Mohonpur bridge : মোহনপুর ব্রীজে এবার ভার মাপার মেসিন, বসছে ব্রীজের দুই প্রান্তেই
মেদিনীপুর: পশ্চিম মেদিনীরপুর জেলার দুই প্রান্তের দুই গুরুত্বপুর্ণ সেতু দাসপুরের খুকুড়দা ও মেদিনীপুরের মোহনপুর ব্রীজের ওপর দিয়ে ভারি গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা হয়েছে অনেক আগেই ৷ মোহনপুর সেতুর প্রাথমিক মেরামতিও হয়েছে ৷ তারপরেও ভারী গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ৷ সেতুগুলির স্বাস্থ্য খারাপ থাকার কারনে প্রশাসনের এই সাবধানতা৷ নিজেদের মাল বোঝাই ভারি গাড়ি অন্য জেলাতে নিয়ে যেতে সমস্যা তৈরী হয়েছে লরি মালিকদের৷ বাধা পেয়ে দফায় দফায় প্রতিবাদ করেছে লরি মালিকেরা ৷ ক্ষতি হচ্ছে জেলাতে মাল আমদানি রপ্তানি বানিজ্যে ৷ এবার সেই কথা মাথায় রেখে মোহনপুর ব্রীজে ভারি গাড়ি চলাচলে সরলী করনে নতুন পদক্ষেপ নিতে চলেছে প্রশাসন ৷ ব্রীজে দুই প্রান্তে বসানো হচ্ছে ওয়ে ব্রীজ তথা বিভিন্ন ভারি গাড়ির ওজন মাপা মেসিন ৷ সেখান থেকে সার্টিফিকেট নিয়ে ওজন দেখিয়ে পার হতে হবে ভারি গাড়িগুলিকে ৷ সেই লক্ষ্যে ওজন মাপার কয়েকটি কোম্পানির সাথে কথাও বলেছে প্রাশাসন ৷ ব্রীজের দুই প্রান্তেই বসছে দুটি মেসিন ৷
গত দুবছরের বেশি সময় ধরে মেদিনীপুর খড়্গপুর সংযোগকারী মোহনপুর ব্রীজে ভারি গাড়িতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দিয়েছে প্রশাসন ৷ তারপরেই ভারি গাড়িগুলি যা ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ওই ব্রীজের ওপর দিয়ে যেতো সেগুলি যাচ্ছিল দাসপুরের খুকুড়দা হয়ে ৷ অর্থাত পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহনপুর ব্রীজের বিকল্প হিসেবে মেচগ্রাম হয়ে ঘাটালের পথে অন্য জেলাতে যেতো৷ কিন্তু মেচগ্রাম থেকে ঘাটাল সংযোগ কারী সেই এলাকার খুকুড়দা সেতুরও অবস্থা বেহাল হয়েছে সম্প্রতি ৷ তারপর এই সেতুতেও একমাস ধরে বিধি নিষেধ করা হয়েছে ভারী গড়া চলাচলের ক্ষেত্রে ৷ অন্যদিকে মেদিনীপুর শহরের পাশে থাকা ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপরে কংসাবতী নদীর ওপরের মোহনপুর ব্রীজেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল ৷ দুদিক থেকে বাধা পেয়ে দফায় দফায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছে লরি মালিকদের এসোসিয়েশন ৷ এবার তাদের কথা মাথায় রেখেই ব্রীজগুলির ক্ষেত্রে বেশ কিছু নতুন পদক্ষেপের কথা জানালেন জেলা শাসক খুরশেদ আলি কাদেরি ৷ নিজেদের প্রস্তুতি সেরে দুই ভিন্ন পদক্ষেপ নিতে চলেছে প্রশাসন ৷
জেলাশাসক জানান- “দাসপুরের খুকুড়দা সেতুর পরিস্থিতি খারাপ হয়ে পড়াতে মেরামতির জন্য সরাসরি সচীবের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে ৷ মেরামতির জন্য প্রায় একবছর সময় লাগবে প্রায় ৷ টেন্ডার প্রক্রিয়া হয়েছে ৷ ততক্ষন পর্যন্ত বিকল্প রাস্তা তৈরী হচ্ছে ৷ বর্ষা আসার আগেই সেই রাস্তা চালু করে সেই রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন ভারী গাড়িগুলি ঘুরিয়ে যাতায়াত করতে পারবে ৷ অন্যদিকে মোহনপুর ব্রীজের ওপর দিয়ে বিভিন্ন ভারি গাড়িগুলি তাদের কম ওজন হলেও নাকি যেতে দেওয়া হচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেছিল ৷ সেই গাড়ি গুলির জন্যও ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে ৷ ব্রীজের দুই প্রান্তে ওয়ে ব্রিজ তথা ওজন মাপার মেসিন বসানো হচ্ছে ৷ সেখানে ওজন মাপ করিয়ে সার্টিফিকেট দেখিয়ে ব্রীজ পার হতে পারবে লরি বা ভারি গা়ড়িগুলি ৷ আরও সরলীকরন হচ্ছে শ্রীঘ্রই ৷ ওয়ে ব্রীজ বসানোর জন্য বিভিন্ন কোম্পানীর সাথে কথা বলাও শুরু হয়েছে ৷

উল্লেখ করা যায় , ভারী পন্যবাহী গাড়িগুলি এই যাতায়াত সমস্যাতে পড়ে যাওয়াতে বেশ কিছু পন্যের দামও বাড়ছে বলে মন করছেন ব্যবসায়ীরা ৷ বিভিন্ন বানিজ্যে সমস্যা হচ্ছে বলেই দাবি ব্যাবসায়ীদের ৷ বালি বহনকারি গাড়ি গুলি নিয়মিত সিও কেটেও যাতায়াতে সমস্যাতে পড়ছে ৷ সব মিলিয়ে পরিস্থিতি সমাধানে অতি তত্পর হতে হচ্ছে প্রশাসনকে ৷