Maoist: মানুষের সমস্যা শুনতে জেলাশাসকের “জনতার দরবার”, চাকরির দাবিতে হাজির হলেন প্রাক্তন মাওবাদীরা
মেদিনীপুর: পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা
মত মঙ্গলবার বেলা এগারোটা থেকে মেদিনীপুর শহরে জেলাশাসকের দপ্তরে “জনতার
দরবার” শুরু করেছিলেন জেলা শাসক। মানুষের অভাব অভিযোগ শোনার জন্য সরাসরি সব
দপ্তরের শীর্ষ কর্তাদের নিয়ে বসেছিলেন দপ্তরে। সেখানেই শতাধিক প্রাক্তন মাওবাদী
সদস্য হাজির হলেন চাকরির দাবিতে। জানালেন-“মাওবাদী কার্যকলাপে জড়িত হয়ে
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় জড়িয়েছি, তবু ঘোষণা মত পুনর্বাসন
প্যাকেজের চাকরি পাচ্ছি না। দয়া করে ব্যবস্থা করে দিন।”
জঙ্গলমহলে ২০০৯ থেকে ২০১০ পর্যন্ত
গন্ডগোল পর্বে মাওবাদী কার্যকলাপ হয়েছিল। ৪০০র বেশি মানুষ খুন হয়েছেন পশ্চিম
মেদিনীপুরে। অনেকেই এই মাওবাদী কার্যকলাপে নেমে কিষানজী শশধরের মতো এনকাউন্টারে
মারা পড়েছেন। অনেকেই রাজ্য সরকারের ঘোষণা করা পুনর্বাসন প্যাকেজে আত্মসমর্পণ
করেছেন। এরপরেও কয়েক বছর আগে রাজ্য সরকার জানিয়েছিলেন-“মাওবাদী কার্যকলাপের
অভিযোগে যারা জেল খেটেছেন, তাদেরও পুনর্বাসন প্যাকেজে নিয়ে এসে
চাকরির ব্যবস্থা করা হবে।”
এমন অনেকেই চাকরি পেয়েওছেন, কিন্তু জেল খেটেছেন এমন প্রমাণস্বরূপ কাগজপত্র দেরিতে পাওয়া ও বিভিন্ন
জটিলতায় অনেকেই সেই চাকরি আবার পাননি। মঙ্গলবার জেলাশাসকের জনতার দরবারে এমনই
শতাধিক শালবনির জঙ্গলমহল এলাকার বাসিন্দা হাজির হয়েছিলেন। লিখিতভাবে জেলাশাসকের
কাছে তারা জানালেন-“অনেকেই পুনর্বাসন প্যাকেজে চাকরি পেয়েছেন, কিন্তু আমাদের ভেরিফিকেশন হলেও চাকরি আজও পাইনি। দয়া করে ব্যবস্থা
করুন।”
এবিষয়ে জেলাশাসক খুরশেদ আলী কাদেরী
বলেন -“ওনারা আমাদের কাছে এসেছিলেন। ওনাদের আবেদন আমি পুলিশ সুপারের কাছে
পাঠিয়েছি। আরো বিভাগীয় যা যা পদক্ষেপ নেওয়া যায় সেগুলো নেওয়া হচ্ছে।”
এছাড়াও একদিন জেলার বিভিন্ন
প্রান্ত থেকে কয়েকশো মানুষ হাজির হয়েছিলেন “জনতার দরবারে” নিজেদের
পুরনো সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে। দুয়ারে সরকার শিবিরে সমাধান না পেয়ে আবেদন
করেছেন সরাসরি জেলা শাসকের কাছে।