Manas vunia : “আমরা ফ্রান্সের বিপ্লব,লেনিনের সংগ্রাম পড়লে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বাংলার ইতিহাস লেখা হোক বইয়ে”- মানস ভুঁইয়া৷
ঘাটাল: বর্ণাঢ্য পদযাত্রার মাধ্যমে দেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে ঘাটাল বিদ্যাসাগর স্কুল মাঠে ২৩তম পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বইমেলার উদ্বোধন করেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া, জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রতিভা মাইতি, অতিরিক্ত জেলাশাসক, ঘাটালে মহকুমা শাসক সহ জেলা বইমেলা কমিটির সদস্য তথা জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। বই বিকিনি ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঘাটাল বিদ্যাসাগর স্কুল মাঠে চলবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বইমেলা।
জেলা বইমেলা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে ঘাটালে নতুন দাবি করলেন মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া ৷ এদিন এই মঞ্চে উপস্থিত প্রশাসনিক আধিকারিক থেকে সাহিত্যিকদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন বাংলার পাঠ্যবইয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ইতিহাস লেখার জন্য ৷ বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রাম খুবই কম স্থান পেয়েছে ইতিহাসে বলে আক্ষেপ করেন ৷ পরে ইতিহাসের পাতায় মমতা বন্দোপাধ্যায় ও তাঁর অবদান লেখার জন্য দাবি করেন সকলের উদ্দেশ্য৷
এদিন মঞ্চের বক্তব্যে তিনি বলেন- “বর্তমানের প্রেক্ষাপটে প্রধান নায়িকা, অতীতের নয়। আন্তর্জাতিক দুনিয়া তাকে স্যালুট করছে। ভারতের কিছু মানুষ তাকে আঙুল তুলে ব্যাঙ্গ করছে। এই ইতিহাস টাও তো লেখা উচিত। ভারতবর্ষের ২৮টা রাজ্য ও সাতটা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে একটি মুখ্যমন্ত্রী অন্নপূর্ণা মায়ের মত ১০ কোটি ২০ লক্ষ মানুষকে বিনা পয়সায় খাদ্য তুলে দিচ্ছেন। এটা কি ইতিহাসে লেখা থাকবে না? আমাদের বাচ্চা বাচ্চা ছেলে মেয়েগুলোকে স্কুল থেকে কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে কন্যাশ্রীর স্কলারশিপ দিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মান অর্জন করে এই মহীয়সী মহিলা মমতা ব্যানার্জি আজকের নারী সমাজকে বিদ্যাসাগরের পর শিক্ষার ক্ষেত্রে এগিয়ে দিয়েছেন। অর্থনৈতিক মদত দিয়েছে এগুলোর ক্ষেত্রে। কোন মুখ্যমন্ত্রী এমন আছেন? কেন এসব ইতিহাসে লেখা হবে না? আমরা ফ্রান্সের বিপ্লব পড়ব, আমরা জারেদের বিরুদ্ধে লেনিনের সংগ্রাম পড়বো, আর বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রাম পড়বো না! মমতা ব্যানার্জির দৃপ্ত কন্ঠে বাংলার বাঙালিকে রক্ষা করার ইতিহাস বাংলার পাতায় লেখা হবে না ? আমি জানি আমি খুব বিতর্কিত লোক। আমি ডাক্তার হলেও শরৎ বাবুর বই পড়তে পড়তে আমার চোখে জল আসে।
মঞ্চের বক্তব্য শেষ করে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মানস ভূঁইয়া বলেন- ” আমি বাংলার ইতিহাস লিখতে বলেছি। মমতা ব্যানার্জির সংগ্রামের ইতিহাস লিখতে বলেছে। বাংলাকে তিনি যেভাবে রক্ষা করছেন, বাংলার মানুষকে বুক দিয়ে যেভাবে আগলে রেখেছেন , সেই ইতিহাস লিখতে হবে। সেই ইতিহাস পড়াতে হবে মানুষকে, ও ছাত্র-ছাত্রীদের।”
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে মানস ভূঁইয়া বলেন -” বাংলাদেশ ইস্যুটা ভারত সরকার দেখছেন। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বলে দিয়েছেন। পররাষ্ট্র নীতি ও ভারত সরকারের পদক্ষেপ হলো বাংলার সরকারের পদক্ষেপ। আমরা এর বাইরে যায় না। তবে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী গভীরভাবে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশের ঘটনা প্রবাহ নিয়ে।”