খড়গপুর: মঙ্গলবার রাত আটটা নাগাদ আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুসারে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয় খড়গপুর এলাকায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের অন্যান্য এলাকায় অল্প প্রভাব থাকলেও মাত্র কুড়ি মিনিটের প্রবল ঝড় শিলাবৃষ্টিতে তছনছ হয়ে যায় খড়্গপুরের বিভিন্ন এলাকা। জগন্নাথ এক্সপ্রেস সহ রানী শিরোমনি ও অন্যান্য বেশ কিছু দূরপাল্লার ট্রেন আটকে যায় রাস্তায়। কারণ গাছ ভেঙে পড়ে গিয়েছিল প্যানটোগ্রাফ এর উপরে। খড়গপুর আইআইটি চত্বরের ভেতরে গাছ ভেঙে পড়ে যায় একটি প্রাইভেট কারের উপরে। পুরো গাড়ি দুমড়ে গেলেও ভেতরে থাকা তিন যাত্রী অল্পের রক্ষা পেয়েছেন। তবে সাদা শিলাতে একেবারে ঢেকে দিয়েছিল খড়গপুর আইআইটি চত্বর।খড়্গপুর শহরে ভেঙে পড়েছে মোবাইলের টাওয়ার৷
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার পর এই হঠাৎ বিশাল ঝড় পরিস্থিতি দেখা যায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে। জেলার অন্যান্য স্থানে তেমন বড় প্রভাব না দেখা গেলেও খড়গপুর শহর এলাকাতে ব্যাপক প্রভাব ছিল। হঠাৎ শুরু হয়ে যাওয়া এই ঘূর্ণিঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে গিরি ময়দান ও হিজলি এলাকাতে করমন্ডল এক্সপ্রেস, জগন্নাথ এক্সপ্রেস, শিরোমনি এক্সপ্রেস এর মতো বেশ কয়েকটি ট্রেনের ওপর গাছের ডাল ভেঙে পড়ে। pantograph এ গাছের ডাল আটকে সমস্যা তৈরি হয়। রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়-ওভারহেড ইকুইপমেন্ট এ সমস্যা হওয়ার কারণে বেশ কয়েকটি এক্সপ্রেস ট্রেনকে বিভিন্ন জায়গাতে দাঁড় করিয়ে দিতে হয়েছে। লোডশেডিং পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। পরে অনেক রাতে স্বাভাবিক করা হয়েছে।
অন্যদিকে খড়গপুর আইআইটি চত্বরের ভেতরে প্রবল ঝড় বৃষ্টিতে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। বহু হোস্টেল রুম ও বিভিন্ন জায়গায় জলের ঝাপটা পড়ে। শিলাতে পুরো এলাকা সাদা হয়ে যায়। গাছ ভেঙে পড়ে একটি প্রাইভেট কারের ওপরে খড়গপুর আইআইটি চত্বরে। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং দফতরের সামনে ওই মুহূর্তে গাড়ির ভেতরে থাকা তিনজন কোনভাবে উদ্ধার হয়েছেন। তবে আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সেখানেও। খড়গপুর শহরের গিরি ময়দান এলাকাতে ভেঙ্গে পড়েছে একটি মোবাইল টাওয়ারও। বুধবার সকাল থেকেই সে সমস্ত উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে তাহলেও কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি বলেই জানিয়েছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা ৷