Medinipur Live: SSKM থেকে সুস্থ্য হয়ে ফিরলেন শালবনীর বাড়িতে মাম্পি সিং
মেদিনীপুর: গত ৮ জানুয়ারী মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সা বিভ্রাটের কারনে অসুস্থ্য হয়ে পড়েছিলেন ৫ প্রসুতি ৷ তাদের একজন মারাও গিয়েছেন ৷ একজন সুস্থ্য হয়ে বাড়িতে ফিরত পেরেছেন ৷ বাকি তিনজনকে ক্রিটিক্যাল অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছিল কলকাতার এসএসকেএম এ ৷ সেখানে ১০ জানুয়ারি একজন সুস্থ্য হয়ে বাড়িতেও ফিরেছেন ৷ এবার বাকি দুজনের একজন মাম্পি সিং সুস্থ্য হয়ে বুধবার বিকেলে ছাড়া পেলেন কলকাতার এসএসকেএম থেকে ৷ মেদিনীপুর থেকে স্বাস্থ্য দফতরের পাঠানো বিশেষ অম্বুলেন্সে করে নিয়ে আসা হল তার শালবনীর বাড়িতে ৷ তবে অপর একজন এখনও চিকিত্সাধীন ৷
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৮ জানুয়ারি রাতে ৫ প্রসুতির অপারেশনের পরে অসুস্থ্য হয়ে পড়েছিলেন ৷ অভিযোগ ছিল ভুল চিকিত্সা ও মেয়াদ উত্তীর্ন ওষুধ এর কারনে এই সমস্যা তৈরী হয়েছে ৷ তাদের সদ্যজাত সন্তানেরা সহ অসুস্থ্য হয়ে গিয়েছিলেন ৷ ১০ জানুয়ারি তাদের মধ্যে থাকা একজন মামনি রুইদাস মারা গিয়েছিলেন সেই জটিলতার কারনে ৷ এতে বিশাল উত্তেজনা পুর্ন পরিস্থিতি তৈরী হয় ৷ কয়েকদিন রাজ্য জুড়ে উত্তেজনা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছিল সেই কারনে ৷ বাকি চারজনের মধ্যে তিন প্রসুতির অবস্থা বেগতিক মনে হওয়াতে তাদের গ্রীন করিডর করে মেদিনীপুর থেকে কলকাতারা এসএসকেএম এ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল উন্নত চিকিত্সার জন্য৷ অন্যদিকে এই প্রসুতিদের একজনের সদ্যজাত সন্তানও মারা যায় ৷
বাকিদের চিকিত্সা চলছিল ৷ কলকাতার এসএসকেএম এ পাঠানো হয়েছিল প্রসুতি মিনারা বিবি,নাসরিন খাতুন,মাম্পি সিং কে ৷ গত ২৮ জানুয়ারি মিনারা বিবি সুস্থ্য হয়ে সেখান থেকে ছাড়া পান ৷ বাকিদের চিকিত্সা চলছিল ৷ অবশেষে বুধবার বিকেল ৪ টা নাগাদ সুস্থ্য হয়ে কলকাতার এসএসকে এম হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন মাম্পি সিং ও ৷ জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিকর ডা সৌম্য শঙ্কর সারেঙ্গী জানিয়েছেন- জেলা থেকে একটি বিশেষ এম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছিল ৷ তাতে করে মাম্পিকে তাঁর শালবনীর বাড়িতে পাঠানো হয়েছে কলকাতা থেকে ৷
জেলা শাসক খুরশেদ আলি কাদেরি জানিয়েছেন- যারা সুস্থ্য হয়ে বাড়িতে ফিরছেন, তাদের সকলরেই দিকে স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ দল নজর রাখছে ৷ মাম্পি সিং এর স্বাস্থ্যের দিকেও নজর রাখা হবে ৷
তবে এই চিকিত্সায় গাফলতির ঘটনাতে সিনিয়ার জুনিয়ার মিলে মোট ১৩ জন চিকিত্সকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যাবস্থা নিয়েছিল স্বাস্থ্য দফতর ৷ সিআইডি ও স্বাস্থ্যদফতরের পক্ষ থেকে তদন্ত করে সকলকো শোকজ করা হয়েছিল ৷ মামলা করা হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে ৷ শুরু হয়েছিল নানা আন্দোলনও ৷ পরে মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে জুনিয়ার ডাক্তারদের শোকজ প্রত্যাহার করে নেন সম্প্রতি কলকাতার সভা থেকে ৷ তবে বাকি সিনিয়ার চিকিত্সকদের শোকজ ও মামলা অব্যহত ৷