে অতর্কিত আক্রমণ হয় আমাদের ওপরে। এটা তীব্র বিরোধিতা ও নিন্দা করছি
আমরা।”
এ বিষয়ে
স্থানীয় দু‘নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিতালী
ব্যানার্জি বলেন-” এর আগেও অটোচালকেরা এমন কাণ্ড করেছে। টোটো চালকেরা যাত্রী
তুললেই তার সেখান থেকে জোর করে নামিয়ে দেয়। এর জেরে আগেও অশান্তি হয়েছে। তবে
আজকে যা ঘটেছে তা নিন্দনীয়। আমরা পুলিশকে বলেছি দোষী আক্রমণকারীদের অবিলম্বে
শাস্তি ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে এই ধরনের ঘটনা চলতেই থাকবে।”
এই প্রসঙ্গে
অটো ইউনিয়নের সম্পাদক সিরাজ আলি বলেন-” রাস্তা থেকে যেখানে অটো রুট সেখান
থেকে এভাবে টোটো প্যাসেঞ্জার তুলতে পারবে না সেটা আগেই বলা আছে। এটার প্রতিবাদ
করেছিলেন অটোচালক। তাতেই পাশে থাকা দোকানদাররা একজন হয়ে এসে অটোচালককে মারধর করে ,অটোর কাঁচ ভেঙে দেয়। অটো চালক টোটো চালকের মধ্যে সমস্যা
ছিল। কিন্তু দোকানদাররা এসে সংঘর্ষটা বাধিয়েছে আক্রমণ করে। এমনকি অটোচালক কে অটো
ভাঙ্গার পর অটো থেকে নামিয়ে মারধর করেছে স্থানীয় দোকানদাররা। আমরা পুলিশকে
অভিযোগ জানাতে এই অটোতে হামলার ঘটনায় স্থানীয় এক দোকানদারকে আটকও করেছে। পরে
দোকানদারকে বোঝাতে গিয়েছিল কয়েকজন টোটো চালক যে আপনারা কেন মাঝখানে এসেছিলেন? উল্টে তারা ফের আক্রমণ করে অটোচালকদের ওপরে। আমাদের
অটোচালকদের ওপর ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। “
Medinipur, Midnapur town, Paschim Medinipur, Medinipur town, Auto-toto, Auto, TOTO, clash at Midnapur, Kotowali, Kotowali police, Medinipur live, Medinipurlive,