Ghatal : পরকীয়ার প্রতিবাদ করতেই মারুতিতে আগুন, চাঞ্চল্য
দাসপুর: গত দশবছর আগে বিয়ের সময় নিজের বাবাকে যুবক বলেছিল মারুতি কিনে দিতে হবে ৷ চাষী বাবা তাই কিনে দিয়েছিলেন ৷ কিন্তু পরে বাড়িতে বৌ-ছেলে মেয়ে রেখে সেই মারুতিতে অন্য মহিলাকে চাপিয়ে প্রেমে মশগুল ছেলে, শুরু হয় মদের নেশাও ৷ জানাজানি হতেই বাড়িতে অশান্তি তৈরী হয় ৷ সেই অশান্তি থেকে ওই যুবক মদ্যপ অবস্থায় হটাত্ পাড়ার সামনে মারুতিতে আগুন লাগিয়ে দেয় ৷ দাউ দাউ করে মারুতিতে আগুন জ্বলতে দেখে এলাকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন গ্রামবাসীরা ৷পরে সেখান পুলিশ ও দমকল এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছে ৷ ততক্ষনে পুড়ে ছাই সবটাই ৷ ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের পাইকান এলাকায়৷ ঘটনার পরে অবশ্য ফেরার যুবক ৷
জানাযায়, পাইকান গ্রামের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ দাসের বিয়ে হয় আজ থেকে প্রায় ১০ বছর আগে।প্রসেনজিতের বিয়ের সে বাবা-র কাছে মারুতী কিনে দেওয়ার আবদার করেছিল ৷ তখনও রোজগার শুরু করেনি সে ৷ তবুও ছেলের দাবি মতো-প্রসেনজিতের বাবা-মা প্রসেনজিতকে একটি মারুতি কিনে দেয়। ঠিকঠাকই চলছিল সংসার।পরে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে প্রসেনজিৎ অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে প্রেম করছে।সেই মারুতিতে চাপিয়ে ঘুরছে সে ৷ তারপর থেকে জানাজানি হতেই পরিবারে অশান্তি লেগেই থাকে। তার উপর প্রতিনিয়ত মদ্যপান করে বাড়ি ফিরে পরিবারের সদস্যদের সাথে অশান্তি ও নির্যাতন করতো প্রসেনজিৎ।
কাঁদতে কাঁদতে প্রসেনজিতের বাবা গৌতম দাস,প্রসেনজিতের স্ত্রী ভারতী দাস’রা জানান,-“নিয়মিত মদ্যপান করে বাড়ি ফেরে এবং পরিবারের সদস্যদের ধরে মারধর পর্যন্তও করে প্রসেনজিত। নিত্যদিন এই ঘটনা ঘটলেও ঘটনার দিনে কোনো অশান্তির ঘটনা ঘটেনি৷ তবে প্রতিদিনকার মতো আজও মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফেরে।আজ সেই প্রসেনজিত বাড়ির কিছুটা দূরে গিয়ে মারুতি ভ্যানে আগুন লাগিয়ে দেয়”৷
ঘটনার খবরে পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দাসপুর থানার পুলিশ ও দমকল বিভাগ।দাউদাউ করে জ্বলতে থাকা মারুতি গাড়ির আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগায় দমকলকর্মীরা।ঘটনায় তীব্র চঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।পারিবারিক অশান্তি আর তা থেকে বাবা মায়ের দেওয়া রুজিরোজগারের মারুতি গাড়ি তাতে ছেলের আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়ে বাবা মা থেকে পরিবারের সদস্যরা।