Life Certificate : রেলওয়ে পেনশনারদের লাইফ সার্টিফিকেট এবার বাড়িতে বসেই, নতুন পরিষেবা চালু খড়্গপুর ডিভিশনে

খড়গপুর: রেলওয়ের অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের তথা পেনশন প্রাপকদের প্রতি বছর নভেম্বর মাসে তাদের ব্যাংকে গিয়ে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে হতো। তারা বেঁচে রয়েছেন সেটা প্রমাণ দিতে বিভিন্ন ডকুমেন্টস সহ সশরীরে নিজেকে হাজির হতে হত। অসুস্থ হলেও তাকে সেখানে গিয়ে উপস্থিতি দেখাতে হতো। চলতি বছরে আরও এক জটিলতা দেখা দিয়েছিল, তার সেই সার্টিফিকেটের সঙ্গে কাগজপত্রে স্বাক্ষর করাতে হচ্ছিল যে কোনো গেজেটেড অফিসারের। একাধিক জটিলতা তৈরী হচ্ছিল। মঙ্গলবার থেকে সেই জটিলতা একেবারেই সরল করে দিল রেলের খড়গপুর ডিভিশন (Kharagpur Division)। এবার ব্যাংকে না গিয়েও, চাইলে বাড়িতে বসেও পেনশন প্রাপক তার লাইফ সার্টিফিকেট জমা করতে পারবেন ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে। তবে এজন্য পোস্টম্যান কিংবা গ্রামীণ ডাক সেবক এর সহযোগিতা নিতে হবে।

রেলওয়ের অফিসে বসে ডিজিটাল পদ্ধতিতে চলছে কাজ

খড়গপুর ডিভিশন রেলওয়ে (Kharagpur Railway) আধিকারিকরা মঙ্গলবার সকাল থেকে বিশেষ একটি ক্যাম্পেন শুরু করেছিলেন খড়্গপুর ও শালিমার ষ্টেশন এলাকায়। যেখানে রেলওয়ের বিভিন্ন আধিকারিকরা পোস্টাল সার্ভিসের কর্মীদের নিয়ে অনলাইনে বহু পেনশন প্রাপকের ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট সাবমিট করিয়েছেন। রেলওয়ে আধিকারিকরা জানিয়েছেন-” বায়োমেট্রিক পদ্ধতি অবলম্বন করে এই ডিজিটাল সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার কর্মসূচি শুরু করা হলো পেনশনারদের জন্য। এই পদ্ধতি সফল করতে ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাংক এর সাথে চুক্তি হয়েছে। তাদের হাত ধরে এই ডিজিটালাইজ পদ্ধতিতে লাইফ সার্টিফিকেট জমা হবে। শুধু মাত্র ব্যাক্তির স্ক্যানিং করিয়েই কাজ হয়ে যাবে৷”



এতদিন পুরনো পদ্ধতি অনুসারে, অবসরপ্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিরা তাদের সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে গিয়ে প্রতি নভেম্বর মাসে তাদের জীবিত থাকার প্রমাণ দিতেন। সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে ব্যাংকে হাজির হয়ে ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে হতো। চলতি বছরে নতুন নিয়ম হয়েছিল, সেই ফর্মে একজন গেজেটেড অফিসারের স্বাক্ষর করতে হচ্ছিল। কিন্তু এবারে এই নভেম্বরের শেষ পর্বে নতুন ডিজিটালাইজ পদ্ধতি চালু করল রেলওয়ে। পদ্ধতি চালু করে পেনশনারদের জ্ঞাত করাতে প্রচারও শুরু হয়েছে বিভিন্ন ষ্টেশনে৷


এই কর্মসূচি সফল করতে খড়গপুর ও শালিমার স্টেশনে (Kharagpur, Shalimar station) মঙ্গলবার সকাল থেকে বিশেষ ক্যাম্পেন ড্রাইভ হয়েছে। রেলের অ্যাকাউন্টস, বাণিজ্যিক বিভাগ সকলের যৌথভাবে প্রচার চালিয়েছে এই নতুন পদ্ধতি মানুষকে জানানোর জন্য। রেলওয়ের (Railway) দাবি-এই পদ্ধতি সম্পন্ন কাগজপত্র বিহীন পদ্ধতি। শুধুমাত্র ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও মুখমণ্ডল স্ক্যান হলেই লাইফ সার্টিফিকেট জমা হয়ে যাবে। এই কাজটা করতে পারবে নিকটবর্তী যেকোনো পোস্ট অফিস। সেই কাজটা সম্পন্ন হওয়ার পর ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট (Digital Life Certificate) প্রয়োজনে নিজেরাই ডাউনলোড করতে পারবে জীবন প্রমাণ পোর্টাল থেকে (Jeevan portal)। একই সঙ্গে পোস্ট ইনফো অ্যাপ (Post Info app) থেকেও লাইফ সার্টিফিকেট পরে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন উপভোক্তা। তাই পেনশনারা লাইফ সার্টিফিকেট এর প্রয়োজনে পোস্টম্যান (post man) অথবা নিজের এলাকার গ্রামীণ ডাক সেবক এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। সব থেকে দ্রুত এবং সহজেই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে রেলওয়ে জানিয়েছে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও মুখমন্ডলের স্ক্যান (Face scan) হলেই অটোমেটিক জীবিত থাকার প্রমাণপত্র সার্ভারে জমা পড়ে যাবে। এবং ডাইরেক্টলি সার্ভার এর মাধ্যমে পৌঁছে যাবে পেনশন ডিপার্টমেন্ট(Pension depertment), পৌঁছে যাবে পেনশন অফিসারের কাছেও। তবে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পেনশনারকে সেই মুহূর্তে দিতে হবে ৭০ টাকা। প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর সেটা সঠিক হল কিনা দেখার জন্য নির্ধারিত পোর্টাল গুলি থেকে ডাউনলোড নিজেই করে নিতে পারবেন ডিজিটাল প্রমাণ পত্র।



রেলের দাবি, এই পদ্ধতি অবলম্বন করে যে কোন পেনশনার তার লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে পারবে বাড়ি থেকেও। শারীরিকভাবে ব্যাংকে উপস্থিত না হয়েও পোস্টম্যান বা গ্রামীণ ডাক সেবককে বাড়িতে ডেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে এই লাইফ সার্টিফিকেট পেনশন আর নিজেই জমা করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page